পবিত্র ঈদুল আযহা ২০১২ উপলক্ষ্যে সমন্বিত সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কুয়েত সিটির প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশীদের মিলন কেন্দ্র গুলশান হোটেলে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানটি আলোচনা,কবিতা আবৃত্তি,গান,কৌতুক সহ বিভিন্ন বর্ণিল আয়োজনে সাজানো হয়। সম্পূণ দেশীয় সংস্কৃতি তুলেধরে ঈদ উত্তর এ আয়োজনে নির্ম্মল বিনোদন উপভোগ করে সকলে। সমন্বিত সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত ঈদ উত্তর সৌহাদ বিনিময় ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের বিভিন্ন সামাজিক,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সাহিত্য সেবী হাজী জোবায়ের আহমেদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কে.পি.কো. ট্রাভেলস এর ম্যানেজার ও সাংস্কৃতিক অনুরাগী শাহ্ আলম।বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট রানৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক ফয়েজ কামাল,লেখক-প্রাবন্ধিক ও আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আলী আজম,বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও মাসিক মদিনার পথে সাময়িকির পাঠক ফোরামের সভাপতি আলী আব্দুল ওয়াহিদ,বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের মোল্লা ভাই এবং বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও একুশে টিভির প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন।
আলোচনা পর্বের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। অতিথিরা তাদের আলোচনায় সকলের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানান এবং কুয়েতের মাটিতে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারের জন্য কাজকরে যাবার আহ্বান জানান। সেইসাথে বিশ্ব দরবারে সামিল হতে বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির শুদ্ধ চর্চা ও বিকাশের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।বক্তারা সমন্বিত সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের হাত ধরে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি উত্তর উত্তর আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পর্বের শুরু হয় কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে আয়োজক সংগঠনের নিয়মিত আবৃত্তিকার কামরুজ্জামান বাবু, আবৃত্তিকার মাহবুবুল ইসলাম লিটন, আবৃত্তিকার সঞ্জীব ভদ্র চন্দন, আবৃত্তিকার শেখ এহসানুল হক খোকন, আবৃত্তিকার কান্ত পথিক ও আবৃত্তিকার শাহ্ সুমন রাহাত এ পর্বে আবৃত্তি করেন। এছাড়াও কবিতা পাঠ করেন। কবি আল আমিন চৌধুরী স্বপন,কবি ওমর ফারুক জীবন,কবি জাহাঙ্গীর হোসাইন বাবলু,কবি মোর্শেদ আলম বাদল,কবি মনিরুল হক এমরান,কবি আব্দুল হাই খান ও কবি আল আমিন রানা।অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করে বিভিন্ন নিয়মিত ও সৌখিন শিল্পীরা। ফাতেমার দেশাত্ববোধক গান দিয়ে সঙ্গীত পর্বের সুচনা হয়। এর পর সঙ্গীত পরিবেশন করে শিল্পী মানিক। পেরডি-মেলডি গান গেয়ে শোনান এহসানুল হক খোকন। শাহ্ সুমন রাহাতের সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যেদিয়ে সঙ্গীত পর্বের যবনিকা ঘটে। সঙ্গীত পরিবশনে তবলায় সহযোগিতা করে চাঁদ চৌধুরী। এরপর কৌতুক পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানটি যৌথ ভাবে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিল রিপোটার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও খবর গ্রুপের ব্যুরোচীফ শেখ এহসানুল হক খোকন ও কবি-আবৃত্তিকার কান্ত পথিক।ব্যাপক আনন্দ ঘন পরিবেশের মধ্যেদিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। বিশেষ ভাবে যেসব সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি অনুষ্ঠান কে আরো অথবহ ও আনন্দঘন করেছে তন্মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য- জাতীয় কবিতা পরিষদ কুয়েত,নজরুল মঞ্চ,সবুজ বাংলা শিল্পী গোষ্ঠী,রংধনু শিল্পাঙ্গন,স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠী,বিজয়া উদচযাপন পরিষদ,বঙ্গরূপা,Fতুরঙ্গা শিল্পী গোষ্ঠী,চট্রগ্রাম সমিতি,মানিকগঞ্জ সমিতি,জালালাবাদ সমাজ কল্যাণ সমিতি,জে.এস.ডি. সমর্থক ফোরাম,লেখক ফোরাম,রিপোর্টার্স ইউনিটি,খবর গ্রুপ অফ পাবলিকেশন লিঃ,প্রবাস বাংলা,দৈনিক ইয়াদ,কর্ম উদ্যোগ,ফ্রাইডে ফোরাম,ফেইসবুক ক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
অনুষ্ঠান শেষে নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।
Discussion about this post