কুয়েত প্রতিনিধি- আমি বিশ বছর কোন প্রকার সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি কাটাইনি। কঠোর পরিশ্্রম করেছি সততার সাথে, মেধা খাটিয়ে কোম্পানির পরিধি বাড়িয়েছি। গৌরবের সাথে বুক ফুলিয়ে এই কথা গুলো বলছিলেন সোহেল মাহমুদ। বড় হবার আশায় নিজ দেশ ত্যাগ করে মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তান রেখে সুদূর প্রবাসে পারি জমায় অসংখ্য মাণুষ। একদিকে সোনার হরিনের খোঁজ অন্যদিকে সমাজে পরিবার নিয়ে মাথা উচুঁ করে চলতে বেশি আয়ের আশায় সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দেন কতই না মানুষ। পরিবার পরিজনের বিভিন্ন আশা পুরণ করতে করতে এক সময় জীবনের মূল্যবান সময় পাড় করে দেন সেদিকে খেয়াল থাকে না। লাখো প্রবাসীর মধ্যে নিজ মেধা, শ্রম আর সততার বদৌলতে ভাগ্যের সহায়তায় কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছেন তেমনি অসংখ্য প্রবাসি ভিটে বাড়ি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন।
লাখো সফল প্রবাসীর মধ্যে এমন একজন কুয়েত প্রবাসি সোহেল মাহমুদ। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার ভেরামারার মরহুম আমীর উদ্দিন এর পঞ্চম সন্তান। বুক ভরা সপ্ন নিয়ে ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে নিজ দেশের মায়া ত্যাগ করে শ্রমিকে এর ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসেন। ১৯৮৮ সালে পূর্বের কোম্পানি পরিবর্তন করে কুয়েতে অবস্থিত স্বনামধন্য আমেরিকান ফোড কোম্পানির বাসকিন ডিভিশনে সেলসম্যান হিসেবে ভাগ্য পরিবর্তনে নতুন কর্ম শুরু করেন। এই কোম্পানিতে ক্যারিয়ার গড়তে এক প্রকার চ্যালিঞ্জিং গ্রহন করেন। এই চ্যালেঞ্জ সফল করতে একাধারে বিশ বছর কোন প্রকার সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি কাটাননি। করেছেন কঠোর পরিশ্্রম প্রধান্য দিয়েছেন সততাকে, খাটিয়েছেন নিজ মেধা।
বর্তমানে বাসকিন ডিভিশনে মিশর, ফিলিপিনো ও ইন্ডিয়ানের সাথে পাল্লাদিয়ে কাজ করছেন। এই কোম্পানিতে একমাত্র বাংলাদেশী তিনি এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কুয়েতে ৪৬টি বাসকিনের শাখা আছে, এর মধ্যে ১৫টির দায়িত্বে আছেন তিনি। শূরু থেকে অধ্যবদি প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করেন। তার দীর্ঘ চাকুরী বয়সে এই কোম্পানিতে একজন নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা হিসেবে গোল্ড মেডেল সহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূসিত হন। সাংসারিক জীবনে এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তান এর জনক সফল কুয়েত প্রবাসী এই সোহেল মাহমুদ।
Discussion about this post