তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়কঃ
এতো বড় টর্নেডো হয়ে গেল কিন্তু নিউ ইর্য়ক বাসীরা টেরই পাননি ।আমেরিকার ওকলাহোমায় একটি শক্তিশালী টর্নেডো আঘাতে অন্তত ৯১ জন নিহত হয়েছে। নিহতের মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই টর্নেডোর ফেলে যাওয়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরো অনেকে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমেরিকার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসা এ টর্নেডোর ব্যস ছিল অন্তত দুই কিলোমিটার। ওকলাহোমার শহরতলীতে স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে আঘাত হানে টর্নেডোটি। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, টর্নেডোটি কারণে স্কুল, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধসে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানান, স্কুলের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অন্তত কুড়িটি শিশু আটকে আছে যাদের বয়স আট বছরের মতো। বিকেলে টর্নেডোর আঘাতের পর, রাত জুড়েই উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। এছাড়াও ঝড়ের আঘাতে ধ্বসে পড়া একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আটকা পড়েছে বেশ কিছু শিশু।টর্নেডোর কিছু সময় পরেই স্কুল থেকে নিজের সন্তানকে নিতে এসেছিলেন রবার্ট রেমন্ড। তিনি জানান, টর্নেডোটি চলের যাওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করেন। এর পর বাইরে এসে তারা দেখতে পান, আকাশ থেকে আবর্জনার পাহাড় ছড়িয়ে পড়ছে। জানতে পারেন, হাসপাতালে সেটি আঘাত হেনেছে, স্থানীয় থিয়েটার হলে আঘাত হেনেছে এবং তাদের সন্তান যে স্কুলে পড়ে সেই স্কুল ভবনেও আঘাত করেছে টর্নেডোটি।তিনি বলছিলেন, সেটি শোনার পর আর বসে থাকতে পারেননি। আকাশ থেকে শহরতলীর ভিডিও চিত্র দেখা যাচ্ছিল, বেশ বড়সড় এলাকায় ধ্বংসের ছাপ। কিছু কিছু বিল্ডিং এ আগুন ধরে গিয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, সেটি ওকলাহোমার শহরতলীতে চল্লিশ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালায়। এর পর মুর নামে ছোট একটি শহরের ওপর দিয়ে চলে যায় ওকলাহোমা থেকে দুরে সরে যায়। এদিকে ওকলাহোমার প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা নিহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশংকা প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post