আইএনবি ঢাকা : বাংলা নববর্ষ ১৪১৯ উপলে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ কথা বলেন। বেগম জিয়া বলেন, “পয়লা বৈশাখ ১৪১৯, বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় উৎসারিত আনন্দ হিল্লোলে বাংলা নববর্ষ বরণ করবে। বাংলা নববর্ষের এই উৎসবে আমি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।” তিনি বলেন, “জাতির জীবনে পয়লা বৈশাখ নুতন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। এ দিনে স্বজাতির লোকজ ঐতিহ্যের পরস্পরায় তার শিল্প, সাহিত্য, ভাষা, শিা, জ্ঞানচর্চা, আচরণবিধি, ধর্ম বিশ্বাস, সংগীত, সামাজিক উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, ক্রীড়া মনন ও বুননের চালচিত্র ফুটে উঠে।” বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, “অনন্তকাল ধরে গড়ে ওঠা আমাদের ভাষা-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অহঙ্কারকে বিদেশী আধিপত্যবাদী প্রভুরা খর্ব করার নানা ফন্দি করেছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। পয়লা বৈশাখ আমাদের সেই গর্বিত ঐতিহ্যকেই আনন্দের মহাসমারোহে স্মরণ করিয়ে দেয়, জেগে ওঠে জাতির আত্মপরিচয়।” তিনি আরও বলেন, “আমরা নানা ঘটনা ও দূর্বিপাকের স্বাী ১৪১৮ সালের চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ১৪১৯ সালের সিংহ দুয়ারে উপস্থিত হয়েছি। গত বছরের দুঃখ, অবসাদ-কান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে বাংলা নববর্ষ। “বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। হাজার বছরের স্বজাতির সাংস্কৃতিক বিনির্মাণের পরিক্রমায় গণতান্ত্রিক বোধনিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট। তাই আমাদের দীর্ঘ ঐহিতাসিক সংগ্রামে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের নতুন মাত্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের উৎসব পেয়েছে এক উদ্ভাসিত বর্ণিল আবহ।” খালেদা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “নতুন বছরে সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা, সবার জীবন হয়ে উঠুক সমৃদ্ধময়। সমাজ থেকে চিরতরে বিদায় নিক অসত্য, অন্যায় অনাচার, অশান্তি। আজকের এই দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।” এদিকে, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এক বাণীতে দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Discussion about this post