প্রতিবেদক জহুরুল ইসলাম ঃ চট্টগ্রামে এক রোগীকে অস্ত্রোপাচারের পর রোগীর শরীরে সুঁই রেখে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ সুরমান আলীর বিরুদ্ধে মামলা ও আদালত তাকে কারাগাগে প্রেরণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিএমএভুক্ত আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত সকল চিকিৎসক কিনিক ও চেম্বারে অনিদিষ্ঠকালের জন্য রোগী দেখা বন্ধ করে দেবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর মুক্তি দাবী করে রোগীদের জিম্মি করে সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধের দাবী করেছেন দেশের দেশে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থসংরক্ষনকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। অবিলম্বে এ ধরনের অন্যায্য দাবী প্রত্যাহার করে আদালত ও আইন তার নিজস্ব গতিতে চলার দাবী করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে অবিলম্বে সাধারন জনগনকে জিম্মি করে কিনিক ও চেম্বারে ধর্মঘট ও চিকিৎসা বন্ধের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন ডাঃ সুরমান আলী যদি আদালতের বিচারে দোষী হন তাহলে তার সাজা ও শাস্তি হবে। এখানে চেম্বার ও কিনিক বন্ধে সরকারী দল ও বিরোধী দলের সমর্থিত সকল চিকিৎসকের একযোগে অঘোষিত ধর্মঘট চিকিৎসকদের মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং চিকিৎসকরা আইনে উর্ধ্বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত প্রকাশ করে এ ধরনের আত্মঘাতী কর্মসুচি থেকে সরে আসার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, চিকিৎমা পেশা একটি মহান সেবা ধর্মী পেশা হলেও বর্তমানে কিছু কিছু চিকিৎসক এ মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে দিনে দিনে কোটি পতি হবার বাসনায় লিপ্ত। সেকারনে রোগীর সেবা, মানবতার সেবার চেয়ে অর্থই তাদের কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ফলে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক থাকলেও রোগীরা সেখানে চিকিৎসা সেবা পায় না। রোগীদেরকে কিনিক ও চেম্বারে যেতে পারমর্শ প্রদান করা হয়। আর যে কোন রোগী হলেই আগে পরামর্শ দেয়া হয় প্যাথলজিকাল টেস্ট ও অপারেশন। কারন এতে তাদের লাভ বেশী। যার কারনে প্যাথলজিকাল ল্যাব গুলি ব্যাঙের ছাতার মতো শহর, গ্রাম সর্বত্র ছাড়িয়ে পড়েছে। আর কিনিকগুলি নামমাত্র সেবা দিয়ে গলা কাটা বিল আদায় করছে। বিএমএসহ সরকার ও বিরোধীদলের সমর্থিত চিকিৎসকদের পেশাজীবি সংগঠনগুলির দৌরাত্ত্য, একচেটিয়া প্রভাবের কারনে এখানে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কোন প্রকার নজরদারি নেই। ফলে মানুষ অসহায় হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসার জন্য ভিড় জমায়। নতৃবন্দ চিকিৎসা সেক্টরে এ ধরণের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য কিন্কি, প্যাথলজিকাল ল্যাবসহ স্ব্াস্থ্য বিভাগের সকল প্রতিষ্ঠানে কঠোর নজরদাবির দাবী জানান। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যকরী পর্ষদ সদস্য এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক চেয়ারপার্সন কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মহানগর শাখার সভানেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব নেতা অধ্যক্ষ দবির উদ্দীন খান, আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী, ফজলুল গনি মাহমুদ, হাজী ইকবাল আলী আকবর, আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, আবিদা আজাদ, রাশেদ খান মেনন, উম্মে কুলসুম আরজু, হাজী আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা ছালে আহমদ, উপাধ্য কুতুব উদ্দীন, শিক নেতা লকিয়ত উল্লাহ, অঞ্চল চৌধুরী, উন্নয়ন কর্মী শাহাদৎ হোসেন, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব নেতা তৌহিদুল ইসলাম, জানে আলম, অঞ্চল চৌধুরী, মোনায়েম বাপ্পী, কাজী সমিতির নেতা ইউসুফ চৌধুরী, মৌলানা হারুন চৌধুরী, নারী নেত্রী সায়মা হক, দীপিকা বড়–য়া, শাহনাজ পারভীন লুনা, রুখসানা আখতারুন্নবী, রেজিয়া বেগম, অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, মোঃ নুরুল হক প্রমুখ।
Discussion about this post