মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লায় বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ড্রেনের পানি রাস্তার উপর উঠে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অল্প বৃষ্টিতে কাঁদা নর্দমা, ভাঙ্গা রাস্তায় পানি জমে কাঁদায় সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে বিঘœ ঘটছে। নগরীর প্রতিটি অলিতে গলিতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মনিরুল হক সাক্কু জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজে দাড়িয়ে ড্রেন পরিস্কার করলেও কোন ফলাফল পাচ্ছে না নগরবাসী। যদি পরিকল্পিত নগরায়ন না করা হয় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ রূপ নিবে বলে সিটি বাসীর ধারণা। কুমিল্লা নগরবাসীর জলাবদ্ধতা একটি নিত্যদিনের অভিশাপ হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুমিল্লার জলাবদ্ধতার প্রধান প্রধান কারণ ভৌগোলিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। কুমিল্লা গোমতী নদীর তীরে হওয়া সত্ত্বেও শহরের পানি নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখছে না। কারন এটি উত্তর পাশে হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নগরীর পশ্চিমে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট ও লালমাই পাহাড়ী অঞ্চল হওয়ায় যে দিকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পূর্বদিকে উচুঁ ভূমির জন্য পানি প্রবাহিত হওয়ায় সুযোগ নেই। দক্ষিণে এয়ারপোর্ট রোডের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা গেলেও বর্তমানে ইপিজেড হওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না। এতে নগরীর পানি নিষ্কাশনের জটিলতা বুঝা যায়।
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে পুকুর ভরাট ও নিচু পতিত জমি নগরায়নের ফলে এক কালের ব্যাংক ও ট্যাংকের নগরী কুমিল্লা থেকে ট্যাংক বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ও শহরের বিভিন্ন পতিত জমি ভরাট করে বাড়িঘর নির্মাণের ফলে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে ড্রেন উপচিয়ে রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। নগরীর ক্রস কালভার্টের বিভিন্ন সার্ভিস সংস্থা, যেমন- পানি, গ্যাস, টেলিফোন এর একাধিক পাইপ থাকার কারণে বৃষ্টির সময় এই সকল পাইপে পলিথিন আটকিয়ে পানি নিষ্কাশনের বাধা প্রদান করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। অবৈধ জবর দখল ও খালের উপর অপ্রশস্ত কালভার্টের কারনে পানি বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।
জনসাধারণের সচেতনতার অভাবের ফলে নগরীর জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়ও খালি জায়গায় ঘর বাড়ি তৈরির দরুন পৌরসভার কর্তৃক নির্মিত অধিকাংশ ডাস্টবিন স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে জনগণ ময়লা-আবর্জনা বিরাট অংশ পলিথিন ড্রেনে ফেলছে যা পানি চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে। আবর্জনা অপসারণে ট্রাকের অপ্রতুলতার দরুন কুমিল্লা নগর এলাকায় প্রায় ১১০ কিঃ মিঃ ট্রেইন ১১৫ কিঃ মিঃ রাস্তা লক্ষাধিক লোকের সৃষ্ট সালড ওয়াস্ট ও ড্রেন হতে উত্তোলিত মাটি এবং রাস্তার আবর্জনা অপসারণের জন্য অনেক দিনের পুরানো ১২টি ট্রাক দিয়ে অপসারণ করা সম্বব হচ্ছে না। ফলে ড্রনে পড়ে এই আবর্জনাগুলো পানি নিষ্কাশনের বাধা সৃষ্টি করে। মাঝারী নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মান। আউট লেটের ডাউন স্টিম এর সংযোগ খালগুলো খনন না থাকার কারণে বড় ধরনের বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে অনেক দিন পর্যন্ত নগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও অপসারণের সিটি করপোরেশনের সীমাবদ্ধতার কারণে ড্রেনের উত্তোলিত মাটি সঠিক সময়ে অপসারণ না করার ফলে পুনরায় ড্রেনে পড়ে এবং ময়লা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরিবেশ দুষণ করে। কোন কোন জায়গায় ড্রেনের দুই পাশের দেওয়ালে বড় বগ ইমারত গড়ে উঠায় ড্রেন পরিষ্কার করার সুযোগ থাকে না। কোন ক্ষেত্রে এ জাতীয় ড্রেনের দৈর্ঘ্য ৫০০-১০০০ ফুট পর্যন্ত