আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: বরিশাল-যশোর মহাসড়কে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় টমটম দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত মাছের ঘের মালিক মোঃ জসিম (২৫) গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রাজাপুর উপজেলার বাগরী এলাকার অধিবাসী জসিম তার ঘেরের মাছ নিয়ে টমটমযোগে ঝালকাঠির দিকে আসার পথে সোমবার সন্ধ্যায় দূর্ঘটনার শিকার হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। জানা যায়, ছত্রকান্দা এলাকা থেকে যাওয়ার পথে বিপরীত মুখী একটি ট্রাকের সাথে সম্মুখ সংঘর্ষের আশংকায় সাইড করতে গিয়ে ছিটকে রাস্তার বাইরে পরে। এসময় আরোহী জসিম টমটমের নীচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হওয়ায় আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ও সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়প্রেরন করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ঢাকা থেকে মৃতদেহ তার বাড়ী বাগরীর উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে আনার পথে রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে।
এমপিসহ নতুনদের সাথে পুরনোর আ’লীগের দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:: ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে ঝালকাঠি-১ আসনের শিল্পপতি (বিএইচ হারুন) বজলুল হক হারুন এমপি নির্বাচিত হলেও দলীয় কার্যক্রমে উদাসীনতার অভিযোগ রয়েছে । নির্বাচনের পর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নানা সমন্বয়হীনতায় ও টানাপেড়েন শুরু হয়। আর এ সুযোগে তার কাছে স্থান করে নেন নব্য আ’লীগ নামধারী কিছু ব্যক্তি বিতর্কিত উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান। যার কারনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) উপজেলা আ’লীগে বর্তমানে নতুন-পুরাতনে দ্বন্দ্ব ব্যাপক আকার ধারন করেছে। আর আওয়ামীগের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে স্থানীয় দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এমপি বা তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় কখনোই আওয়ামীলীগ নয় বরং স্বাাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ শক্তি হিসাবে পরিচিত ছিল। আর তাই এমপি হয়েও রাজাপুর-কাঠালিয়া উপজেলায় দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, জাতির জনকের জন্ম-মৃত্যু বাষিকী সহ দলের কোন কর্মসূচীতে তিনি অংশ গ্রহন করেন না। এমন কি তিনি কখনো দলীয় কার্যালয়ের বসেন না, তার কার্যালয় নিজ বাড়ীর বেডরুম। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানায়, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সাথে একাধিক কারনে দূরত্ব রয়ে গেছে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে। প্রথমে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চুর নির্ভরতার কারনে ও পরে তার ভাই গালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর কারনে দলীয় নোত-কর্মীরা এমপির কাছে গিয়ে সুখ-দুঃখের কথা বলতে পারেন না। অভিযোগ রয়েছে টিআর-কাবিখা ছাড়াও এমপির বরাদ্দের অর্থ ও অন্যান্য কাজ-কর্ম ভাগভাটোয়ারার কাজ তার ভাই করলেও নেতা-কর্মীদের কারো কথার গুরুত্ব নেই এমপি বজলুল হক হারুনের কাছে। ১৯৯৬ সাল থেকে দলের সার্বিক কর্মকান্ড এবং তৃণমূল পর্যায়ে রাজাপুরের ৬টি ইউনিয়নের ৯টি করে ওয়ার্ডে ৫৪টি কমিটি গঠন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক হান্নান ফিরোজ দলকে সুসংগঠিত করে ছিল। কিন্তু ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বজলুল হক হারুন আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন হাসিল করে। কিন্তু নির্বাচনে হেরে ঢাকায় চলে গিয়ে দীর্ঘদিনে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ না রেখে দলীয় কর্মকান্ড থেকে দূরে সরে থাকেন। পরবর্তীতে দলছুট এ ব্যবসায়ী নেতা ২০০৮ সালের নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে ফিরে এসেন। রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল আলম সরফরাজ বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোন খোঁজখবর রাখেন না ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক নেতাদের সঙ্গে ওঠা-বসা করেন। জাতীয় পার্টি থেকে যোগদান করে ইতোমধ্যেই তার আস্থাভাজন হয়েছেন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু। এমপি সাহেব যখন ঢাকায় থাকেন, তখন এলাকার দায়িত্ব বাচ্চু সাহেবকে দিয়ে যান। তিনিই টিআর-কাবিখাসহ অন্যান্য সকল বরাদ্দ ভাগবাটোয়ারা করে থাকেন। ফলে এমপি সাহেবের দুরত্বের কারণে রাজাপুরের সাংগঠনিক অবস্থা খুবই দুর্বল এদিকে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগেও চলছে দুই ধারার নেতৃত্ব। