মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক, এনটিভি এবং দৈনিক সমকালের পাবনাস্থ স্টাফ রির্পোটার এবিএম ফজলুর রহমানের উপর হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য পাবনার পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজে পাবনার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই অনুরোধ করেন। সভায় তিনি পাবনার সাংবাদিকদের কাছে এবিএম ফজলুর রহমানের হামলার বিশদ শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বরকে ফোন করে আসামীদের ধরতে অনুরোধ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার আসামীরা গ্রেফতার না হলে সরকারের সুনাম নষ্ট হয়। একটি স্বাধীন দেশে এ অবস্থা চলতে পারেনা। পাবনা সদর আসনের এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট গোলাম হাসনায়েন, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান খান, পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক আহমদ উল হক রানা, দৈনিক জোড়বাংলা সম্পাদক ও বিটিভি প্রতিনিধি আব্দুল মতীন খান, চ্যানেল আই ও যুগান্তর প্রতিনিধি আখতারুজ্জামান আখতার, দিগন্ত টেলিভিশন ও নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি আব্দুল মজিদ দুদু, দৈনিক বিবৃতির নির্বাহী সম্পাদক কাজী বালা, সাবেক সম্পাদক সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট কেএম শহিদুল আলম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারোফ হোসেন, জেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক রকিব হাসান টিপুসহ সাংবাদিক, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। গত ১৯ মে দুপুরে এডওয়ার্ড কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষক ডরমেটরির সামনে ৭/৮ সন্ত্রাসী পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের পাবনাস্থ স্টাফ রির্পোটার এবিএম ফজলুর রহমানকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। দুই সপ্তাহ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে অবস্থানের পর বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ীতে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিবেক এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান জানিয়েছেন পাবনা জেলা ও দায়রা জজ
মোবারক বিশ্বাস ঃ নিজের বিবেক এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান জানিয়েছেন পাবনা জেলা ও দায়রা জজ এম হাসান ইমাম। গতকাল শনিবার দুপুরে পাবনা জেলার সকল বিচারক, সকল থানার ওসিসহ বিচার সংশ্লি¬ষ্টদের এক জুডিশিয়াল সভায় সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ জাহেদ মনসুর, পাবনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আজিজুল হক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, সিভিল সার্জন ডা. তাহসীন আজিজ, পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. মনোয়ারুল আজিজ, পিপি অ্যাডভোকেট বেলায়েত আলী বিল¬ু প্রমুখ।
পাবনা চাটমোহরে চরমপন্থিদের তৎপরতা বৃদ্ধি
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলায় খতবাড়ী, পার্শ্বডাঙ্গা, ফৈলজানা, হাদল, হান্ডিয়াল ও ডিবিগ্রাম এলাকায় আবারো কথিত চরমপন্থী দলের সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসকল চরমপন্থী দলের সদস্যরা হান্ডিয়াল বাজারে কিছু পোষ্টার ছিটিয়ে রাখে। তাতে লেখা থাকে চরমপন্থীদলের ত্রান্ত্রীকাল চলছে এবং এমএল (লাল পতাকা) বাহিনীর মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে কোন সময়ে এলাকাটিতে ত্রাশের সৃষ্টি হতে পারে। সম্প্রতি পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের আলম-নগর গ্রামে ১০/১২ জন চরমপন্থী দলের সদস্য অস্ত্রসহ প্রবেশ করে। তারা ঐ গ্রামে আতংক সৃষ্টি করে। আলম-নগর গ্রামের মহরম হোসেনের বাড়ি ও আশপাশের বাড়ি থেকে ৭/৮টি মোবাইল ফোনসেট, নগত প্রায় ২০ হাজার টাকা, ঘরে থাকা শুকনো খাবার ও চাউল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। এসকল চরমপন্থী এমএল (লাল পতাকা) বাহিনীর সদস্যরা বাড়িগুলোতে ঢুকে শিশু-বৃদ্ধাদের অস্ত্রর মূখে জিম্মি করে তাদের খাবার নেই, তাদের চলাচলের টাকা-পয়সা নেই। এ কথা বলে তারা বাড়ির চাউল, শুকনো খাবার, ধান-পাট, অলংকার টাকা-পয়সা সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বলে বাড়ির মালিক সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া রাতের আধারে বিলের ধান ও পুকুরের মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে এসকল চরমপন্থীদের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গত শনিবার চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুল ইসলাম আলম-নগর গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে সভা করেন। উপজেলায় খতবাড়ী, পার্শ্বডাঙ্গা, ফৈলজানা, হাদল, হান্ডিয়াল ও ডিবিগ্রম এসব চরমপন্থী এলাকায় ইতিপূর্বে খুন-হত্যার ঘটনাও উল্লে¬খযোগ্য। চরমপন্থী দলের মধ্যে তাদের নিজিস্ব কোন্দল সহ বিভিন্ন কারণে ঐসব এলাকায় প্রায় রাতেই খুন-হত্যা করে চাপড়ারবিল, ডিকশিরবিল, বিলকুরালীয়া, সাতলবিল সহ বিভিন্ন বিলে এসকল চরমপন্থী দলের সদস্যদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ইতিপূর্বে হাদলবিলে অলি-আহাদের লাশ, ডিকশিরবিলে দুই কৃষকের লাশ ও চাপড়ারবিলে এমএল (লাল পতাকা) বাহীনির ক্যাডার হানেফ মোল¬ার লাশ উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ। ঐসব বিলের পাশেই ফৈলজানা কুয়াবাসী একটি পুলিশ ফাড়ী বসানো হলেও সন্ত্রাসীদের অভাশ্রম এলাকা থেকে চরমপন্থী, সরবহারাপাটি রোধ করতে পারছে না আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা। অপরদিকে চাটমোহর উপজেলার ১২ মার্ডারখ্যাত খতবাড়ী গ্রামে চরমপন্ত্রী দল ‘বাহিনী’ নেতা মোঃ ফরিদ হোসেন (৫৫) কে গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্রো ভর্তি করেন। অবস্থা অবনতি হওয়ায় রাত ১১ টার দিকে তাকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করে। ঘটনার পর থেকে খতবাড়ী গ্রামে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এলাকায় মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। আহত চরমপন্থী নেতা ফরিদ হোসেন উপজেলা মূলগ্রাম ইউনিয়নের খতবাড়ী গ্রামের মৃত সমেদ খাঁর ছেলে। সে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
Discussion about this post