মঈন উদ্দিন সরকার সুমনঃ অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীদের প্রতারণার শিকার সহ বিভিন্ন কারণে ৩০ হাজার শ্রমিক ২০১৬ সালে নিজ কর্মস্থল থেকে পলাতক গুরুত্বের সাথে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। কুয়েত সংসদের স্টাডিজ এবং রিসার্চ সেক্টর থেকে ডঃ রমজি সালামার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি গবেষণায় গবেষক ফাতেমা আর রমজির বরাত দিয়ে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
সাধারণ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে কুয়েতে বিদেশী শ্রমিকরা শ্রমবাজারে সর্বোচ্চ শতাংশে কাজ করছেন। অসাধু ভিসা ব্যাবসায়ীদের প্রতারনার শিকার যে সকল শ্রমিক তাদের মধ্যে ৩৮.৭ শতাংশ শিক্ষা প্রাথমিক স্তরের নিচে এবং ৩৪.৬ শতাংশ ইন্টারমিডিয়েট পাশ বলে ঐ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য রিপোর্টে কোন দেশের শ্রমিক তা উল্লেখ করেনি।
রিপোর্টে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে কিছু অসাধু ভিসা ব্যাবসায়ীরা এদেশে সাবেক ও বর্তমান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গরে তুলে। অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের কারণে বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি সহ বেশ কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরা হয়েছে।
একজন বাংলাদেশী শ্রমিক ভিসায় এদেশে আসতে প্রায় সাত লাখ টাকার মত খরচ হচ্ছে। যা অন্য দেশের তুলনায় ৮০ গুন বেশি। বর্তমানে অনেক কোম্পানির কন্ট্রাক না থাকায় অসংখ্য শ্রমিক কর্মহীন দিন কাটাচ্ছে এখানে। তাদের অনেকের নেই আকামা। প্রতারক চক্র শ্রমিক ভিসায় এখানে আসা প্রবাসীদের কন্ট্রাক্ট না থাকায় আকামা নবায়ন করতে না পারলে মেডিকেলে আনফিট সহ নানা অযুহাতে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
কিছুদিন পূর্বে একটি কোম্পানির চারজন প্রবাসীকে দেশে পাঠিয়ে দেয় তারা চার মাস কুয়েতে অবস্থান করেছিল। তাদের বিরোদ্ধে অভিযোগ তারা মেডিকেলে আনফিট। সেই খবরে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রবাসীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কাছে দাবি জানান এই প্রবাসীদের মেডিকেল রিপোর্ট তদন্ত করে দেখার জন্য।
Discussion about this post