মতিউর রহমান লিটুঃ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে ইমেজ সঙ্কটে রয়েছেন প্রভাবশালী বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরসৈণিক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরীর ইমেজ সঙ্কট তাঁর নিজের ব্যর্থতাঁর জন্য যতটুকু না এসেছে তাঁর চেয়ে বেশী এসেছে স্থানীয় গনবিচ্ছিন্ন এক বিএনপি নেতার সংশ্লিষ্টতার কারনে।
বন্ধু প্রতিম দেশগুলিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার দায়ীত্বে থাকা বিশিষ্ট এই কূটনীতিক বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শুধু সহ সভাপতিই নন একজন প্রভাবশালী নীতিনির্ধারক ও বটে। তৃতীয় বিশ্বের চালিকা শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অন্যতম দায়ীত্বে থাকা ফরেইন রিলেশনস কমিটির সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী আমেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবেও কাজ করেছেন। সেই সুবাদে আমেরিকার কূটনৈতিক মহলে বিচরন তাঁর নতুন কোন কাজ নয়। ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে ২৭শে মার্চ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কতৃক স্বাধীনতা ঘোষনার সময়েও শমসের মবিন সহযোদ্ধা হিসাবে তাঁর (প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের) সাথে ছিলেন।
তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিতে কেন তাঁর এই ইমেজ সঙ্কট?
কেসি ফার্মের ব্রোকার(দালাল)পরিচয়দানকারী ওয়াশিংটন বিএনপি নেতাঁ শারাফাত হোসেন বাবুর সাথে মাত্রাতিরিক্ত মেলামেশাই মুলত দায়ী। ওয়াশিংটন বিএনপির এই নেতা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িত। সাধারন নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের সাথে ঔদত্যপুর্ন আচরন, যত্রতত্র তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে খাওয়া , সিনিয়রদের সাথে বেয়াদবী করার কারনে গনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি কোন আপনজনকেও বিশ্বাস করেন না বলে দাবী সাধারন নেতা কর্মীদের। সময় সুযোগ বুঝে রেকর্ড করে রাখেন সিনিয়র/ জুনিয়র নেতাকর্মীদের কথোপকথন। তাঁর কাছে অনেক সিনিয়র/জুনিয়র নেতাদের অপকর্মের প্রমান রয়েছে বলে দাবী করে বেড়ান এবং সেইসকল প্রমান দিয়ে ব্লাকমেইল করে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।
দলীয় পদ পদবীর লোভ দেখিয়ে সাধারন নেতাকর্মীদের সাথে প্রতারনা করে বেড়ান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কাবাব কিং রেষ্ট্রুরেন্ট্রের মালিক তোফায়েলকে ওয়াশিংটন বিএনপির সাধারন সম্পাদক বানিয়ে দেয়ার কথা বলে খরচ করিয়েছেন হাজার হাজার ডলার। নিউইয়র্কেও রয়েছে একই ধরনের অগনিত অভিযোগ। এই সকল বিতর্কিত নেতার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্কের কারনে শমসের মবিন নিজেও হয়ে পড়েছেন বিতর্কিত এক নেতা। দেখা দিয়েছে তাঁর নেতৃত্বের ইমেজ সঙ্কট।