মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। গরমে ৫০ ডিগ্রীর উপরে থাকে তাপমাত্র। এসময় কর্মজীবী অথবা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কুয়েতের মানুষ তেমন একটা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন না। সে সেময় কুয়েতে অসহনীয় গরম আর ধূলিবাতাসে চলে প্রবাসীদের সংগ্রামী জীবন। অক্টোবর শুরু থেকে প্রকৃতিতে আসা শুরু করেছে শীতের আগমনী বার্তা। সূর্যের তাপের প্রখরতাও কমার কারনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন কুয়েতের মানুষ। কুয়াশার আঁচলে আচ্ছাদিত ভোরের বাতাস। কুয়েতে শীতের সময় আরবদের একটি ঐতিহ্য শীত মৌসুমে শহর থেকে দুরে মরুভুমিতে তাবুতে অবসর সময় কাটানো। সেই ঐতিহ্যের কিছুটা ছোঁয়া লাগে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যেও। স্বপরিবারে কুয়েতে থাকার কারণে প্রতিবছর অনেক প্রবাসীদের দেশে যাওয়া হয়ে উঠে না। দেশে যেতে না পারলেও কয়েকটি পরিবার মিলে শীত মৌসুমে চলে যান মরুভুমিতে। হাজার মাইল বিস্তৃর্ন মরুভুমিতে ভ্রমন বিলাসী কখনো কিছু পরিবার, অথবা ব্যাচেলর প্রবাসী কিংবা কোন সংগঠন মিলে এই ভ্রমনের আয়োজন করেন। ছুটির দিন গুলি কাটান তারা। এমনই এক মিলন মেলার আয়োজন করেছে কুয়েতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কুয়েত প্রবাসীরা। এই মিলন মেলায় কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কয়েক শত প্রবাসী ও তাদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন। কর্মব্যস্ততার কারনে অনেক প্রবাসী একে অন্যের সাথে তেম একটা দেখা হয় না। এই মিলন মেলায় এসে আনন্দ করার অভিমত ব্যক্ত করেন।
আনন্দ ভাগাভাগি করতে পিছিয়ে ছিল না প্রবাসী গৃহিণীরাও ।
শিল্প-সাহিত্য-সংগীত-সংস্কৃতির তীর্থভূমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাউলগান, মুর্শিদী গান, মারফতি গান, জারি – সারি সহ বিভিন্ন গান চলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। এর পাশাপাশি একদিকে গরু জবাই রান্না বান্নায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অন্যদিকে কোমল মতি শিশুরা খোলা জায়গা পেয়ে খেলাধুলায় মেতে ছিলো ভূবন ভুলে।
অবসর সময়ে একটু আনন্দ এবং কুয়েতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কয়েক হাজার প্রবাসী এবং অন্য প্রবাসীদের মধ্যে একে অপরের সাথে পরিচয় ছিলো এই মিলন মেলার মুল উদ্যেশ্য বলে জানান এই মিলন মেলার আয়োজক মাইন উদ্দিন মঈন ।
প্রবাসে বিভিন্ন জেলার প্রবাসীদের এমন আয়োজন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মতনির্বিশেষে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল করার পাশাপাশি সবাইকে মানবতার ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে বলে মনে করেন প্রবাসীরা।
কুয়েতে বাঞ্ছারামপুর প্রবাসীদের আয়োজনে মিলন মেলা, উপস্থিত শত শত প্রবাসী ও তাদের পরিবার। এমন আয়োজনে প্রবাসীদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় হবে মনে করেন প্রবাসীরা।
Discussion about this post