দক্ষিণ কোরিয়ায় চামড়াজাত পণ্য ও জুতা রপ্তানিতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ‘লেদারগুডস, ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ দেশটিতে সফরকালে কোরিয়ান ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব সৈয়দ নাসির এরশাদ শুক্রবার সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
লেদারগুডস, ফুটওয়ার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন।
এ্যাপেক্স এডেলচি ফুটওয়ার লিমিটিডের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের অন্যরা হলেন মো. নাজমুল হাসান, শাকিল আহমেদ খান, এ কে এম আফজালুর রহমান এবং মীর মনিরুজ্জামান।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি জুতা ও চামড়াজাত দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশেই এ সফর হয় বলে জানান সৈয়দ নাসির।
প্রতিনিধিদল কোরিয়া ইমপোটার্স অ্যাস্যোসিয়েশন (কইমা)’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট কোরিয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে সাক্ষাত করেন।
কইমার সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেন কইমার পক্ষে বিয়ুং সু লি এবং বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
১৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কুমগাঙ ও এসকোয়ারের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং এসব কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করেন।
২০১১ সালে (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি ৭৫% বৃদ্ধি পায় এবং এই একই সময়ে জুতা ও চামড়াজাত সামগ্রীর রপ্তানি ১০.৮% বৃদ্ধি পায়।
কোরিয়ার রপ্তানি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি সম্ভাবনা প্রসারিত করতে সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুরোধে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দেশটি সফরে যান।
প্রতিনিধিদলের সম্মানে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলাম নৈশভোজের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে কোরিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত হন।
Discussion about this post