কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি (অব.) কুয়েতের বুকে অনেক রাষ্ট্রদূত এসেছেন বা আসবেন কিন্তু এই রকম একজন রাষ্ট্রদূত আর নাও আসতে পারেন, বিগত ২ বছর ৬ মাস কুয়েতে বাংলাদেশর দায়িত্ব পালন করে এই ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারী চাকুরীর চুক্তির মেয়াদ শেষান্তে দেশে প্রত্যাবর্তন করছেন। সামরিক বাহিনীতে তিনি দীর্ঘ ৩৬ বৎসর অত্যন্ত সুনাম, সততা এবং সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন তেমনি রাষ্ট্রদূত হিসাবে তার সাফল্যের তালিকা ও অনেক দীর্ঘ ও প্রশংসিত।
দুই লক্ষ প্রবাসীর কুয়েতে তিনি ছিলেন দলমত, আঞ্চলিকতা নির্বিশেষে সকলের রাষ্ট্রদূত। ধনী গরীব সকলের একাšত আপনজন। এই চললিশ বছরের দূতাবাসের ইতিহাসে তিনি সকল প্রবাসীর মনের দাবী একটি বাংলাদেশ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেনে। যেখানে আমাদের ছেলে মেয়েরা জাতীয় সংগীত গায় এবং দেশকে জানতে পেরেছে।
প্রবাসীদেশ দূঃখ কষ্ট লাঘবে, সামান্য বিনেদন প্রদানে সর্বপরি দূতাবাসের সার্ভিস প্রদানে কুয়েত রেডিও তে সপ্তাহে ৩ দিন প্রাইম সময়ে ১ ঘন্টার বাংলা প্রোগাম একান্ট তার প্রচেষ্টায় শুরু করেন। দীর্ঘ ৮ বৎসর পর ২০১৪ থেকে পুনরায় বাংলাদেশের ভিসা খুলতে সক্ষম হন। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে বিপুল বাংলাদেশী এখানে আবার আসতে পারবেন।
– হেল্পলাইন ও ওপেন ডে ফোরাম করে দূতাবাসকে জনগনের কাছে নিয়ে যান। – শ্রমিকদের বাসস্থান, কর্মস্থান ভিজিট কওে তাদের খোঁজ খবর নেয়া। – সপ্তাহে ১ দিন ১ ঘন্টা করে কেটিভি তে বাংলা প্রোগ্রাম চালুকরন – বাংলা নববর্ষ, বিজয় দিবসে বড় করে সাংস্কৃতিক অনুাষ্ঠান করে প্রবাসীদের সামান্য বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করেন। – সাফল্যের সাথে সময়ের আগেই এমআরপি পাসপোর্ট সম্পন্ন করন।
– ফুটবল লীগ, ক্রিকেট লীগ, হাডুডু খেলা প্রবাসীদেও মাঝে ব্যাপক সাড়া যুগিয়েছে। – দূতাবাসকে সম্পূর্ন শৃংখলার মধো এনে প্রবাসীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা – আমাদের রাষ্ট্রদূতের অত্যান্ত প্রচেষ্টায়, বাংলাদেশীরা আজ সকল ধরনের অপরাধজনিত কাজ থেকে বিরত হয়েছেন। উনি বিভিন্ন স্থানে, মসজিদে অসাধরন বক্তব্যেও সাহায্যে সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে দেশের ভাবমুর্তি উন্নয়ন করেছেন। এখন আর এখানকার নিউজ পেপারের বাংলাদেশকে হেয় করে কোন নিউজ হয় না।
আরও কতকিছু করেছেন বলে শেষ করা যাবে না। পিঠা উৎসব, কবিতা উৎসব, বাচ্চাদের জন্য অনুষ্ঠান। দ্রুততম সময়ে মৃত বাংলাদেশীর লাশ দেশে প্রেরন, ইয়েমেন থেকে সকল বাংলাদেশীকে নিরাপদে ফেরত প্রেরন। কুয়েত প্রবাসীরা একজন অভিভাবক হারাবে একজন সত্যিকারের বন্ধুকে অনেক দিন মনে রাখবে। এমনি যদি আমাদের সকল দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতগন কাজ করেন তবে বিদেশে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে যেত এমনটা মনে করেন দুইলক্ষ্য বাঙালী কুয়েত প্রবাসী ।
আল আমিন রানা ( কুয়েত সংবাদদাতা )
Discussion about this post