মো. অলিউল্লাহ সরকার অতুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবা উপজেলায় চিকিৎসা পাওয়ার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটিতে নেই কোন জেনারেটর। বিদ্যুৎ চলে গেলে রাতের আধারে মোমবাতি জ্বালিয়ে চলে চিকিৎসা কার্যক্রম। গরমের সময় প্রচন্ড গরমে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়াও হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি ৬ বছর ধরে নষ্ট।কসবা পৌর এলাকাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩ লক্ষাধিক মানুষের সেবার জন্য রয়েছে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতালটির ভবন নির্মাণ প্রায় ১ বছর আগে শেষ হয়েছে। বার বার লিখিত ভাবে জানালেও অনুমোদন না হওয়ায় ৫০ শয্যা হাসপাতালের কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না। হাসপাতালে শুধু বহির্বিভাগে কিছু চিকিৎসা সেবা ছাড়া আর কোনো সুবিধা পাচ্ছে না রোগীর। হাসপাতালে কোন অপারেশন, গর্ভবতী মায়ের সিজার, নাক, কান, গলা, চোখ বা অ্যানেসথেশিয়া- কোনো ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন না উপজেলার রোগীরা। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে জেনারেটর না থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রান্তে রোগীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাতের আধারে তাদেরকে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। একটি সাধারণ এক্সরে মেশিন হাসপাতালে থাকলেও এটি গত ৬ বছর ধরে বিকল। বহু বার চাহিদা দেয়া হয়েছে। বরাদ্দ দেয়া হয়নি।
পুরুষ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন নাদিম মিয়া বলেন; জেনারেটর না থাকায় রাতের বেলায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় মোমবাতি দিয়ে সেলাইন দিতে খুবই অসুবিধা হয়েছে।
মহিলা ওয়ার্ডের নাছিমা আক্তার বলেন; এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় এক্সরে করতে পারছি না। গরীব মানুষ টাকার অভাবে জেলা শহরে গিয়ে এক্সরে করতে পারছি না।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা: গোলাম মোস্তফা বলেন; জেনারেটর না থাকায় তারঁ নিজস্ব অর্থায়নে মাসিক ১শ ৬০ টাকা ভাড়ায় জরুরী বিভাগের জন্য বাহির থেকে একটি লাইট ভাড়া করেছেন। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা: মো. ইকবাল হোসাইন বলেন; জেনারেটর নেই। কষ্ট করে চালাতে হয় চিকিৎষা কার্যক্রম। এক্সরে মেশিনটি ৬/৭ বছর ধরে বিকল। সর্বশেষ ৬ মাসে ৩ বার লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছি। ৫০ শর্যায় অনুমতি পেতে স্থানীয় সাংসদের সুপারিশসহ আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা: সফররাজ খানঁ বলেন; জেনারেটর নেই বিষয়টি জানা নেই। শ্রীঘই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৫০ শর্যার অনুমোদন হয়েছে। শুধুমাত্র লোকবল ও আসবাবপত্রের অপেক্ষা আছি। তিনি বলেন; এক্সরে মেশিনের বিষয়ে বহুবার লিখেছি তবে অচিরেই কসবায় একটি নতুন এক্স-রে মেশিন দেয়া হবে।
Discussion about this post