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রাজেন সমাদ্দার এবং সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার দিচ্ছেন এক গ্রুপের নেতৃত্ব অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার। দুইভাগে বিভক্ত হলেও উজির সিকদারের সাংগঠনিক কর্মকা-ে ততটা সক্রিয় নয়। বজলুল হক হারুন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদারের ইচ্ছেমত আহবায়ক কমিটি গঠন করে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। নতুন আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা উজির সিকদারকে। এ উপজেলায় নতুন এবং পুরনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী মধ্যে রয়েছে দ্বন্দ্ব। উজির সিকদারের নেতৃত্বাধীন দলের একটি অংশকে ডাকা হয় না এমপির কোন অনুষ্ঠানে। এমপি এলাকায় না থাকলে তার অবর্তমানে ভাগ-বাটোয়ারা থেকে শুরু করে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার। এব্যাপারে কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজির সিকদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও আমাকে বাদ দিয়ে নতুন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে যারা নতুন তারাই আওয়ামী লীগের সুযোগ লুটলেও আমাদের আবার প্রয়োজন হবে সংসদ নির্বাচনের পূর্বে। কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক রাজেন সমাদ্দার বলেন, আহবায়ক কমিটির মাধ্যমেই উপজেলায় দলের কার্যক্রম চলছে। আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই বলে দলে সাংগঠনিক কর্মকা- যথারীতি চলছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক সিকদার বলেন, এমপির নির্দেশেই কাঠালিয়ার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে। সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিচ্ছে।
টেন্ডারের বীট মানি, স্থানীয় আধিপত্য ও নেতৃত্বের বিরোধ ঝালকাঠি-২ আসনে আ’লীগের রাজনীতিতে ওস্তাদ-শিষ্যের লড়াই
আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি:: সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপির সাথে তার দীর্গ দিনের শিষ্য জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী খান সাইফুল্লাহ পনিরের বিরোধে স্থানীয় আওয়ামীলীগে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার গঠনের পর থেকে ওস্তাদ আমুর সাথে শিষ্য পনিরের আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন, টেন্ডারের বীট মানি উত্তোলন, স্থানীয় আধিপত্যের ও দলীয় নেতৃত্বের নেপথ্য বিরোধ বর্তমানে প্রকাশ্যে চরম আকার ধারন করেছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে একচেটিয়া টেন্ডারবাজী, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কমিটি গঠন ও উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ সহ ঝালকাঠি পৌর নির্বাচনে কট্টোর আমু বিরোধী প্রার্থীদের পক্ষে জেলা সেক্রেটারী খান সাইফুল্লাহ পনির-আফজাল প্রকাশ্য অবস্থান নেয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের এ প্রবীন নেতা ১/১১ এর রাজনৈতিক ঝড়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পরার সুযোগে এমপি আমুকে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতেও কোনঠাসা করতে পনির তারই এক সময়ের প্রতিপক্ষ আফজাল হোসেন রানার সাথে ঝুটি বেঁধে বিগত পৌর নির্বাচনে মেয়র বানিয়ে নিতে সক্ষম হন । বর্তমান এমপি আমু’র হাত ধরে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্টিত হওয়া খান সাইফুল্লাহ পনির এখোন আফজালকে সাথে নিয়ে সরাসরি তারই প্রতিপক্ষের ভূমিকায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। আর কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে পোর খাওয়া নেতা আমির হোসেন আমু এমপিও তার প্রভাব বজায় রাখতে একে একে জেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগে, যুবলীগ ও অংগসংগঠনের কমিটিগুলোতে একক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত করে চলেছে। একারনে আওয়ামীলীগের জেলা, উপজেলা, শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত নেতাকর্মীরাও দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ঝালকাঠির বিভিন্ন মহলে খোজ নিয়ে জানা গেছে, ৭৩ সালের পর এই প্রথম সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনটি আ’লীগের হাতে আসে। এরআগে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যমত্যের