দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটি সহ বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মিলিটারি কন্টিনজেন্ট সমুহে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এই দিনে বিভিন্ন মসজিদগুলোতে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিরক্ষা শাখা এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কুয়েতে মিলেনিয়াম হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে (২১ নভেম্বর) রোববার কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন কুয়েতের জন্য বাংলাদেশের জনগনের অন্তরে রয়েছে বিশেষ স্থান। ডিফেন্স এটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাছের তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস শুধু বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাছেই নয় , বরং বাংলাদেশের আপামর জনগনের কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন দিবস ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর এসিস্ট্যান্ট চীফ অব স্টাফ , লঞ্জিস্টিকস এন্ড সাপ্লাই , মেজর জেনারেল খালেদ বেলাল আল ওবায়েদি । এছাড়া বিদেশী কূটনীতিক ও সামরিক এ্যাটাশেগন , স্থানীয় বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশী অতিথিগণসহ কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীগণ উপস্থিত ছিলেন। কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারী কন্টিনজেন্ট এর প্রশংসা করে মেজর জেনারেল খালেদ বেলাল আল ওবায়েদি বলেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভৌগলিক পরিমন্ডলেই নয় , আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আজ একটি সুপরিচিত নাম। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের এক নম্বর শাস্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণকারী দেশ হিসাবে স্বীকৃত । সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বিভিন্ন দেশের অতিথিরা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নানা কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে ঐদিন সকালে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসব মুখর পরিবেশে কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট (বিএমসি) সদর দপ্তর প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ মিলিটারী কন্টিনজেন্ট টু কুয়েত এর উদ্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দিবস্ উদ্যাপন করা হয়। বিএমসি সদর দপ্তর সুবহান সেনানিবাসে অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন ।
এছাড়াও কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর উর্ধর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ , বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে , বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং কুয়েতে বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ওই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আমন্ত্রীত অতিথী হিসেবে উপস্হিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কমান্ডার বিএমসি , ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন । এরপর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ‘ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ‘ এর তাৎপর্যতা এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে গৌরবময় বন্ধুত্বপূর্ণ ইতিহাসের উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন ।
দিবসটিতে বিএমসি’র সদস্যগণের মনোমুগ্ধকর ব্যান্ড প্রদর্শনী , মনোজ্ঞ শরীর চর্চা ও কুচকাওয়াজ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে মনোমুগ্ধ করে। এর পাশাপাশি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও ১৯৯১ সাল থেকে বিএমসি’র ক্রমধারার উপর একটি দর্শনীয় চিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয় যা আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের জন্য ছিল একটি বিশেষ আকর্ষণ। অন্যদিকে বিশেষ এ দিনটিকে স্মরণীয় করার জন্য বিএমসি ম্যাগাজিন -২০২১ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয় ।
Discussion about this post