কুয়েত প্রাবাসী স্বনামধন্য তবলা বাদক চাঁদ চৌধুরী চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বেশ কিছুদিন থেকে তার কোন খোঁজ পাচ্ছিলেন না সহ পার্টিরা। দূতাবাস সূত্রে জানা যায় স্থানীয় আদান হাসপাতাল থেকে মরদেহ সনাক্ত করনের খবর পেয়ে আজ সকালে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন তিনি কুয়েত প্রবাসী বিশিষ্ঠ তবলা বাদক চাঁদ চৌধুরী। মরদেহ বর্তমানে আদান হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষে শীঘ্রেই দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। মৃত্যূর কারণ ও কবে মারা গেছেন তার সটিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
হঠাৎ এই মৃত্যূর খবরে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা এই খবর কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। বাংলাদেশ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কুয়েত এর সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন এমন একজন পরিচিত মুখ যার যোগাযোগ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে তার খোঁজ জানেন না কেউ দীর্ঘদিন এটা খুবই দুঃক্ষজনক। সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলা এই ব্যপক পরিচিত মানুষটির খরব দীর্ঘদিন জানেন না কেই তা আসলেই দুঃক্ষজনক।
নেশা যার তবলায়, কোথাও গান বাজনা হলে নিজেই খোঁজ নিতেন হাজির হয়ে যেতেন যথা সময়ে শত কর্ম ব্যস্ততার মাঝে। কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী কন্ঠ শিল্পীদের পছন্দের তবলা বাদক তিনি। কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে অথবা গান শুরু হওয়ার পূর্বে শিল্পীরা খুঁজে বেড়াত অনুস।টান স্থলে না দেখলে ডাকাডাকির হিরিক পরে যেত, দর্শক শ্রোতারাও যেন তার হাতে বাজানো তবলা আওয়াজ না পেলে তৃপ্তী পেতেন না। সর্বদা হাস্যজ্জল মুখ যেন রাগ অভিমান সম্পর্কে ধারণাই নেই তার।
Discussion about this post