মোঃ গিয়াস উদ্দীন: সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বানবাসী মানুষকে একটু আশ্রয় ও জরুরী ত্রান প্রদানের মতো বিষয়ে দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতাসীন দল ও প্রদান বিরোধী দলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান দেশের বিবেকবান সাধারন মানুষকে হতাশ করেছে। কারন দুর্গত মানুষকে সেবা প্রদানে কোন রাজনৈদিতক দৃষ্ঠিভঙ্গি থাকতে পারে না। ককসবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলাসহ জেলার অধিকাংশ মানুষ বন্যায় ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট, খাদ্য, বস্ত্র জীবন জীবিকা ও আশ্রয়হীন। ্এখন প্রয়োজন জরুরী ভাবে সরকারী-বেসরকারী সকল মহলের সম্মিলিত উদ্যোগ এ বানবাসী মানুষগুলোকে একটু সহায়তার হাত প্রশস্ত করা। কিন্তু তা না করে একপক্ষ আর এক পক্ষকে দোষারুপ করে চলেছেন। এটি জাতির জন্য দুুভাগ্য ছাড়া কিছুই নয়। আশার কথা কিছু বেসরকারী ও মানবাতবাদী সংস্থা এবানবাসী মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে তাদেরকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। ১৬ ও ১৭ জুলাই ককসবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের মাঝে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জরুরী খাদ্য ও ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তাগন উপরেক্ত মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগনের মাঝে জরুরী খাদ্য বিতরন কর্মসুচীর আওতায় চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ও দুলহাজারা ইউনিয়নে জরুরী খাদ্য ও ত্রান সমাগ্রী বিতরন করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা কনসার্ন ইউনিভার্সেল এর সহযোগিতায় নেদারল্যন্ডভিত্তিক দাতা সংস্থা কর্ডএইড এর আর্থিক সহযোগিতায় এ জরুরী ত্রান বিতরন কর্মসুচীর আওতায় ১৪০জন বন্যাদুর্গত পরিবার প্রতি ৫০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন ও নগদ ১৪০০/- টাকা বিতরন করা হয়। ১৬ জুলাই চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মসুচীর উদ্বোধন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার জাকির হোসেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালাক এস এম নাজের হোসাইন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, কনর্সান ইউনিভার্সেল এর মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান জাহিদ নেওয়াজ, মাসুদ রানা, ওয়ালিদুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসুচী ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দীন প্রমুখ।
সভায় বক্তাগন বলেন ত্রান বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য করুণা নয়, এটা তাদের অধিকার। কোন মানুষ বিপদে পড়লে অন্যরা এগিয়ে আসে। তাই বন্যাদুর্গত মানুষের বিপদে অন্যান্য সকলে একযোগে এগিয়ে আসলে মানুষ এ ধরনের বিপদ, ঝুকি থেকে অতি সহজে পরিত্রান পেতে পারে। যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ ভাবে একে অন্যের বিপদে এগিয়ে আসলে যে কোন প্রাকৃতিকসহ অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলা করা কঠিন হবে না।
বিগত ২৬ জুনের বন্যায় চকরিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়। প্রায় ২৬,৫০০ পরিবার গৃহ হীন হয়। উপকুলীয় অনেক ইউনিয়নের গ্রামীন রাস্তা ও সড়ক স¤পূর্ণ ভাবে বিধ্বস্ত হয়। এখনও অনেক এলকা পানির নীচে। বন্যাদুর্গত মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাগবে বন্যার্ত মানুষের জীবন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কর্মসুচীর অংশ হিসাবে চকরিয়া উপজেলার ৪৬৫টি বন্যা দুর্গত পরিবারকে এ কর্মসুচীর আওতায় আনা হয়। যার আওতায় আগামী ৩ মাস এ সমস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ত্রান বিতরন করা হবে।
এদিকে ১৭ জুলাই চকরিয়া উপজেলার বিএমচর, পুর্ববড় ভেওলা ও বরইলী ইউনিয়নে পৃথক ত্রান বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গাীর আলম বুলবুল, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা পারভীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম, আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, কনর্সান ইউনির্ভাসেল এর মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জাহিদ নেওয়াজ, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দীন চৌধুরী জিয়া, বিএম্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউল আলম, পুর্ববড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
Discussion about this post