রয়েছে। ড্রেনের মাটি নরম থাকায় বালতি দিয়ে উঠানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া এ মাটি অপসারণের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষের উন্নতমানের কোন যন্ত্রপাতি নেই। উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়ের সমস্যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ৪টি জোনে বিভক্ত এবং ৪টি আউটলেট খালের মধ্যে জোন-১ রেইসকোর্স খালের এলাকা রেইসকোস, বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, বাদুরতলা, বিষ্ণপুর, ছোটরা, কালিয়াজুরীসহ নগরীর উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের পানি ছোট বড় বিভিন্ন ড্রেনের মাধ্যমে রেইসকোস খালে পতিত হয়। কিন্তু ঐ খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এবং মাঝারী শহর উন্নয়ন প্রকল্প-২ এর ড্রেনের অপ্রস্থড্রেন নির্মাণের ফলে এ সকল এলাকায় জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জোন-২ আউটলেট লাকসাম রোড সাইড খাল এর এলাকা কাপ্তান বাজার, আদালত, মোঘলটুলী, কান্দিরপাড়, উত্তর চর্থা, মুরাদপুর, মনোহরপুর ও ঠাকুরপাড়াসহ নগরীর মধ্যে অঞ্চলের পানি বিভিন্ন ড্রেনের মাধ্যমে ঐ খালে পতিত হয়। কিন্তু এর মধ্যে টাউন হলের সামনের ড্রেন, রাজগঞ্জ থেকে চকবাজার ড্রেন অপ্রশস্থ ও বিভিন্ন প্রতিবদ্ধকতার কারণে পানি সহজে সরতে পারে না। সার্কুলার রোড ও লাকসাম রোড সাইড খাল মাঝারী শহর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খনন না করার ক্ষেত্রে বিশেষে সংরক্ষণ দেওয়াল নির্মাণকালে উত্তোলিত মাটি দ্বারা ভরাট হওয়ায় পানি চলতে না পেরে অল্প বৃষ্টিতে ওই এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। জোন-৩ এর এলাকার মধ্যে চান্দঁপুর ও শুভপুর এলাকায় জলাশয় হয়ে গোমতীর নতুন ও পুরাতন বাঁধের ভেতর অংশ দিয়ে টিক্কারচর, সুজানগর ও বিবির বাজার রোডের উত্তর পার্শ্বের পানি বিভিন্ন ছোট বড় নালা দিয়ে এই খালের মাধ্যমে দক্ষিণে নিচু জমির মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু ওই অঞ্চলের এই নিচু জমিতে ঘরবাড়ী তৈরির হওয়ার কারণে আরঅন্য কোন খালে এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। গতকাল রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- গতকাল রোববার এসএফএন প্রতিনিধি ঘুরে ৪ ঘন্টা সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড, ঝাউতলা মুন হাসপাতালের সামনে, দক্ষিণ চর্থা সরকারী মহিলা কলেজ রোড, দক্ষিণ চর্থা ইপিজেড রোড, মনোহরপুর জেনারেল হাসপাতাল রোড, টমছমব্রীজ ইবনে তাইমিয়া স্কুল রোড, উত্তর চর্থা, ছাতিপট্টি, কুমিল্লা ষ্টেডিয়াম মার্কেট, দক্ষিণ চর্থা বড়পুকুর পাড়, রেইসকোর্স, ঝাউতলা, বাদুরতলা, ঠাকুরপাড়া, টমছমব্রীজ, নিউ হোস্টেলের সামনে গর্জনখোলা প্রতিটি সড়ক, চক বাজার থেকে রাজগঞ্জ হয়ে কান্দিরপাড়, শাসনগাছা পুরো সড়কটিই জরাজীর্ণ, জেলা প্রশাসক রোড, থিরাপুকুরপাড়, হাউজিং এষ্টেট, কাপ্তান বাজার রোড, চকবাজার, কান্দিরপাড়, দ্বিতীয় মুরাদপুর, হাউজিং এষ্টেট, ধর্মপুর সহ নগর এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাটই বড় বড় গর্ত হওয়ার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে কাদায় সৃষ্টি হয়। এতে নগরবাসী চলাচলে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নগরবাসীর এফএনএস কুমিল্লা প্রতিনিধির নিকট অভিযোগ করে বলেন- মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচনী ইস্তেহার হিসেবে নগরীকে প্রথমে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করবেন। কিন্তু দীর্ঘ ২/৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পরিকল্পিতভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যদিও তিনি নিজে দাঁড়িয়ে ড্রেন পরিষ্কার করেন। কিন্তু এতে কোন লাভ হবে না। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা ও মাটিগুলো পুনরায় ড্রেনেই পড়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনে আরও মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। এতে নগরজীবনে দুর্ভগে চরম আকারে পৌছবে। এখনই সুযোগ জরুরী ভিত্তিতে সরু ড্রেন গুলো প্রশস্ত করা ছাড়া পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়।
