শ্রীলংকার নতুন বছর উপলক্ষে গতকাল কুয়েত কাদিসিয়া স্টেডিয়ামে শ্রীলংকান এমব্যাসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো শ্রীলংকার নববর্ষের জমজমাট একটি অনুষ্ঠান….!
গতকাল কুয়েত কাদিসিয়া স্টেডিয়ামের চারপাশ দেখলে মনে হচ্ছিলো যেনো আমরা কিছুসময়ের জন্য শ্রীলংকায় আছি মাঠের ভেতরে বাহিরে ছিলো চোখে পরার মতো শ্রীলংকান প্রবাসীদের ভির।
ছুটিরদিন থাকায় তাদের আনন্দের মাত্রাটা ছিলো আরো বেশি। হাজার কাজের পর প্রবাসে এরকম একটা আয়োজন তাই মাঠের ভেতর এবং বাহির তিল পরিমানও ফাকা ছিলো না মাঠের বাহিরে ছিলো হরেক রকমের দোকান দেখে মনে হচ্ছিলো যেনো বাংলাদেশের কোনো বৈশাখী মেলা.. ।
একটা জিনিস লহ্মনীয় ছিলো শ্রীলংকানদের মতো একটা দেশ কুয়েতের মতো মুশলিম একটা দেশে এতো সুন্দর,সুষ্ঠুভাবে এতবড় একটা আয়োজন সম্পূর্ণ করতে পারে,ওইখানে দেখলাম না কোনো রাজনৈতিক দেন দরবার, কে হিন্দু,কে মুসলিম তা নিয়ে কোনো হানাহানি,,কে কার,কোন পার্টি করে তা নিয়ে কোনো তর্ক বিতর্ক !নববর্ষ উদযাপন করতে আসছে সকলে এক হয়ে দেশের বাহিরেও চোখে পরার মতো নববর্ষের আয়োজন করে তুলে দরলো তাদের কালচার তাদের সাংস্কৃতি।
আর আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের কথা বলি বা দূতাবাস,কোনো জাগায় রাজনৈতিক মুক্ত রেখে এই দরনের একটা অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করতে পারিনা জামেলা লেগেই থাকে।
সব কিছু যেমন-তেমন নিজের দেশের কালচারাল প্রোগ্রাম’গুলোতেও এক করা সম্ভব হয় না সবাইকে।সব জায়গায় আমাদের রাজনৈতিক প্যাচ লেগেই থাকে কেনো আমরা এক হয়ে কিছু করতে পারিনা কোথায় আমাদের সমস্যা..?বেঙের ছাতার মতো কুয়েতের আনাচেকানাচে এতো সংগঠন গড়ে উঠছে একমাস দরে চলে বৈশাখীর অনুষ্ঠান তাও শেষ হয়না যে যার মতো করে নববর্ষের অনুষ্ঠান কিন্তু সবাই এক ছাতার নিচে কেনো আসতে পারি না?সবাই মিলেমিশে একটা বড় দরনের অনুষ্ঠান করতে কেনো আমরা এক হতে পারি না? আমাদের কিসের এতো অহংকার!
আমাদের ভেতরে এতো অহংকারবোধ কেনোই বা কাজ করে তা একমাত্র আল্লাহুই ভালো জানেন। শ্রীলংকার মতো দেশ পারে প্রবাসে থেকেও একতা নিয়ে চলতে কিন্তু আমরা পারিনা । আফসোস লাগে…..!
“” রফিকুল ইসলাম রানা কুয়েত।
Discussion about this post