তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়কঃ পিজা যারা খেতে ভাল বাসে তার এই মূর্হতে খেতে মনচাচ্ছে কারন প্রোজন্ডো খূর্দাতো আর দেরী নয় নিমেশেই চলে আসছে। ভাবুন তো একবার দৃশ্যখানা। নিজের শখের পিজার জন্য হয়তো মিনিট দশেক আগেই অর্ডার দিয়েছেন নামকরা কোনো পিজার দোকানে। আর অর্ডার দেওয়ার পর খানিকটা প্রস্তুতি নিতে না নিতেই আপনার বাড়ির সামনে এসে নামল ছোট্ট একখানা হেলিকপ্টার এবং সেই হেলিকপ্টারে বোঝাই করা শখের পিজাখানা। কী সায়েন্স ফিকশন কোনো চলচ্চিত্রের দৃশ্য বলে মনে হচ্ছে না তো? যদিও আজকের দিন অবধি এটাকে নেহাত কল্পনা বলে মনে হলেও আগামীতে হয়তো এটিই সত্য হয়ে দেখা দিতে পারে একেবারে আপনার বাড়ির আঙ্গিনাতেই। আর এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই পরীক্ষামূলক একটি হেলিকপ্টারের উড্ডয়নও ঘটিয়েছে বিশ্বখ্যাত পিজা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডোমিনোস। ডোমিকপ্টার নামে পরিচিত একটি চালকবিহীন হেলিকপ্টার (অনেকটা ড্রোন বিমানের মতো) ব্যবহার করে ডোমিনোস এরই মাঝে নিজেদের মোড়কজাত দুটি পিজা সফলভাবে গন্তব্যে পৌঁছুনোর পরীক্ষা চালিয়েছে। এদিকে অভিনব এই পরীক্ষার খবর ইন্টারনেট দুনিয়ায় চাউর হবার পরই একের পর এক গ্রাহক তাদের আগ্রহের কথা জানিয়ে ইমেইল বার্তা পাঠাচ্ছেন পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রমের অন্যতম অংশীদার ও ডিজিটাল মিডিয়া কোম্পানি ‘টি অ্যান্ড বিস্কিটস’ এর কাছে। এদের সবারই প্রশ্নের মূল সুর কবে থেকে ডোমিকপ্টারের সরবরাহ করা পিত্জা তারা নিজেদের বাড়ির আঙ্গিনায় বুঝে নিতে পারবেন। তবে খুব শীঘ্রই এই সেবা চালু করার পথে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে আমেরিকার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি ডোমিনোস আউটলেট থেকে জানানো হয়েছে যে এই পদ্ধতিটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং এটিকে বাস্তবে রূপ দেবার পথে বেশ কিছু আইনী বাধাও রয়েছে। এখন অবধি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর নিয়মানুযায়ী মানুষবিহীন কোনো বিমান বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় না। আর তাই পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে অনেক কৌতূহল ও চাহিদার জন্ম দিলেও আইনের সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ডোমিকপ্টারকে। আগ্রহী পাঠকদের জন্য একটি ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত করা হলো।
Discussion about this post