দুরন্ত ডেস্ক : কসবায় ও বীরগঞ্জে উপর্যুপরি লোডশেডিংয়ে জনবীবনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কসবা ও বীরগঞ্জে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; বীরগঞ্জ, দিনাজপুর থেকে : বীরগঞ্জে লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় জন জীবনের দুর্ভোগ চরমে। প্রচন্ড তাপ দাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে যেমন বেড়েছে সব শ্রেণীর মানুষের দুর্ভোগ, তেমনি প্রভাব পড়েছে কৃষি সেচ খাতে। বিভিন্ন কলকারখানার উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। উপর্যুপরি লোডশেডিংয়ে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহারীর সময় অসহায় ধর্মপ্রাণ রোজাদার মানুষ। রাতে এর তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মোমবাতি জ্বালিয়ে সাহারী সারতে হয়েছে অনেক পরিবারকে। উপজেলায় পবিত্র রমজানের শুরু থেকে ২৪ ঘন্টায় ১০ হতে ১২ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়।
দিনাজপুর পল্ল�ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বীরগঞ্জ এলাকা পরিচালক সাংবাদিক মোঃ আইয়ুবুল ইসলাম মিন্টু জানান, আমরা সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছি। কিন্তু তাদের সঠিক সেবা দিতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছি। বেশ কয়েক দিনের লোডশেডিং সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসাবের মধ্যে অনেক দুরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়ার ক্ষেক্রে প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি এখানে কোনমতেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সমালোচনায় পড়েছে সরকার। আমরাও নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সমালোচিত হয়েছি। ।
দিনাজপুর পল্ল�ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বীরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবু উমাম মোঃ মাহাবুবুল আলম আমাদের প্রতিবেদককে জানান, বীরগঞ্জ উপজেলা দিনাজপুর পল্ল�ী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভূক্ত হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র হতে। ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং বীরগঞ্জ উপজেলা এলাকায় চাহিদা ৫৫ মে.ওয়াট। কিন্তু সরবরাহ �াওয়া যাচ্ছে ৩০ মে.ওয়াট। রাতে আরও কমে দেওয়া হচ্ছে ২০ মে. ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ । উৎপাদন ঘাটতির কারণে নিরবিছিন্ন বিদুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
মোঃ রাসেল কসবা থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পাওয়ায় জন জীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রচন্ড তাপ দাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে যেমন বেড়েছে সব শ্রেণীর মানুষের দুর্ভোগ, তেমনি প্রভাব পড়েছে কৃষি সেচ খাতেও। উপর্যুপরি লোডশেডিংয়ে ইফতার, তারাবির নামাজ ও সাহারীর সময় অসহায় ধর্মপ্রাণ রোজাদার মানুষ। রাতে এর তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়। মোমবাতি কিংবা হারিকেল জ্বালিয়ে সাহারী সারতে হচ্ছে অনেক পরিবারকে। উপজেলায় পবিত্র রমজানের শুরু থেকে ২৪ ঘন্টায় ১০ হতে ১২ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়।
Discussion about this post