প্রেস বিজ্ঞপ্তি: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে আইএসডিই’র প্রশিক্ষন কার্যক্রম শুরু। ককসবাজার জেলায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী ১৩নং ক্যাম্পের প্রবেশ পথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ব্যাতিক্রমী নারীবান্ধব কেন্দ্রের ২য় ব্যাচের প্রশিক্ষন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ এর উদ্যোগে দাতা সংস্থা ডাব্লুজেধার, ইউনাইটেড কিংডম এর সহায়তায় কেন্দ্রটি যাত্রা শুরু করে। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দীন চৌধুরী একটি অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রটির শুভ সুচনা করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন, প্রকল্প কর্মকর্তা আফিস নুর হাসনাত, স্থানীয় জনগোষ্টির নেতা সাহাব উদ্দীন, প্রশিক্ষক খালেদা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের বাল্যবিবাহ নিরোধ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষ কাউন্সেলিং, নারী-পুরষ সমতা বিষয়ে সচেতনতা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার রোধে সচেতনতা প্রদান, টেইলারিং ও হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্ম দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে প্রতি ব্যাচে ২০-২৫ জন করে দিনে ১০০-১২০ জন মেয়ে ও নারীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ থাকছে। প্রশিক্ষণ শেষে সফল প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ৯০জন প্রশিক্ষনার্থী সফল ভাবে প্রশিক্ষন সমাপ্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, ২৫ আগষ্ট ২০১৭ইং থেকে মায়ানমার থেকে আগম বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশ ৯, ১০, ১৩, ১৬, ১৯ ক্যাম্পে রোহিঙ্গা বাস্তচ্যুত ও পালংখালী ইউনিয়নের স্থানীয় জনগোষ্ঠির মাঝে মানবিক ত্রান সহায়তা, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, জরুরী স্বাস্থ্য সেবা, নন-ফুড আইটেম, লি্গং ভিত্তিক সহিংষতা রোধে সচেতনতা সৃষ্ঠি, শিশু অধিকার সুরক্ষা, নারী ও শিশু পাচার ও যৌন হয়রানি রোধে সচেতনতা সৃষ্ঠি, পানি ও পয়ঃনিস্কাষন সেবা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যা বিষয়ক শিক্ষা, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষন প্রদানসহ কভিট ১৯ প্রতিরোধে করোনা মহারীতে কর্মহীন ও ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরী খাদ্য ও জীবানু নাশক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা মহামারী সংক্রান্ত প্রচার পত্র, ফেস্টুন, হাত পরিস্কারে পানি সুবিধাসহ বেসিন স্থাপন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
Discussion about this post