চলার পথে অনেকে অন্যের হারানো অনেক কিছুই পান। কেউ লোভ সামলাতে না পেরে নিজেই হজম করে নেন, আবার অনেক বিবেকের তারনায় ফেরত দেন। যদিও বর্তমান সময়ে ফেরত দেয়ার ঘটনা খুবই কম ঘটে।কুয়েতে টেক্সি চালানো এক প্রকার স্বাধীন কাজ, যে কাজে কাউকে স্যার ডাকতে হয়না, নিজের ইচ্ছেমত কাজে যাওয়া আসা করা যায়। এতে কারো কাছে সময়ের বাধা নিষেধ নেই। তাই অনেকে এই পেশাকে বেছে নিয়েছে। অগনিত প্রবাসীর এই পেশায় কর্মরত। এই পেশার শুরুতে একটি নতুন মডেলের গাড়ী কোম্পানি থেকে পান যা একটি নির্ধারিত মুল্য ৫ থেকে ৭ দিনার গাড়ীর মূল্য অনুযায়ী দৈনিক কিস্তিতে একটানা চার বছরে পরিশোধ করে সেই গাড়ীর মালিক হন।
কুয়েতে টেক্সি চালিয়ে জিবীকা নির্বাহ করেন মোহাম্মদ হোসেন রাজা, বাড়ী খুলনা সদরে। দীর্ঘদিন কুয়েতে আছেন। প্রতিদিনকার মত গাড়ী নিয়ে বের হন। কোন এক যাত্রী তার গাড়ীতে আইফোন, নগদ ১৬৫ দিনার (বাংলাদেশী টাকা প্রায় ৪৫ হাজার) ব্যাংক কার্ড সহ মানিব্যাগ রেখে চলে যায়। কোন ফোন নং না থাকাতে ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এক সহপার্টির পরামর্শে মানিব্যাগে থাকা ব্যাংকের কার্ড দেখে ব্যাংকে যোগাযোগ করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রাজার ফোন নং রেখে বলে মানিব্যাগ হারানো ব্যক্তির কোন খোঁজ পেলে তাকে ফোন করে জানিয়ে দেয়া হবে।তেমনটি হলো ব্যাংক থেকে ফোন করে ডাকা হলো মানিব্যাগ হারানো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। ফেরত দিলেন রাজার গাড়ীতে কুড়ে পাওয়া মানিব্যাগ। হারানো মাল পেয়ে মহা খুশি ঐ ইন্ডিয়ান।রাজার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তার গাড়ীতে ফেলে যাওয়া ছোটখাট সকল জিনিস হারানো ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেন। দোয়া চান সবার কাছে তার শত অভাবে যাতে স্বভাব নষ্ট না হয়, সততা বজায় রাখতে পারেন চিরদিন।
Discussion about this post