১২ বছর মস্তিস্কে পেরেক বয়ে বেড়ানো নান্দাইলের নজরুল ইসলামের সফল অস্রোপচার সাহসী অস্রোপাচার করে ডা: সৌমিত্র সরকার প্রমান করলেন দেশেও জটিল অপারেশন সম্বব
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ১২ বছর মস্তিস্কে পেরেক বয়ে বেড়ানো নান্দাইলের নজরুল ইসলামের সফল অস্রোপাচার করেছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা: সৌমিত্র সরকার। গতকাল ময়মনসিংহ শহরের অত্যাধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল স্বদেশ হাসপাতালে প্রায় ৩ ঘন্টা সময় ধরে এ সফল অস্রোপাচার করা হয়। বাংলাদেশে এটিই প্রথম দীর্ঘসময় মস্তিস্কে পেরেক বয়ে বেড়ানোর পর মস্তিস্কের অপারেশন। সাহসী অস্রোপাচার করে ডা: সৌমিত্র সরকার প্রমান করলেন দেশেও জটিল অপারেশন সম্বব।
মো: নজরুল ইসলামের বাড়ী নান্দাইল উপজেলার সিংরইল গ্রামে। ১২ বছর পূর্বে ঘরে প্রবেশ করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান তিনি। এরপর কোন অসুবিধা হয়নি তার। তেমন কোন চিকিৎসাও নেননি তিনি । গত ২-৩ সপ্তাহ পূর্বে পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। ঐ চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগ এর বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সৌমিত্র সরকারের কাছে চিকিৎসা করার জন্য পরামর্শদেন। এর পর ডাঃ সৌমিত্র সরকার তার মাথার সিটিস্কেন করান। সিটিস্কেনে নজরুল ইসলামের মাথায় প্যারেক ধরা পরে। নজরুল ইসলাম জানান, ১২ বছর পূর্বে মাথায় আঘাত পাই। ৪-৫ বৎসর সুস্থ ছিলাম। এর পর মাঝে মাঝে মাথায় একটু একটু ব্যাথা হতো। এ ব্যাপারে ডাঃ সৌমিত্র সরকার জানান, রোগী ১২ বছর পূর্বে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। কিন্তু তার মাথায় তেমন কোন ব্যাথা অনুভুত হয়নি। এ জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হয়নি। ২-৩ সপ্তাহ পূর্বে তিনি ডাক্তার দেখান। ঐ ডাক্তার আমার কাছে পাঠায়। আমি তাকে সিটিস্কেন করি। আমি আশ্চর্য হই কিভাবে একটি প্যারেক মস্তিস্কের মগজে ১২ বৎসর যাবত অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে আমি সিদ্ধান্তনেই অস্রোপাচার করে রোগীকে সুস্থ করে তোলার। তিনি জানান, ডাক্তারি শিক্ষায় আমার জানা মতে বাংলাদেশে এটিই প্রথম ঘটনা। দীর্ঘ ১২ বৎসর মস্তিক্কে প্যারেক থাকার পর সেটি অস্রোপাচার করে বেড় করা। কিছুদিন পূর্বে অষ্ট্রেলিয়ায় এমনি একটি ঘটনা পত্রিকায় পরেছিলা। ময়মনসিংহের মত স্থানে এমন জটিল একটি অপারেশন করতে পেরেছি সে জন্য আমি খুবই আনন্দিত। গতকাল বিকেলে প্রায় ৩ ঘন্টা অস্রোপাচার শেষে নজরুল ইসলামের মস্তিস্ক থেকে প্যারেক বের করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন। অপারেশনে ডাঃ সৌমিত্রকে সহযোগিতা করেন সহকারী সার্জন ডাঃ বিলিয়ম অনিষীম সাংমা, ডাঃ আবু সাইদ সোহাগ, ডাঃ কামাল হোসেন, ডাঃ হেফজুল বারী প্রমুখ।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিবগণ চাকুরী জাতীয়করন ও দ্বিতীয় শ্রেনীর পদমর্যাদার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারী সমিতি (বাপসা) ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্দোগে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবগণ চাকুরী জাতীয়করন ও দ্বিতীয় শ্রেনীর পদমর্যাদার দাবীতে গতকাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। চাকুরী জাতীয়করন ও দ্বিতীয় শ্রেনীর পদমর্যাদার দাবীতে এর আগে সকাল ১০ টায় তাঁরা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে মানব বন্ধন কর্মসুচী পালন করে। মানব বন্ধন শেষে ময়মনসিংহ জেলার ১ শত ৪৬টি ইউনিয়নের সচিবগণ র্যালী করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন ময়মনসিংহ স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এ এইচ এম লোকমান। স্মারকলিপি হস্থান্তর করেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারী সমিতি (বাপসা) ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মো: আ: লতিফ ও সাধারন সম্পাদক মো: মোস্তাফিজুর রহমান । এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের মানব বন্ধনে বক্তব্য প্রদান কালে সভাপতি মো: আ: লতিফ বলেন, সরকারী সকল দাপ্তরিক কর্মকান্ডের সাথে সচিবগণ উৎপুত ভাবে জড়িত। সরকারী কার্যক্রম বাস্তবায়িত করতে একমাত্র ইউপি সচিবগণ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ সচিবদের ন্যায্য দাবী দাওয়া সমুহ অধ্যবদি বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। তিনি বলেন, ইউপি সচিবদের কোন পদোন্নতি নেই। সচিবগণ একই পদে যোগদান করে একই স্কেলে অবসর নেয়। দেশের সকল দপ্তরে পদোন্নতি/ বেতন ভাতাদিও বৃদ্বির সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তিনি দেশের সকল ইউপি সচিবদের চাকুরী জাতীয়করন সহ দ্বিতীয় শ্রেনীর পদমর্যাদার দাবী জানান এবং চাকুরী বিধিমালা সংশোধন করে ইউপি সচিবগণকে পি এস সি এর অধীনে নিয়োগের দাবী জানান। ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের মানব বন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: মোস্তাফিজুর রহমান, সহ সভাপতি রাখাল চন্দ্র সরকার, মো: ফজলুল হক, মো: মাহবুবুল আলম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোছা: শিরিন খাতুন প্রমুখ। এ সময় গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম, খাগডহর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোছা: মিনারা ইয়াছমিন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের দাবী আদায়ের লক্ষে শিক্ষক কর্মচারীদের ধর্মঘট ৩ ও ৪ জুলাই
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের দাবী আদায়ের লক্ষে বিভিন্ন সময় সভা, সেমিনার, সাংবাদিক সম্মেলন, মানব বন্ধন, উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক, বিভাগীয় ও জাতীয় শিক্ষক সমাবেশ এবং সারাদেশে এক দিনের কর্মবিরতি পালনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে স্মারকলিপি প্রদান করলেও সরকার শিক্ষক কর্মচারীদেও যৌক্তিক দাবী সমুহের প্রতি কর্নপাত করেনি। তাই ১৭ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ গত ২৫ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ থেকে আন্দোলনের কর্মসুচী ঘোষনা দেয়। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসাবেই আগামী ৩ ও ৪ জুলাই ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হবে। বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের দাবী আদায়ের লক্ষে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ঘোষিত কর্মসূচী পালনের জন্য ময়মনসিংহ জেলা শাখার সকল পর্যায়ের বেসকারী শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ চাঁন মিয়া।
Discussion about this post