বাংলার বার্তা – প্রবাসী সাহিত্য পরিষদ’র মুখপত্র ” জাগরণ” পত্রিকা প্রকাশের জন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ১৭ মে মঙ্গলবার রাতে কুয়েত সিটির রাজধানী
হোটেলে আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভুলুর
সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহীম এর সঞ্চালনায় সভায় আগামীতে
সংগঠনের কার্যক্রমের দিকনির্দশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কুয়েত প্রবাসী
বাংলাদেশী কবি সাহিত্যিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন এই সাহিত্য পরিষদ বিশ বছরের
উপরে এর কর্মধারা অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসীরা। বিভিন্ন সময়ে এর দায়িত্বভার
নিয়েছেন বিভিন্নজন। এবারের সংখ্যা প্রকাশের জন্য কবি সেলিম রেজাকে
দায়িত্ব দেয়া হয়। আলেচনায় বক্তারা বলেন এখানে বিভিন্ন সময়ে যে সাহিত্য
পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হয় তাতে হাজারো ভূলে সমৃদ্ধ থাকে। কবি সাহিত্যিক
দাবিদারেরা যদি বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য ভূল করেন তাহলে নতুন প্রজন্মকে কি
করে সঠিক সাহিত্য শিখাবে। ভূলের কথা বলতে গিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন প্রবাসে
কর্মব্যাস্ততা, সময় সংক্ষিপ্ততা সহ বাংলা টাইপিষ্টের অভাবে কিছুটা ভূল
হয়ে থাকে। তাছাড়া আমি সম্পাদক, এই সংগঠন আমার একক কর্তৃত্বের সেই ইগু
অনেক ক্ষেত্রে মূলধারার সাহিত্যকে বাধাগ্রস্ত করে। “আমি” বাক্যটি প্রবাসে
সাহিত্যাঙ্গনে এমন ব্যধি হিসেবে দাড়িয়েছে যার কারনে অনেক সংগঠন দিন দিন
নিষ্ক্রিয় হচ্ছে তেমনি প্রকাশের দিক থেকে সাহিত্য পত্রিকা গুলি শুধুমাত্র
নামেই শোনা যায়। অবশ্য প্রকাশের খরচ জোগাতে প্রবাসে তেমন বেগ পোহাতে হয়
না। কারণ অসংখ্য সাহিত্য প্রেমি প্রবাসিদের সহযোগিতার হাত সানন্দে বাড়িয়ে
দেন। কুয়েত প্রবাসী সাহিত্য প্রেমী সকলে আশা করেন আমি থেকে সরে এসে সঠিক
মূল ধারার সাহিত্য বিকাশে যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে বাংলা সাহিত্যের দায়িত্ব
অর্পন করবেন বিজ্ঞ প্রবাসিরা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও বাংলার বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক মঈন সুমন,
মৃত্তিকা সম্পাদক কবি সেলিম রেজা, মদিনার পথে সম্পাদক শরীফ মিজান,
পদক্ষেপ সম্পাদক আল আমিন স্বপন, কবি মোরশেদ আলম বাদল, এমরান সিকদার,
আহাদ, মাহমুদুর রহমান প্রমূখ।
Discussion about this post