শেখ এহছানুল হক খোকন- কুয়েত ব্যুরো: বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতর উদ্যোগে সম্প্রতি শ্রম বাজার অনুসন্ধান ও সম্প্রসারনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত মত বিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অবঃ) মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন এনডিসি পিএসসি বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত। মত বিনিময় সভার সঞ্চলনা (দূতাবাসের করণীয় প্রামান্য দলিল তুলে ধরেন) করেন আব্দুল লতিফ খান কাউন্সিলার (শ্রম) বাংলাদেশ দূতাবাস, উপস্থিত ছিলেন ডিফেন্স এ্যাটাচি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাছিমুল গনি এনডিসি-পিএসসি, এস.এম মাহবুবুল আলম দূতালয় প্রধান বাংলাদেশ দূতাবাস, অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক, ব্যবসায়ী, ভিসা এজেন্ট এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । উক্ত মত বিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শ্রম বাজার অনুসন্ধান ও সম্প্রসারন কিভাবে প্রসারিত করা যেতে পারে, লামানা ভিসার ক্ষেত্রে মেনপাওয়ার এজেন্ট অধিক অর্থ নানিয়ে ভিসা বিক্রির বিষয় এবং সল্প টাকায় শ্রমিক ভিসা কিনে আসতে পারবে কি না সে বিষয়ে উপস্থিত সকলের মতামত জানতে চান ।
সভায় অনেকেই মতামত জানিয়ে যে বিষয় গুলো রাষ্টদূতের সামনে তুলে ধরেন সেগুলোর মধ্যে লামানা বাবৎ কত দিনার, ভিসা ব্যবসায়ীদের রেট, দালালদের লাভ, যে কোম্পানী থেকে ভিসা বের হবে সে কোম্পানীর লাভ, সর্বমোট ভিসার মূল্য ইত্যাদি ইত্যাদি। যেখানে ভিসার দাম বাংলা টাকা ২.৫ লক্ষ বা ৩.৫ লক্ষ টাকার বেশী হওয়ার কথা নয়, সেখানে ৭ লক্ষ টাকা কি করে ভিসার দাম হয় সে বিষয়ে মতামত দেওয়া শুরু হলে জাল জালাল কোম্পানী একজন অফিস কর্মচারী বলেন যদি কেউ তাহাকে ৭ লক্ষ টাকা করে প্রতি ভিসা বাবদ দেন তবে তিনি এক হাজার ভিসা দিতে পারবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে বাদ বিতন্ডা শুরু হয়ে যায় উপস্থিত বিভিন্ন জনের মধ্যে। সে সময় রাষ্ট্রদূত এক এক জনের কাছে ভিসার এত দাম কিকরে হয় জানতে চাইলে ভিসা ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন, কেন এত টাকা দিয়ে শ্রমিক দের আসতে হয়, এর কারন দূতাবাসের কিছু লোকজনও এসকল বিষয়ে ব্যবসা করতে বিভিন্ন কোম্পানী তে যান তার প্রমান স্বরূপ একটি কাগজ রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেন। যারা সিন্ডিকেট করে শ্রমিক দের গলা কেটে লামানা ভিসার অতিরিক্ত লাভ করছেন তাদের নাম কারো কারো মুখে প্রকাশ করেন । তাছাড়া ছোট ছোট দালাল, ভিসার এজেন্ট, দূতাবাসের কিছু সংখ্যক কর্তা ব্যক্তি একটি সিন্ডিকেট হয়ে কাজ করছেন। যেখানে দূতাবাসের নজর দারী হওয়ার কথা শ্রমিক বান্ধব অঙ্গন তা নাহয়ে ভিসার এজেন্ট হয়ে নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত হওয়ায় ফিশে মারছেন শ্রমিকদের। রাষ্টদূত যদি এই সকল ব্যক্তি দের সায়েস্তা করতে না পারেন তবে সাধারন প্রবাসী শ্রমিক দের ৭ লক্ষ টাকা উত্তলোন করতে ৭ বছর লেগে যাবে। এমতাবস্থায় শ্রম বাজার সম্প্রসারন বা সভা সেমিনার যাই কিছু করিনা কেন সরিষার মধ্যে যে ভুত রয়েছে তা নির্মূল করা প্রয়োজন বলে সাধারন প্রবাসীদের মতামত। যেখানে রাষ্ট্রদূত নিরলস ভাবে দেশের মান বৃদ্ধি এবং সুনাম অক্ষুন্ন ও শ্রমিকদের সুন্দর ভবিষ্যত এর জন্য সর্বাত্তক চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেখানে কিছু সিন্ডিকেট মিলে সহোয়োগীতা করার পরিবর্তে নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত । সচেতন মানুষ মনে করেন শ্রম বাজার সম্প্রসারন করতে হলে সকল সিন্ডিকেট গুলোকে একজায়গায় এনে মতামতের ভিত্তিতে লামানা ভিসার মূল্য হ্রাস করা যেতে পারে ।
Discussion about this post