
মঈন উদ্দিন সরকার সুমন: বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এর আয়োজনে এবং সিটি ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ এর সৌজন্যে প্রফেসর হুমায়ুন কবির এর পরিচালনায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসীদের রেমিটেন্স এর উপর বিস্তারিত আলোচনায় প্রধান বক্তা গভেষক ও বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থনীতিবিদ এবং কনসালট্যান্ট ড. রইসুল আওয়াল মাহমুদ। আরো বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সিটি ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার টি.ভি রেডি। বক্তারা প্রবাসী রেমিটেন্স এর উদ্দেশ্য জানা, কি ভাবে দেশে যায়, এতে দেশের কি উপকার এবং কি ভাবে এই উপকার হয়, বৈধ ভাবে এই রেমিটেন্স গেলে দেশের এবং নিজের কি উপকার, অবৈধ উপায়ে গেলে দেশের এবং প্রেরণকারির কি ক্ষতি হয় এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বক্তারা হুন্ডিতে টাকা লেন-দেন কারি সকলে দেশের আইনে অপরাধি দেশের শত্রু। এদের কারনে দেশের অর্থনীতিতে সে ক্ষতি হয় এর থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সে সময় প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরদেন বক্তারা।
সেমিনারে প্রবাসীরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এর মধ্যে অনেকে জানতে চান দেশের অর্থনীতিতে তাদের এত অবধান থাকলে সরকার প্রবাসীদের কি সুবিধা দিচ্ছে। প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে গিয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের ভাল কোন স্কুল কলেজে ভর্তি করতে সে সমস্যা তার থেকে পরিত্রান, দেশে কোন ব্যবসা বাণীজ্যে বা ঘর-বাড়ী করতে গেলে চাদাঁবাজী সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অযথা হয়রানি বন্ধ করা সহ প্রবাসীরা দেশে পদে পদে। প্রবাসীরা জানতে চান সংখ্যায় সামান্য কিছু লোক হুন্ডির সাথে জরিত এদের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে যে সুযোগ সুবিধা পায়, প্রবাসীদের জন্য তৈরি প্রবাসী ব্যাংক সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান সেসব সকল সুবিধা দিতে পারেনা কেন? হুন্ডি বন্ধ করতে শুধু আইন নয়, সরকার প্রবাসী ব্যাংক কে কার্যউপযোগি করা সহ প্রবাস থেকে টাকা পাঠাতে স্থানীয় আইন এর বিভিন্ন সম্যস্যা গুলির সমাধান করার মত প্রকাশ করেন। সমাপ্ত বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাবউদ্দীন, এনডিসি, পিএসসি সবাইকে দেশ প্রেমীক হতে আহবান জানান। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post