মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ চৌদ্দগ্রামে যৌতুকের বলি রিয়া’র ৫ মাসের শিশু কন্যা রূপবানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় রয়েছে তার পরিবার। রূপবানের পিতা স্ত্রীর হত্যার দায়ে জেল হাজতে রয়েছে। রূপবানকে তার নানার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ঘাতক মোয়াজ্জেম হোসেনকে জেল থেকে মুক্ত না করলে ৫ মাসের শিশু রূপবানকে ফেরত দিবে বলে দাদা দাদী হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রিয়া’র বোন শারমিন আক্তার জানান-কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বিসিক এলাকার মৃত শেখ আহমেদের ছেলে ঘাতক মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে একই উপজেলার বাংপাই এলাকার মৃত আতর ইসলাম মজুমদারের কন্যা রুজিনা আক্তার রিয়া’র ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল ১ লক্ষ টাকা দেন মোহরের মাধ্যমে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। বিবাহের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেন ৫০ হাজার যৌতুক পাওয়ার পরও লোভের বসভূতি হয়ে বিয়ের দু’মাস পর পুনরায় স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১ লক্ষ যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্ত্রী রিয়া’র দরিদ্র পরিবার হওয়ায় তাদের পক্ষে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দেয়া সম্ভব নয় বলে রিয়া তার স্বামীকে জানিয়ে দেয়। এতে মোয়াজ্জেম ক্ষোভে তার স্ত্রীর উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। স্বামীর অমানবিক নির্যাতন সহ্য করার পরও ২ বৎসরের মাথায় তাদের কোলের ফুটফুটে একটি শিশু কন্যা জন্ম নেয়। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে সংসার করে আসছিল। কিন্তু যৌতুক লোভী পাষন্ড স্বামী মোয়াজ্জেমের মা, বাবা, বোন ও ভাইদের অত্যাচারেও অতিষ্ঠ হয়ে উঠে রিয়ার জীবন। চলতি বৎসরের ২০১২ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারী ভোরে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বিসিক এলাকার মৃত শেখ আহমেদের ছেলে লম্পট নরপশু মোয়াজ্জেম হোসেন তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার রিয়াকে ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে বাপের বাড়ি থেকে ৫০ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে মানসিক ও অমানবিক নির্যাতন ও চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। রিয়া টাকা এনে দেওয়ার অপারগতা প্রকাশ করলে ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতারি তার বুকে ও পেটে উর্পযুপুরি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে ভোরে ৫ মাসের শিশু রূপবানকে নিয়ে মোয়াজ্জেম পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে রিয়ার ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে ও ঘাতক স্বামী মোয়াজ্জেমকে আটক করে। এ বিষয়ে নিহত রিয়ার বোন শারমিন আক্তার বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মোয়াজ্জেমকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ১৭/২৬.০২.১২ইং। ঘটনার ৩৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ৫ মাসের শিশুটিকে তার নানার বাড়ির পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি। অবহেলা ও অনাহারে শিশুটি কি অবস্থায় তা কেহই জানে না। শিশু রূপবানের ভবিষৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে সর্বমহলে। রুপবান জানেনা তার মা বেচেঁ আছে নাকি মরে গেছে। মাতৃত্বের ভালবাসা পাওয়ার আগেই সে এখন এতিম। গৃহবধু রুজিনার বোন শারমিন ও তার পরিবারসহ সর্বমহলের একটাই দাবী ঘাতক নরপশুর ফাঁসি চাই।
দাউদকান্দিতে কিশোরী অপহরনের ৪৮ ঘন্টা পরও উদ্ধার না হওয়ায় থানা ঘেরাও ॥ ওসির অপসারনের দাবি
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ গতকাল বুধবার সকালে দাউদকান্দি পৌর সভার তুজার ভাঙ্গা গ্রামের শাহীন খাঁনের মেয়ে মম খাঁনের অপহরন মামলার ৪৮ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও উদ্ধার না হওয়ায় স্থানীয় জনগন দাউদকান্দি মডেল থানা ঘেরাও করে। ওসি রতন কৃষ্ণ নাথের অপসারনের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে তার পাশাপশি মম খাঁনের উদ্ধারের দাবি জানান। থানা পুলিশ মম খাঁনকে ৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষিপ্ত জনগনকে শান্ত করে। এ দিকে অপহরনের ঘটনায় পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামূল হক (এমেল) কে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। উল্যেক্ষ গত সোমবার বিকেলে গৌরীপুর থেকে দাউদকান্দি বাসায় আসার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারপাড়া নামক স্থানে সি এন জি থেকে মায়ের হাত থেকে মেয়ে মম খাঁনকে (১৬) দক্ষিন সতানন্দি গ্রামের এনঞ্জেল মিয়ার ছেলে বাবু মিয়া অপহরন করে তুলে নিয়ে যায়।
দাউদকান্দিতে ৩ জন ভুয়া র্যাব সদস্য গ্রেফতার
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ দাউদকান্দিতে র্যাব পরিচয় দিয়ে জুট মিলের কর্মচারীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ৩ ব্যাক্তি শ্রীঘরে। গতকাল বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের তালতলী গ্রামের এশিয়াটিক জুটমিলে গিয়ে ৩ ব্যক্তি নিজেদেরকে র্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেয়। ভূয়া র্যাব পরিচয় ৩ ব্যাক্তি অভিযোগ করে যে এই মিলের কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন ও ইয়াসিন ভুইয়া একজন নারী শ্রমিককে ধর্ষণ শেষে মিল থেকে বের করে দেয় এবং ওজুহাত দেখিয়ে এক পর্যায় তারা জালাল উদ্দিন, ইয়াসিন ও আঃ মান্নানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে চেষ্টা করলে। মিল এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা নারী নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করলে তারা এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে জালাল ও ইয়াসিনকে ছেড়ে দেবে বলে টাকার জন্য চাপ দেয়। তাৎক্ষনিক ভাবে টাকা যোগার করতে না পারায় র্যাব পরিচয়দানকারীরা তাদেরকে মারধর শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে র্যাব পরিচয়দানকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদেরকে প্রতারক চক্রের সদস্য বলে জানতে পেয়ে গ্রেফতার করে কুমিল্লায় জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো দাউদকান্দি উপজেলার সিঙ্গুলা গ্রামের শামছুল হক মেম্বারের পুত্র আল আমিন (২৮) ও আবু তাহেরের পুত্র রবিউল হাছান(৩২) এবং মানিককন্দি গ্রামের ওয়াছেক মিয়ার পুত্র এমদাদুল হক।
