বাংলার নিশান কে বহন করে বিশ্বব্যাপী ঘুরছে সেই বিমান। বিমানের প্রতি মান অভিমান, ভাল খারাপ যাই থাক তবুও দেশের সম্পদ। কুয়েত প্রবাসীরা কোন দৃষ্টিতে দেখেন বিমান কে, কি কি অভিযোগ বিমানের প্রতি আর কিবা তাদের দাবী বিমানের কাছে প্রবাসীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও দাবী সমুহ জানাতে বিমানের কুয়েত কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলামের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ টিভি জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন কুয়েতের সাংবাদিকবৃন্দ। বাংলাদেশ টিভি জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়ির সহ সভাপতি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, শরিফ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আ. হ. জুবেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন রানা।
১৫ জানুয়ারী সোমবার রাতে বিমানের কুয়েত কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলামের সাথে কুয়েত সিটির মালিয়াস্থ বিমান অফিসে প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও বিমানে ভ্রমনে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা আলোচনা হয়। ওই সময় বিমানে কুয়েত থেকে যাওয়ার সময় ৫০ কেজি মালামাল বহনের পূর্বের সুযোগটি পুনরায় করে দেশ থেকে ফেরার সময় সমান ওজনে মালামাল বহন করার দাবী জানানো হয়। কুয়েতে প্রায় তিন লাখের উপরে প্রবাসী বাংলাদেশী অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে যারাই দেশে যায় এর ৬০ থেকে ৭০ ভাগ প্রবাসী ডিউটি ফ্রি থেকে দুধ ও ট্যাঙ্গ ক্রয় করেন যা স্থানীয় লোকাল বাজার থেকে শত ভাগ বেশী মূল্য।
বিমানে বহনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজনে মালামাল নিলে প্রতি কেজিতে পাঁচ দিনার মূল্য দিতে হয়। সেই দিকটি চিন্তা করে অনেক প্রবাসী ডিউটি ফ্রি থেকে শপিং করেন। এই শপিং রেমিটেন্স ক্ষাতে বড় একটি প্রভাব পরে। কারণ সাধারণ এক হিসেবে ধারণা করা যায় প্রতি মাসে শুধুমাত্র কুয়েত থেকে যেই যাত্রী বাংলাদেশে যায় তাদের ৫০ শতাংশ যে শপিং করে তাতে কমপক্ষে প্রায় দুই কোটি টাকার রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। অতিরিক্ত ওজনে মালামাল নিলে প্রতি কেজিতে একটা সহনীয় মূল্য নির্ধারণ করলে সেই টাকা বিমানের মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্সকে বৃদ্ধি করার সুযোগ হবে। শুধু তাই নয় এতে সাধারন অনেক প্রবাসী কার্গো ব্যবসার নামে কিছু প্রতারকের কাছ থেকে মুক্ত থাকবেন বলে প্রবাসীরা মনে করেন। বর্তমানে কুয়েত থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামে সরাসরি কোন ফ্লাইট নেই। কুয়েতে সিলেট প্রবাসীদের দাবী এখানে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার সিলেট প্রবাসী আছেন। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ও অসংখ্য প্রবাসী আছেন তাদের সুবিদার্থে মাসে অন্তত্য দুইটি ফ্লাইট কুয়েত থেকে সরাসরি সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে দেয়ার প্রবাসীদের দাবীটি জানানো হয়। যে কোন এয়ারলাইন্সে ভ্রমনের ক্ষেত্রে যে আইন ও বিধি নিষেধ আছে এই বিষয়ে সাধারণ প্রবাসীদের সচেতন করতে বিভিন্ন সেমিনার ও প্রচারণা চালানোর অনুরোধ করা হয়। বিমানে সিডিউল ঠিক না থাকার কারণে প্রবাসীদের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। এছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়। বিমানের কুয়েত কান্ট্রি ম্যানেজার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম সকল বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়ে জানাবেন বলে সাংবাদিক নেতাদের আশ্বস্ত করেন। সে সময় তিনি প্রশংসা করেন সাধারণ শ্রমিকদের। তিনি আরো বলেন বিমান বাংলাদেশের সম্পদ এই সম্পদ রক্ষা করা প্রত্যেকটি দেশ প্রেমিক নাগরিকের কর্তব্য। মান অভিমান, ভাল খারাপ যাই থাক তবুও দেশের সম্পদ এই বিমানে ভ্রমন করে দেশের রেমিটেন্স ক্ষাতকে বৃদ্ধি করার আহবান জানান প্রবাসীদের।
Discussion about this post