এফএনএস(মঈন উদ্দিন সরকার সুমন, কুয়েত) : কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৩ পালন করা হয়। বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিকদের সম্মানার্থে অভ্যর্থনা আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিরক্ষা শাখা। এই দিনটি পালনে ২৪ নভেম্বর ২০১৩ রবিবার সন্ধ্যায় হোটেল ক্রাউন প্লাজায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিরক্ষা শাখা কর্তৃক এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আগত অতিথিগনকে বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের মান্যবর রাষ্ট্রদুত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন, এনডিসি, পিএসসি, এবং দূতাবাসের ডিফেন্স এ্যাটাচী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাসিমুল গনি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, প্রথম সচিব কে.এম আলী রেজা অভ্যর্থনা জানান। মধ্যপ্রাচ্য ও সার্কদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশের অসংখ্য সামরিক ও বে-সামরিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা এ্যাটাচী ও রাষ্ট্রদূত, ষ্টাফ কলেজের বিদেশী ছাত্র অফিসার, ইউএস, ফ্রাস ও ব্রিটেনের মিলিটারী কন্টিনজেন্টের অফিসার, বাংলাদেশী ড., ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী , সাংবাদিকগন এবং বিএমসির সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাগন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মঞ্চের দু পাশে দুদেশের জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে এই অনারম্ভর অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর এ্যাসিঃ চীফ অব ষ্টাফ ফর এডমিনিষ্ট্রেশান এ্যান্ড ম্যানপাওয়ার মেজর জেনারেল সোলায়মান ফাহাদ আল হুয়াইল, পিএসসি কেক কাটায় অংশ নেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছিমুল গনি, সুচনা বক্তব্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পরিচিতি সংক্ষিপ্ত আকারে অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন। বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিজেন্ট ( বিএমসি ) ১৯৯১ সালের ২৫শে মে কুয়েতে আসে, সে সময় কুয়েত বাংলাদেশ যৌথ ভাবে বি.এম.সি স্থাপিত করায় আমীর শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল জাবের আল সাবাহ, ক্রাউন প্রিন্স শেখ নোয়াফ আল আহমেদ আল জাবের আল সাবাহ, প্রধান মন্ত্রী শেখ নাছের মোহাম্মদ আল আহমেদ আল সাবাহ, ডেপুটি প্রাইম মিনিষ্টার এবং ডিফেন্স মিনিষ্টার শেখ জাবের আল মোবারক আল সাবাহ, কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লে: জে: শেখ আহমেদ আল খালেদ আল সাবাহ পিএসসি কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সে সাথে ১৯৯০-৯১ সালে কুয়েতে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবধানের কথা স্বরন করিয়ে দেন। রাষ্ট্রদুত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন এবং প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল সোলায়মান ফাহাদ আল হুয়াইল বক্তব্যে কুয়েত ও বাংলাদেশ দুই দেশের বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদীর্ঘ করার আশা ব্যাক্ত করেন।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর স্বাধীনতা যুদ্ধে গৌরব উজ্জল ভূমিকা এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য, বর্তমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা এবং কার্যক্রম, শান্তিরক্ষী মিশন এবং বিএমসির কার্যক্রম, প্রশিক্ষন দক্ষতা ও মান প্রদর্শন করে বিভিন্ন দেশকে বাংলাদেশে প্রশিক্ষনার্থী প্রেরনে উৎসাহী করা, সশস্ত্র বাহিনীকে সহায়তাকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা তুলে ধরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হতে প্রদর্শিত জনবল গ্রহন ও সহযোগীতা বৃদ্ধি, জাতীয় উন্নয়ন এবং দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মানবিক কার্যক্রম, বাংলাদেশকে ভ্রমনের স্থান হিসাবে তুলে ধরতে বিভিন্ন গৌরবজ্জল ইতিহাস ও কর্মকান্ডের উপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন, চমৎকার চিত্র এবং পোষ্টার দ্বারা পুরো হলকে সুসজ্জিত করা হয়। প্রতিরক্ষা শাখার চীফ পেটি অফিসার মোঃ ছলিম উল্যাহ মজুমদার এর সঞ্চালনায় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের নকশা সন্মলিত একটি চিত্র প্রধান অতিথিকে উপহার দেন এবং প্রতিরক্ষা এাাটাচী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে ক্রেষ্ট এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
Discussion about this post