কুমিল্লা মুরাদনগরের গাছ উপড়ে পড়ে এক নারী নিহত ও আহত ২জন
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ স্থানীয়রা জানায় আজ বিকাল পৌন ৪টায় জেলার মুরাদনগর উপজেলার মোরর্চাগাড়া গ্রামে দুপুর থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির এক পর্যায়ে ঝড় বাতাসে বাড়ির ২টি গাছ উপড়ে পড়ে । এসময় রান্না ঘরে থেকে বড় ঘরে যাওয়ার পথিমধ্যে গাছ পড়ে মমতাজ বেগম নামের একজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আহত হয় অপর ২জন। আহতদের মুরাদনগরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হচ্ছে॥ এ ব্যাপারে মুরাদগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলঅ দায়ের করা হরেব বলে থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর জানায়।
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা সমস্যায় জর্জরিত জেনারেটর ও এক্সরে মেশিন অকেজো ১৪ বছর ধরে
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ নানা সমস্যায় জর্জরিত কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। রোগিদের চিকিৎসার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা থাকা দরকার এখানে তার কিছুই নেই বললেই চলে। লোকবল সংকটের কারনে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগিরা। শূন্য পদে রয়েছে মেডিসিন, সার্জারী, এনেসথেসিয়া, চক্ষু ও অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পদ। এছাড়াও এমও অ্যানেসথেসিয়া, এমও ভেষজ, এমও ডেন্টাল নাক, কান, গলাও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পদেও কেউ নেই। স্বাস্থ্য সহকারী, ক্যাশিয়ার, অফিস সহকারী, পরিসংখ্যান, জুনিয়ন মেকানিকের পদও শূণ্য। এছাড়াও এ হাসপাতালের প্রায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যে একটি এম্বুলেন্স র্দীঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। অপরটি দিয়ে দূরপাল্লায় সম্ভব হচ্ছেনা। হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তার অবস্থা দেখলে মনে হয় সারা বছরই বর্ষা। এক্স্ররে মেশিন, এম্বুলেন্স ও জেনারেটরও অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। মুরাদনগরে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ৩০০ এম এম উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সরে মেশিনটি র্দীঘ ১৪ বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। ১৯৯৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার আমলে এক্সরে মেশিনটি এই হাসপাতালে প্রদান করেন। জানাগেছে, এক্সরে মেশিনটি হাসপাতালে স্থাপন করার পর দক্ষ ট্রেকনিশিয়ানের অভাবে প্রায়ই অচল হয়ে যেত। আবার ইচ্ছে করেই এটিকে অচল বানিয়ে রাখা হত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক ব্যবসায়ীরা এক্সরে মেশিনটিকে অচল রাখার ব্যবস্থা করত। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনিময়ে মোটা অংকের মাসোয়ারা নিতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মেশিনটির ট্রেকনিশিয়ান আবু ইউসুফ খান জানান, কি বোর্ডের সমস্যার কারনে এক্সরে মেশিনটি সচল রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। একাধিক বার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এ হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা নিতে আসা দরিদ্র রোগিরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এবং অধিক মূল্যে বাইরের ক্লিনিক থেকে এক্সরে করাতে বাধ্য হন। গত ১৪ বছর ধরে এক্সরে মেশিন ও জেনারেটর বিকল থাকার ফলে এখানে হারিকেনের আলোয় চলে জরুরী অপারেশন। এর মধ্যে গত কিছুদিন থেকে পানি সরবরাহের মেশিন বিকল হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভরসা এই সরকারি হাসপাতালটি নানাহ সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলছে দৈন্যতার মধ্যে দিয়ে। এখানে পানি নেই, ডাক্তার নেই, বিদ্যুৎ থাকেনা দিনেই মশার অত্যাচারে রাত পার করতে গিয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছি বলে জানান, মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হওয়া