রোববার (২০ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে আটকেপড়া কুয়েত প্রবাসী ফোরাম’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আয়োজক কুয়েত প্রবাসীরা।দেশে ফিরে আটকেপড়া কুয়েত প্রবাসী ফোরামের সমন্বয়ক মনিরুল ইসলাম মারুফ বলেন, করোনাকালে এবং এর আগে কুয়েত থেকে প্রবাসীরা যারা ছুটিতে দেশে এসেছিলেন, তারা একবছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে আছেন। যার কারণে অনেকেরই আকামার (বৈধ নিয়োগপত্র) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে এসব প্রবাসী কর্মস্থলে ফেরত যেতে না পেরে নিঃস্ব হয়ে চরম হতাশায় দিনযাপন করছেন। এর মধ্যে যাদের এখনও মেয়াদ রয়েছে, তারাও দিন গুনছেন কখন কুয়েতে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। কিন্তু টিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতার কারণে টিকা গ্রহণের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে গেছে।তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে- অনুমোদিত চারটি টিকার যেকোনো একটি নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন প্রবাসীরা। এমন অবস্থায় বৃহত্তর স্বার্থে দেশে থাকা কুয়েত প্রবাসীদের অনুমোদিত চারটি টিকার (ফাইজার, অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসন) যেকোনো একটি টিকা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।এছাড়া বিদেশে অবস্থান করায় অনেক প্রবাসীরই জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় নতুন করে টিকা সংক্রান্ত জটিলতার কথা জানিয়ে ফোরামের আরেক সমন্বয়ক নূরে আলম বাশার বলেন, কুয়েত সরকারের আরোপিত শর্ত মেনে কুয়েতে ফেরত যাওয়ার জন্য আমরা যারা দেশে আটকে আছি, আমাদের জরুরিভাবে করোনার ভ্যাকসিন দিতে হবে। আমরা কুয়েত প্রবাসীরা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে বেশিরভাগ লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। যার ফলে আমরা টিকা গ্রহণ করতে পারছি না। জাতীয় পরিচয়পত্রের পরিবর্তে পাসপোর্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের টিকাসহ বাংলাদেশের সব পরিষেবা দেওয়ার দাবি জানাই।সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীরা বেশকিছু দাবি জানান। সেগুলো হলো-১. কুয়েত সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্ত মেনে কুয়েতে ফেরত যাওয়ার জন্য আটকেপড়া প্রবাসীদের জরুরিভাবে করোনার টিকা প্রদান করা।২. জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতা নিরসন করা।৩. পাসপোর্টের মাধ্যমে প্রবাসীদের টিকা প্রদান ও বাংলাদেশের সব পরিষেবা নিশ্চিত করা।৪. বর্তমানে মজুদ করা ফাইজারের টিকা জরুরি ভিত্তিতে কুয়েত প্রবাসীদের জন্য প্রদান করা।৫. ওয়েজ অর্নার বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের কল্যাণে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, কুয়েত প্রবাসীদের এই কমিটির মাধ্যমে তালিকা করে দ্রুত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।প্রসঙ্গত, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে যেসব প্রবাসীর বৈধ নিয়োগপত্র রয়েছে, তাদের আগামী ১ আগস্ট থেকে সরাসরি কুয়েতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই কুয়েত সরকার অনুমোদিত চারটি টিকার যেকোনো একটি গ্রহণ করতে হবে।
Discussion about this post