কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ আসন্ন কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৯ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামী ছাড় দিচ্ছে না বিএনপিকে। জামায়াত তাদের দলীয় প্রার্থী কসবা উপজেলা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে (ফেজ টুপি) প্রতীক নিয়ে আর ভাইস-চেয়াম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে জামায়াতের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. সিরাজুল ইসলাম (উড়োজাহাজ) প্রতীক নিয়ে। বিএনপি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মো. ইকলিল আজম (আনারস) প্রতীক নিয়ে। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম ভূইয়া (তালা) প্রতীক নিয়ে। কসবা উপজেলা জাময়াতের নেতা কর্মীদের দাবী তাদের রিজার্ভ ১৫ থেকে ২০ হাজার ভোট রয়েছে। বিএনপি তাদেরকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছাড় না দিয়ে তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছে। তাই তারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াতের কাজী সিরাজুল ইসলাম (বাল্ব) প্রতীক নিয়ে সাড়ে ৪ হাজার ভোট পেয়ে ৪র্থ অবস্থানে ছিলেন। ওই নির্বাচনে ইকলিল আজম প্রায় ৪৩ হাজার ভোট পেয়ে ভাইন-চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা দিন রাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কাজী সিরাজকে জয়ী করার লক্ষ্যে। তাদের মূল লক্ষ্য বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে বেশী ভোট পাওয়া। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জামায়তের চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান জামানত টিকিয়ে রাখা কষ্টকর হবে। আর ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কাজী সিরাজুল ইসলাম প্রতিযোগীতায় টিকে যেতে পারেন। কসবা পৌর সভার আড়াইবাড়ি, শাহপুর,কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা, মীরতলা, কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, কালতা দীঘির পাড়, জাজিসার এলাকায় জামায়াতের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাল ফল করবে বলে ভোটাদের ধারনা। বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবী তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা রয়েছে সবগুলোর জন্য দায়ী জামায়াত তাদের উগ্রতার খেসারত দিতে হচ্ছে বিএনপিকে। বিএনপি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে চিন্তিত না হলেও, ভাইস-চেয়ারম্যান পদ নিয়ে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জামায়াত প্রার্থী। কসবা উপজেলার ১টি পৌর সভা ১০ টি ইউনিয়নের ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৮শ ৪২ জন ভোটার আগামী ৩১ মার্চ সোমবার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
Discussion about this post