টাঙ্গাইল ২৮ জানুয়ারি : টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে পুত্রবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক শ্বশুর আব্দুর রশিদ দেওয়ানকে শুক্রবার বিকেলে আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে ধর্ষণের শিকার পুত্রবধূ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার মাঝালিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ২২ বয়সী মেয়ের সঙ্গে পাশের উপজেলা দেলদুয়ারের কুমারজানি গ্রামের আব্দুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে রাজিব দেওয়ানের গত ১৬ জানুয়ারি বিয়ে হয়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বরাধ দিয়ে তার বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই ওই লম্পট তার পুত্রবধূকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিল।
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ওই লম্পট সেচ মেশিন পাহারা দেওয়ার জন্য প্রতি রাতেই তার ছেলেকে মেশিন ঘরে পাঠাতেন। আর এ সুযোগে রশিদ দেওয়ান প্রতিরাতেই পুত্রবধূকে নেশা ও যৌন উত্তেজক জাতীয় ট্যাবলেট খাইয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করত।
পুত্রবধূ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার তাকে স্থানীয় মনোয়ারা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ রকম ধর্ষণের ঘটনায় এর পূর্বেও তার দুই পুত্রবধূ স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে গেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা শুনেছি। আমি বাইরে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না। আপনি এসআই গোলাপের সঙ্গে কথা বলুন।
পরে এসআই গোলাপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সারা দিন বাইরে ছিলাম। তাই এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আপনি এসআই রফিকের সঙ্গে কথা বলুন।
এসআই রফিক বলেন, এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্যার (ওসি) আসলে বলতে পারব এ ব্যাপারে মামলা হবে কি না। তবে রশিদ দেওয়ানকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রশিদ দেওয়ানের সঙ্গে এসআই রফিকের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতে চাইলে তিনি (এসআই রফিক) বলেন, এ ব্যাপারে ওসির সঙ্গে কথা বলে অনুমতি নিতে হবে।
Discussion about this post