নাসরিন আক্তার মৌসুমী: আমি দীর্ঘ ১৭টি বছর ধরে কুয়েতে বসবাস করছি। তখন থেকে স্বপ্ন দেখছি কবে কুয়েতের বুকে একটি বাংলাদেশী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হবে। আমার সাথে সাথে হাজারও বাংলাদেশী ভাই- বোনদের স্বপ্নও তাই। বহুবার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার একটা আশ্বাসও পেয়েছি। কত জ্ঞানী-গুনি জনেরা চেষ্ঠাও করেছেন। চারদিকে হৈ-চৈ, গুঞ্জন স্কুল নিয়ে,। এইতো স্কুল হচ্ছে, হয়ে যাচ্ছে বা হওয়ার পথে। কিছুদিন এই রকম হৈ-চৈ এর পর আর কোন সাড়া-শব্দ থাকে না। তাদের এত চেষ্ঠার পরও একটা স্কুল বানানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। এতদিন পরে আবার স্কুল নিয়ে আশার আলো জেগে উঠেছে। কারন এখন যে আমাদের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন স্যার অত্যন্ত কর্মপরায়ন এবং নিষ্ঠাবান। তিনি আমাদের জন্য কিছু একটা করে কুয়েত থেকে বিদায় নিতে চান। তাই তার চিন্তা-চেতনায় কি করা যেতে পারে ? এখানে আমরা যারা বসবাস করছি মোটামুটি সবাই ভাল আছি, আনন্দে আছি, আল্লাহর রহমতে আমাদের কোন কিছুরই অভাব নাই। শুধুমাত্র আমাদের অভাব একটাই আর সেটা হলো কুয়েতের বুকে একটা বাংলাদেশী স্কুল। আমরা তার এই সৎ ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে এখানে যারা বিশিষ্ঠজন আছেন তাদের কাছে আমাদের একটাই অনুরুধ অনুগ্রহ করে আপনারা সবাই মিলে একসাথে হয়ে রাষ্ট্রদূতকে সহযোগিতা করে কুয়েতের বুকে একটি বাংলাদেশী স্কুল গড়ে তুলুন। কারন স্যারের নেতৃত্বে আপনাদের সহযোগিতায় এবার একটা স্কুলের আশা করতে পারি। কুয়েতের বুকে অনেক রাষ্ট্রদূত এসেছেন বা আসবেন কিন্তু এই রকম একজন রাষ্ট্রদূত আর নাও আসতে পারেন। আর এটাও সত্য স্যারের একার পক্ষে একটা স্কুল বানানো সম্ভব নয়। অন্তত পক্ষে আমরা যারা এখানে পরিবার নিয়ে আছি তাদের কথা চিন্তা করে একটা স্কুল বানানোর দরকার। তাই নিজেকে বড় না ভেবে, অন্যকে ছোট না মনে করে। আমরা সবাই বাঙ্গালী, এই কথাটির উপর ভিত্তি করে দল-মত নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় একটি বাংলাদেশী স্কুল গড়ে তোলাই হবে আমাদের সাফল্য। দেশ আমার দেশের সম্মান আমার। তাই দেশের কথা ভেবে আমরা সবাই মিলে ভালো কাজ করে দেশের সম্মান বয়ে আনি। আর একজনকে ধন্যবাদ না জানালেই নয়। সে হচ্ছে জনাব শহীদ ইসলাম পাপুল ভাই। যার অক্লান্ত পরিশ্রমেই একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আর আসুন আমরা নিজেকে কোন দলের না ভেবে নিজেকে বাংলাদেশী হিসাবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বাংলাদেশী স্কুল গড়ে তোলার প্রত্যয় করি। ইনশা আল্লাহ জয় আমাদের হবেই।
Discussion about this post