পাহাড়পুর গ্রামের শামিম মিয়া। ২০০৬ ইং সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নীত করা হয়েছে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। গত ১৪ বছর থেকে একমাত্র এক্সরে মেশিন ও জেনারেটরটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে স্টোর রুমে। স্টোর রুম কিপার হারুন-অর-রশিদ জানান, এক্সরে মেশিনটি মাত্র ক’দিন চলার পর বিকল হয়ে পড়ে আছে। এদিকে জেনারেটর না চালানোর ফলে জরুরী রোগিদেরকে হারিকেনের আলোয় অপারেশন করতে বাধ্য হয় ডাক্তার, এতে করে চরম ঝুঁকি নিতে গিয়ে হরমামেশা রোগির অভিভাবকদের তোপের মুখে পড়তে হয়, বললেন হাসপাতারের বর্তমান টিএইচ এন্ড এফপিও ডাক্তার আব্দুল মতিন। সাড়ে ৫ লাখ উপজেলা বাসির একমাত্র স্বাস্থ্য সেবার হাসপাতালটি জরুরী ভাবে সমস্যা সমাধান করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার দাবি এলাকাবাসীর। এবিষয়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম সিদ্দিক জানান, বিষয় গুলো উর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন।
কুমিল্লায় TSY বুটিকস্ এর শো-রুমের শুভ উদ্বোধন
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মহানগরী’র কান্দিরপাড় নজরুল এভিনিউ ১১৫, আর্টিসান নাসির সেন্টারের নীচতলায় গতকাল রোববার বিকেল ৩টায় TSY বুটিকস্ এর শো-রুম শুভ উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন- কুমিল্লা’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাজিদ হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা হেড কোয়ার্টারের সহকারি পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাড. তৌহিদুর রহমান, অ্যাড. জসিম উদ্দিন আবাদ, অ্যাড. এস.এম রফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক সভাপতি জসিম খাঁন, টিএসওয়াই বুটিকস্ এর উপদেষ্টা মোঃ শাহ জাহান চৌধুরী ও স্বত্ত্বাধিকারী জিয়াউল হাসান চৌধুরী সোহাগ, ল’ সার্পোট সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ কুমিল্লা জেলা শাখা’র সভাপতি সোয়েবুর রহমান সোয়েব, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাড. এ.কে.এম তানিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষানুবিস অ্যাড. তাপস চন্দ্র সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ সালাম, ছাত্রলীগ নেতা গোলাম সারওয়ার কাউসার, মিজানুর রহমান সোহাগ, বাবর মুনাফ প্রমুখ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তমা, জুতি, ফাহিমা ও হিমি সহ শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (ইভিনিং) প্রোগ্রামে ভর্তি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ (ইভিনিং) প্রোগ্রাম সামার ২০১২ সেশন এর ভর্তি কার্যক্রম আজঃ তারিখ থেকে শুরু হবে। ব্যবসায় প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা অনুষদের দুই বছর মেয়াদি এমবিএ প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আজ থেকে ৮ মে ২০১২ তারিখ পর্যন্ত দরখাস্ত সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় জনতা ব্যাংক শাখা ও কান্দিরপাড় জনতা ব্যাংক শাখা, কুমিল্লা হতে ১০০০/ (এক হাজার ) টাকার বিনিময়ে আবেদন পত্র সংগ্রহ করা যাবে। আবেদন পত্রের সাথে ৩ কপি পাসপোর্ট আকারের রঙিন ছবি এবং সকল পরীক্ষার সনদপত্রের কপি জমা দিতে হবে। এমবিএ প্রোগ্রামে মোট ৬৬ ক্রেডিট পড়ানো হবে। মেজর বিষয় হিসেবে একাউন্টিং, মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস ( এইচ আর এম ও আই এম) অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত যে কোন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় অবশ্যই ৬ পয়েন্ট থাকতে হবে ( পয়েন্ট সংক্রান্ত তথ্য ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে) এবং একটির বেশি তৃতীয় শ্রেণী/বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট www.cou.ac.bd এ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। হেল্পলাইন:০১৭১৬৮৭১৮৮৬, ০১৭১১৮৮৮৯৮৬, ০১৫৫২৪২৮৫৩৭, (সময়: সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪টা)
Discussion about this post