বুড়িচংয়ে সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতি ও হত্যার উদ্দেশ্যে আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার ও কুমিল্লা রিপোটার্স ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার গ্রামের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া হাজী বাড়িতে গত ৩১ মার্চ গভীর রাতে সশস্ত্র ডাকাতদল ও সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর, মারধোর , নগদ অর্থ এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায় । এসময় সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া সহ বাড়ির লোকজনের শোর চিৎকারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা রাতের আধারে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায় । এব্যাপারে গতকাল ৩ এপ্রিল বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে , গত ৩০ মার্চ শুক্রবার সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত হযরত মাও.আব্দুল আজিজ (রহ) ফাউন্ডেশন ও এডঃ মৌলভী নোয়াব আলী ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী বুড়বুড়িয়া হাজী বাড়িতে জনহিতকর বিভিন্ন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় । কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের ১১ জনকে সম্মাননা প্রদান. পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান ও বার্ষিক ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল। এতে জাতীয় সংসদের হুইপ মুজিবুল হক মুজিব, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা রাজনৈতিক ব্যা্িক্ত এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন। বার্ষিক মাহফিল শেষে মধ্যরাতে পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতি ও হত্যার উদ্দেশে সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা সংগঠিত হয়।
মুরাদনগরে বাড়ছে অপচিকিৎসা
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ মুরাদনগর উপজেলা সদর এবং আশে পাশের ইউনিয়ন গুলোতে ঝাঁড় ফুক তাবিজ-টোনা নির্ভর অপচিকিৎসা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। কবিরাজও তান্ত্রিকদের খপ্পরে পড়ে নিরীহ লোকজন স্বাস্থের পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সর্বস্বান্তও হচ্ছেন অনেকে। জানাযায়, মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর, আড়ালিয়া, ঘোড়াশাল, সাতমোড়া, রায়তলা, লক্ষ্মীপুর, আমপাল, পাচঁকিত্তা, বাঁশকাইট, টনকী, ত্রিশ, কামাল্লা ও কোম্পানীগঞ্জ বাজারে কবিরাজ এর ঘর ছাড়াও এ উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শতাধিক করিবাজ ও তান্ত্রিক চিকিৎসার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা সাধারন মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কোনো কোনো কবিরাজ ও তান্ত্রিক টোটকা চিকিৎসার ফাঁদ পেতে কোটি বনে গেছে। শুধু অসচেতন ও অশিক্ষিতই নয় তাদের চটকদার কথায় বশিভূত হয়েছেন অনেক শিক্ষিত মানুষও। এদের নির্ধারিত কোন ফি নেই। রোগিদের আর্থিক অবস্থা আচঁ করে তারা ফি আদায় করে থাকেন। ফি হিসেবে ৫০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে থাকেন। এসব কবিরাজকে ঘিরে গড়ে উঠছে ওই এলাকায় এক শ্রেণীর দালাল চক্র। তাদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালীরা রয়েছেন। এসব কবিরাজ ও তান্ত্রিকদের কাছে চিকিৎসা নেয়া কয়েক রোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুফল পেয়েছেন কিনা তা তারা নিজেরাই বুঝতে পারেন না। তান্ত্রিক কবিরাজের নিষেধও থাকে এ ব্যাপারে কথা না বলার। এসব কবিরাজের সরকারি অনুমোদন কিংবা অনুমতি নেই। উপজেলা প্রশাসন কিংবা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কোন নজরদারি না থাকায় বেপোরোয়া হয়ে উঠছে ওইসব ভন্ড তান্ত্রিক কবিরাজরা।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের কাছে আইসিএলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ হাবিবুর রহমান খান, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ মাল্টিপারপাস সংগঠন আইসিএলের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের দাবী জানিয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আইসিএলের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ধরা পড়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে অধিকতর তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে ইতিমধ্যে আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আইসিএল-এ রাখা নিরীহ মানুষ তাদের কষ্টার্জিত আমানতের টাকা নিয়ে এখন উৎকন্ঠায় রয়েছে।গ্রহকরা যে কোন সময় নিঃস্ব হয়ে যেতে পারেন বলে আশংকা প্রকাশ করেন মেয়র। গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন পৌর মেয়র।তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানান দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন মানুষের টাকা নিয়ে ব্যবসা করা এ সংগঠনের পরিনতি ‘যুবকের’ বা ‘ডেসটিনির’ মত হতে পারে।তারা মানুষের কাছ থেকে নেয়া আমানত ভিন্ন খাতে ব্যবহার করছে।আমানত এবং বর্তমান মূলধনের সাথে যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। পৌর মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা বিধান করা আমার কর্তব্য বলেই আমি এ দাবী জানাচ্ছি। সরকার দ্রুত গতিতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ না করলে চৌদ্দগ্রাম নাগরিক কমিটি ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী সেলিম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম হাজারী,বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান টিপু ,ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
Discussion about this post