সরকারের সময়ে ২০০০ সালের উপনির্বাচনে মাত্র ৯ মাস এমপি থাকা কালে ঝালকাঠি-নলছিটি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করলে সাধারন মানুষের মনে ব্যক্তিগত ভাবে একটা স্থান করে নেন। যার কারনে ২০০৭ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন এন্টি আওয়ামীলীগ সেন্টিমেন্ট অধ্যুষিত ঝালকাঠি-২ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আমির হোসেন আমু দলমতের বাইরে ঝালকাঠি-নলছিটি উপজেলার সকল মানুষের অভিভাবক হিসাবে ভোট প্রার্থনা করায় ও বর্তমানে তার বিরোধী পনির-আফজাল গ্রুপের অধিকাংশ বিতর্কিত নেতাকে নির্বাচনী কার্যক্রমের বাইরে রেখে ব্যাপক প্রসংশিত হন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এমপি আমুর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি সরদার মোঃ শাহআলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান হোসেন খান, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মোবারেক মল্লিক, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জেনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী তালুকদার, সেক্রেটারী মাহাবুব হোসেন, সদর উপজেলা সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গির, সেক্রেটারী কবির আকন, জেলা যুবলীগ আহবায়ক লিয়াকত হোসেন, যুগ্মআহবায়ক কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির ও হাবিল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান সেক্রেটারী জামাল হোসেন মিঠু তার পক্ষে ভূমিকা রাখছেন। একই ভাবে নলছিটি উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগে যুগ্মসম্পাদক এ্যাড: জিকে মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা সভাপতি সভাপতি তসলিম চোধুরী, সাধারন সম্পাদক সহ অধিকাংশ নেতা কর্মী আমির হোসেন আমু এমপি গ্রুপে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী খান সাইফুল্লাহ পনিরের পক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠননিক সম্পাদক পৌর মেয়র আফজাল হোসেন রানা, তার ভাই আলমগীর হোসেন দুলাল, নলছিটির সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মাসুদ খান, জেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, আবু সাইদ খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লস্কর আশিকুর রহমান দিপু, সাবেক আহবায়ক রিফাত হাসান রুবেল সহ একাংশ প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে দুগ্রুপের বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে জেলা সদর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে পর্যন্ত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এই দুগ্রুপের সমর্থনে অবস্থান নিতে শুরু করে। দলীয় সূত্রটি আরো জানায়, ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ বছর পর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান আওয়ামীলীগের অন্যতম উপদেষ্টা আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠন করলেও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ‘হাইব্রীড নেতা হিসাবে খ্যাত’ কতিপয় নেতার ইন্ধনে জেলা আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী খান সাইফুল্লাহ পনিরের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের একটি গ্রুপ স্থানীয় সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম, জেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কমিটি গঠন, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা নির্বাচনে দলের সমর্থিত প্রার্থী মনোনয়ন কে ঘিরে সেক্রেটারী পনিরের সাথে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। আমুপন্থি আওয়ামীলীগ নেতারা জানান, কেন্দ্রীয় রাজনীতির পোড় খাওয়া নেতা এমপি আমির হোসেন আমুকে হটানোর মিশন যারা চালাচ্ছে তাদের সে চেষ্টা সফল হবেনা। কারন আমির হোসেন আমু হচ্ছে নেতাদের নেতা। তাই শীগ্রই বিপথগামীরা দেখতে পারবে ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে। অন্যদিকে পনিরপন্থি নেতারা জানান, কেন্দ্র থেকেই নেতা এমপি আমুকে অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই কোন ভূইফোঁড় রাজনীতিকরা যাতে মনোনয়ন ছিনিয়ে নিতে না পারে সে লক্ষেই তাদের নেতা খান সাইফুল্লাহ পনির মাঠে নেমেছেন। এ অবস্থায় আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু এমপি সাথে সেক্রেটারী পনির ও মেয়র আফজালের অসম বিরোধে মাসুল দিতে গিয়ে ঝালকাঠি-২ আসনটি আওয়ামীলীগের হাত থেকে নিশ্চিত হাতছাড়া হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
Discussion about this post