পাবনা থেকে মোবারক বিশ্বাসঃ সাবধান জালিয়াত চক্র সক্রিয়, যে কোন সময় আপনার বিকাশ একাউন্ট জিরো হয়ে যেতে পারে। আপনার বিকাশ একাউন্টে যে কোন সময় জালিয়াত চক্র হানা দিয়ে একাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা তুলে নিয়ে আপনাকে জিরো করে দিতে পারে। গত কয়েকদিন থেকে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির খবর প্রচার হলেও পাবনাতে শুরু হয়েছে বিকাশ একাউন্ট জালিয়াতির ঘটনা। এ ঘটনা পাবনায় জুনের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে বর্তমান পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ১০/১২টি ঘটনা নজরে এলেও যথাযথ কতৃপ নাকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। তবে জালিয়াতির ঘটনা প্রচারের চেয়ে অনেক বেশি ঘটেছে। কারণ পকেট তো আর বিকাশ কতৃপরে খালি হচ্ছে না। হচ্ছে বিকাশ গ্রাহকদের। সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩-০৬-১৩ ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে অবস্থিত ইজি টেলিকমের একটি গ্রামিন ফোন নাম্বার যেটা বিকাশ একাউন্ট হিসেবে পরিচালিত হত। সেই নাম্বারে গচ্ছিত ১৫ হাজার ৫শ টাকা উধাও হয়ে যায়, এরপর হক সুপার মার্কেটে অবস্থিত গত ৪জুন সিয়াম টেলিকম এর বিকাশ একাউন্ট যার মোবাইল নং ০১৭১১-১২৩৭০৫ এর বিকাশ একাউন্টে থাকা ১৭ হাজার ৫শ টাকা, এবং একই দিনে পাবনা কলেজের সামনে মুক্তি ষ্টেশনারী মোবাইল নং ০১৭৩২-২৮২০০০ এর বিকাশ একাউন্টে থাকা ৬হাজার ৭শত ৫০ টাকা উধাও হয়ে যায়। বিষয়টি এক’কান দু’কান করে ছড়িয়ে পড়ে পাবনা জেলার প্রতিটি থানা ও ইউনিয়নের গ্রাহকদের কাছে। শুরু হয়ে যায় আতংক। বর্তমানে পাবনায় ভাইরাস জ্বরের প্রার্দুভাবে যখন সাধারন জনগণ কান্ত ঠিক তখনই বিকাশ একাউন্ট খালি হয়ে যাওয়ার ভাইরাসে গ্রাহকগণ সর্বশান্ত। গত কয়েকদিনের ঘটনায় বিকাশ একাউন্ট হোল্ডারগণ তাদের একাউন্ট জিরো রাখতে টাকা উত্তোলন শুরু করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে সিয়াম টেলিকমের স্বত্বাধীকারী সুলতান জানান, এ জালিয়াতি চক্রের সাথে বিকাশ এবং গ্রামীণফোন কতৃপ জড়িত। কারণ জালিয়াত চক্র যেই সময় টাকা তালেন, সেই সময় আমার ব্যবহৃত সিম কার্ডটি ইরোর দেখায় । আমি তখন মনে করেছি গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু পরনে নেটওয়ার্ক ফিরে এলে আমার বিকাশ একাউন্টে দেখি কোন টাকা নেই। কারণ আমার বিকাশ একাউন্টে একটি গোপন নম্বর রয়েছে যেটা আমি, বিকাশ কতৃপ এবং গ্রামীণ ফোন কতৃপ ছাড়া আর কেউ জানেনা। এ ছাড়া সীমকার্ড উত্তোলন ছাড়া এই একাউন্ট এর টাকা তোলাও সম্ভব না। জালিয়াত চক্র অবশ্যয় আমাদের যে বিকাশ একাউন্টের টাকা উত্তোলন করেছে, তার প্রত্যেকটি একাউন্টের সীম কার্ড তারা গ্রামীণফোন কাষ্টমার কেয়ার থেকে তুলেছে। তাহলে কাগজপত্র ছাড়া সীম কার্ড জালিয়াতি চক্র তুলে কিভাবে আর বিকাশ কতৃপ জড়িত না থাকলে আমাদের বিকাশ একাউন্টের গোপন পিন নাম্বার জালিয়াতচক্র পায় কিভাবে। এ ব্যাপারে পাবনা বিকাশের ডিষ্ট্রিবিউটার মিলন হোসেন বলেন, আমি পাবনা গ্রামীণ ফোন কাষ্টমার কেয়ারে গিয়েছিলাম। সেখাণে অভিযোগ করেছি। তারা সনাক্ত করতে পেরেছে কোন জিপি পয়েন্ট থেকে সীম পুনঃস্থাপন হচ্ছে। আমি বিকাশ কেন্দ্রীয় অফিসকে বিষয়টি অবগত করেছি। বিকাশের একটি উচ্চ মতা সম্পন্ন আইটি বিশেষজ্ঞ দল পাবনার উদ্দ্যেশে রওনা হয়েছেন। খুব শিঘ্রই এই জাািলয়াািত চক্রকে সনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেও খুব টেনশনে আছি কখন আমার বিকাশ একাউন্ট খালি হয়ে যায়। এই ভাবে চলতে থাকলে বিকাশের ব্যবসায়ে বিশাল ধ্বস নামবে। তবে পাবনা গ্রামীণ ফোনের ম্যানেজার রিজিওনাল সেলস শেখ মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে লাইন কেটে দিয়ে বিজি রাখেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যে বিকাশ একাউন্টগুলো খালি হয়েছে তা সবই গ্রামীণ ফোনের সীম বলে জানা যায়।
Discussion about this post