কুয়েত প্রতিনিধিঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র ৬৯তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত বিশাল আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ স্কুল পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী শহিদ ইসলাম পাপুল এর কাছে কুয়েতে কয়েক ভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে এক করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত আওয়ামী লীগ এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সমর্থক গোষ্ঠীর সকল নেতাকর্মী এ দাবি জানান। বৃহঃস্পতিবার রাতে কুয়েত সিটির রাজাধানী হোটেলের হল রুমে প্রবীন সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মোয়াজ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কুয়েতে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার স্মৃতিচারন করেন অনেকে। মোয়াজ উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন কুয়েতে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার শুরু হয় শহিদ ইসলাম পাপুল এর বাসায়। তখন পাপুল এর বাসাকে তারা অফিস হিসেবেও অনেকদিন ব্যবহার করেছেন বলে জানান। শুধু বাসা নয় বিভিন্ন সময়ে কুয়েতে আওয়ামী লীগ কে আর্থিক ভাবে অনেক সহযোগিতা করে আসছেন শহিদ ইসলাম পাপুল। আজ কুয়েতে আওয়ামী লীগ এর গ্রুপিং এর কারনে আওয়ামী লীগ এর দুরনাম হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রান পেতে বর্তমানে কুয়েতে একজনই পারে তিনি শহিদ ইসলাম পাপুল। এছাড়াও অনেক বক্তা তাদের বক্তব্যে প্রধান অতিথিকে কুয়েত আওয়ামী লীগ কে এক করার হাল ধরতে অনুরোধ করেন। এবং কুয়েতে আওয়ামী লীগ এর দলীয় কোন্দলের অবসানে কাউন্সিলের ব্যবস্থা করারও দাবী জানান নেতারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের অনেক গুলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত। এর মধ্যে সেচ্ছা সেবক লীগ সভাপতি মাসুদ করিম, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. হানিফ মিয়া, পেশাজীবি লীগ সভাপতি রাশেদ পাঠান, যুবলীগ আহবায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল, আওয়ামী ফাউন্ডেশন সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুলু সহ আরো কয়েকটির অনুমোদন রয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক। এদের মধ্যে অনেক গুলোর অনুমোদনহীন আরেকটি গ্রুপ মাঠে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের অনেক গুলোর অনুমোদন থাকলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কুয়েত শাখা নামে বর্তমানে তিনটি কমিটি মাঠে আছে এদের কারো বর্তমানে কোন অনুমোদন নেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দাবী সহযোগি সংগঠনগুলোর।
বর্তমানে মূল কমিটির মধ্যে মোহাম্মদ সাদেক হোসেন নেতৃত্বে একটি, সেকান্দর আলী নেতৃত্বে একটি এবং আবদুর রব মাওলা এর নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি মাঠে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কুয়েত শাখা নামে হঠাৎ মাঝে মধ্যে কিছু মৌসুমী কমিটির কার্যক্রম মাঠে দেখা যায় দেখা যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন জনাব শহিদ ইসলাম পাপুল বলেন দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, জঙ্গিবাদ দমন, কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব, বিদ্যুৎখাতে উন্নয়নসহ বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরবের আসনে নিয়ে গেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর চ্যাম্পিয়নস অব দ্য অর্থ পুরস্কার পাওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে জননেত্রীর হাতকে শক্তিসালি করতে সবাইকে ঐক্য হতে হবে। কুয়েতে আওয়ামী লীগ নিয়ে যে গ্রুপিং আর চেয়ার এর লড়াই চলছে এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। দল ও দেশের সুনাম রক্ষার্তে কুয়েতে আওয়ামী লীগ নাম নিয়ে সকল প্রকার হট্রগুল থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। সবার প্রতি আহবান করে বলেন আপনার সবাই ঐক্য হলে প্রয়োজনে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করে কাউন্সিল করার ব্যবস্থা করার আশা ব্যক্ত করেন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ প্রবাসী নেতা আবদুল মান্নান বাবু, আওয়ামী ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুলু, সেচ্ছা সেবক লীগ এর সভাপতি মাসুদ করিম, জাতীয় শ্রমিক লীগ এর সভাপতি মো. হানিফ মিয়া, যুবলীগ এর আহবায়ক ইমাম উদ্দিন বাদল, এম.ডি সেলিম, রহমান, শামিম আহমেদ, আলিম উদ্দিন, আখলাকুল আম্বিয়া সহ আরো অনেকে।
আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মোহাম্মদ আবদুল হাই ভুইয়া। পরে কুয়েতের স্বরণকালে সবচেয়ে বড় কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা।
Discussion about this post