তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইয়র্কঃ-
বাঙালি সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে ধারণ করে যে কয়েকটি সংগঠন প্রবাসের মাটিতে দেশীয় সাংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছেন এবং চর্চা করছেন তাদের মাঝে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস(বিপা) একটি অন্যতম সংগঠন। প্রতিবছরই নিউ ইয়র্কের পথমেলার আয়োজন করে যে ব্যাক্তিটির নামের আগে এখন “মেলা” কথাটি যুক্ত হয়ে আছে সেই ব্যাক্তিত্ব শাহীন চৌধুরীর যৌথ প্রয়াসে এবং সহ যোগিতায় ছিলেন বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা গত রবিবার ৩০শে জুন এস্টোরিয়ায় ৩৬ষ্ট্রীটে “বাংলাদেশ মেলা” অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো।
গত ১৯ মে রবিবার এ মেলাটি বৃষ্টির কারনে স্হগিত রেখেছিলো কতৃপক্ষ। এই মেলাটিই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জ্যাকসন হাইটসে্। বেলা ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর দূর্যগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে সেদিন মেলাটি স্হগিত করা হয়েছিলো।রবিবার ৩০শে জুন বেশ জাকজমক ভাবেই সকাল থেকেই বাংলাদেশ মেলা শুরু হয়ে যায়। নিউ ইয়র্ক সিটি সহ বিভিন্ন সিটিতে বসবাসরত মেলা প্রেমিদর্শকরা উপস্থিত হতে থাকে মেলায়।প্রচুর বিদেশীদের উপস্হিতি ছিলো এই মেলায়।দোকানীর ব্যাস্ত হয়ে যার তাদের দোকান সাজাতে। বেলা তিনটা আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ মেলা উদ্বোধন করেন প্রধান আযোজক শাহীন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস(বিপা) ও লীগ অব আমেরিকার সকল কর্মকর্তারা মিলে।
২০১৩ সালের গ্রীষ্মকালীন স্কুল ছুটির পর বাংলাদেশ মেলার এই আয়োজনে অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতা ছিল।তবে খারাপ আবহাওয়া ও একই দিনে প্রায় ২৫টি সংগঠনের পিকনিক থাকার কারনে দর্শক সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গিয়েছিল ছিল বাংলাদেশ এই মেলায়। বাংলাদেশ মেলার আয়োজক আব্দুল কাদের চৌধুরী শাহীন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস(বিপা)’র কর্মকর্তা এ্যানী ফেরদৌস, সেলিমা আশরাফ, নীফুফার বেগম, প্রধান অতিথি ডঃ নূরূন নবী, বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার কর্মকর্তা জাকারিয়া চৌধুরী, তৈয়বুর রহমান টনি, এবং জিয়া আহমেদ ও ইত্তেহাদ এ্যায়ারলাইন্সের একাউন্ট ম্যানেজার প্যটট্রিক ডুয়েনকে স্টেজে আমন্ত্রন জানানো হয়।স্টেজে উপস্হিত অতিথি এবং মেলার কর্মকর্তাবৃন্দ মেলা উদ্বোধনের পর অতিথিরা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি ডঃ নূরন নবী মেলায় আগত দর্শকদের শুভেচ্ছা জানান এবং মেলার সাফল্য কামনা করেন। প্রধান অতিথি বলেন-“আমাদের বাংলা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে আমাদের নতুন প্রজন্ম এবং বিদেশীদের কাছে তুলে ধরাই “বাংলাদেশ মেলার” মূল উদ্দেশ্য” সামনে রোমজান মাস পরে আমাদের ঈদকে সামনে রেখে আরও একটা ঈদ মিলন মেলা আজ আমরা এখানে করতে যাচ্ছি। আজকের মেলার আপনাদের সকলের সহযোগিতা ও আযোজক শাহীন চৌধুরীকে ধন্যবাদ এবং সাফল্য কামনা করি। অনুষ্টান উপস্হাপনায় ছিলেন শারমিন রেজা ইভা।ইভার প্রানবন্ত উপস্হাপনা ছিল মেলাটির প্রান। মূল আকর্ষন ছিল দেশ ও স্থানীয় সংগীত এবং নাচের শিল্পীবৃন্দ। নাচ/গান উপস্থিত দর্শকদেরকে প্রচুর আনন্দ দেয় এবং দর্শকরা নেচে গেয়ে অনুষ্টান উপভোগ করেন। সকল বয়েসী বাঙালীর এ আনন্দ আয়োজকদের আপ্লুত করেছে। কন্ঠ শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন শান্ত নীল, পলাশ, রিপন রহমান, ঠাকুর রাসেল। আরও পরিবেশন করেন বিপার রাইমা জেবীন, মাইসা, আসমা, তাসমিন এবং শুরুতে বিপার শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।মেলায় অর্ধশতাধিক রকমারী খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন স্টল সাজিয়েছিলো অসংখ্য পণ্যের পসরা নিয়ে। বন্ধু-স্বজনের সাথে সাক্ষাত, জমজমাট আড্ডা ছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষেরা তাঁদের ইচ্ছে মত কেনাকাটাও করেন। বন্ধুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও উপহার বিনিময় করতেও দেখা যায় অনেককেই।
কমিউনিটির বহু গন্যমান্য ব্যক্তিবৃন্দ এসেছিলেন বাংলাদেশ মেলাটি উপভোগ করতে। নতুন প্রজন্মের শিশু/কিশোর/কিশোরীদের উপস্হিতি ছিল চোখে পড়ার। তারা প্রানভরে উপভোগ করেছে মেলাটি। এসেছিলেন প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তা বৃন্দ। মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল ইওেহাদের র্যাফল ড্র’ দুটি টিকেট নিউ ইর্য়ক টু ঢাকা টু নিউ ইর্য়ক। মেলা স্পন্সরকারীরা হলেন ইওেহাদ এয়ার লাইন্স, মেট্রোপ্লাস মেডিকেইড, কোপেল নিশান, কুনাল এন্ড ক্যারন জুয়েলার্স, নির্মান কন্ট্রাকশন, খাবার বাড়ী রেষ্টুরেন্ট, মতিন রেষ্টুরেন্ট, লারনিং ইনফো টেক।
মেলা শেষে মেলার জন্য স্পন্সর প্রদানকারী সকল প্রতিষ্ঠান, শিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, কলাকুশলী, অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানান আয়োজক কতৃপক্ষ।
Discussion about this post