মোবারক বিশ্বাস- বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভি’র পাবনা প্রতিনিধি ও দৈনিক সমকালে ষ্টাফ রিপোটার এবিএম ফজলুর রহমানকে গতকাল দুপুর ১২টায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরতর আহত করেছে। আহত ফজলু জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১১ টায় জনৈক নাঈম নামে এক ব্যাক্তি মোবাইল ফোনে জানাই আমাদের এ্যাডওয়ার্ড কলেজ বিষয়ে কিছু দুর্নিতীর খবর আছে। আপনি দয়া করে কলেজ কম্পাসে আসেন বিস্তারিত জানাব। ফজলু তখন মোবাইল কারক জনৈক নঈমকে বলেন, আপনি আমার অফিসে আসুন এখানে নিরিবিলি কথা হবে। মোবাইলকারক জনৈক নঈম ফজলুকে জানায়, আপনারা সাংবাদিক তাই আপনাদের অফিসে গিয়ে বিস্তারিত বলা আমাদের ঠিক হবে না। তখন এনটিভি’র রিপোটার ফজলু ও মাছরাঙা প্রতিনিধি রিজু কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে ফোনকারীকে ফোন দিয়ে বলেন,আমরা কলেজ ক্যম্পাসে এসেছি আপনি কোথায়। জনৈক নঈম সাংবাদিকদের বলেন, ডরমিটরী ভবনের দিকে আসতে। এরমধ্যে কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র হাতে সামনের দিকে আগাতে থাকে। সাংবাদিক ফজলু কিছু বুঝে উঠার আগেই দুর্বত্তরা এলাপাথারীভাবে কোপাতে থাকে। দুর্বত্তদের আঘাতে সাংবাদিক ফজলু গুরতর আহত হয়ে জীবন বাঁচাতে দৌড়ে কলেজের গেটের সামনে উপস্থিত হয়। এসময় একজন মোটর সাইকেল আরোহীর কাছে সাংবাদিক ফজলু সহযোগীতা কামনা করলে তাকে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে নিয়ে আসেন। প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকগণ ফজলুকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকগণ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক দক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। প্রতিবাদ সভায় ক্লাব সভাপতি শিবজীত নাগের সভাপতিত্বে বক্তরা খুব দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন। পরবর্তিতে সাংবাদিকগণ আব্দুল হামিদ রোড অবরোধ করলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জড়িতদের খুজে বের করে বিচারের আস্বাস দিলে সাংবাদিকগণ অবরোধ তুলে নেন। উল্লেখ্য পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রী পাশ কোর্সে নবীন বরন অনুষ্ঠানে উক্ত কলেজের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মুরাদ ওই অনুষ্ঠানে ভাড়াটে এক নর্তকীর সাথে অশ্লীল নাচে অংশ নেন। এ ঘটনায় পাবনার সংবাদ সংস্থা “পিপ” এ একটি খবর পরিবেশন করা হয়। এরই জের ধরে শিক্ষক মুরাদ গং তার ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে আক্রমন করে আহত করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুরো ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আটঘরিয়া প্রেস ক্লাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ
এনটিভি ও দৈনিক সমকালের পাবনা স্টাফ রির্পোটার, সাবেক পাবনাপ্রেস ক্লাবের সম্পাদক এবং বার্তা সংস্থার প্রধান সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমান সন্ত্রাসী হামলায় আহত হওয়ায় প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এক বিবৃতিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বিবৃতি দিয়েছেন আটঘরিয়াপ্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা আমিরুল ইসলাম রাঙা, সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ (দৈনিক ভোরের কাগজ), মোহনা টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি ও দৈনিক আজকালের খবরের পাবনা ব্যুরো প্রধান খাইরুল ইসলাম বাসিদ, সহ-সভাপতি মাও: আমিরুল ইসলাম, সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বাবু, দৈনিক জনতার প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম খন, প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজআমান আক্কাস, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম এ মাজেদ প্রিন্স, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি (২), কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাড. আতাউর রহমান, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মিঠু, বোরহানন উদ্দিন রব্বানী, সুলতান মাহমুদ টিপু, সদস্য আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস, মনিরুজ্জামান খোকন, রবিউল ইসলাম শাহীন, আব্দুস সবুর, শাহীনুজ্জামান প্রমুখ।
হামলার নিন্দায় চাটমোহরের সংবাদকর্মীরা
দৈনিক সমকাল ও এনটিভি’র স্টাফ রিপোর্টার ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পাবনার চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ। তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি, দৈনিক নতুন বিশ্ববার্তার বিশেষ প্রতিবেদক হেলালুর রহমান জুয়েল, প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও দৈনিক চলনবিল সম্পাদক রকিবুর রহমান টুকুন, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ দৈনিক স্বাধীনমত প্রতিনিধি ও দৈনিক সিনসা বিশেষ প্রতিদেক জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাবের সহ-সম্পাদক দৈনিক মানবজমিন ও দৈনিক বিশ্ববার্তা প্রতিনিধি সঞ্জিত সাহা কিংশুক, দৈনিক পাবনার চেতনা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম মধু, দৈনিক পাবনার আলো প্রতিনিধি এমএ বারী, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি মোঃ আফতাব হোসেন, আজকের পৃথিবীর বার্তা সম্পাদক এস,এম পাশা, দৈনিক সোনালী সংবাদ প্রতিনিধি এবাদত হোসেন, দৈনিক আজকের পাবনা প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম, দৈনিক কলম সৈনিক প্রতিনিধি মাসুদ রানা, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট অঞ্জন ভট্টচার্য্য, টিপু সুলতান কাঞ্চন, মোঃ ইশারত আলী, সালাহ উদ্দিন খান সোহেল প্রমুখ।
পাবনা রিপোটার্স ইউনিটির নিন্দা
দৈনিক সমকাল ও এনটিভির প্রতিনিধি এবিএম ফজলুর রহমানের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য এঘটনার তীব্র নিন্দাসহ অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কাছে জোরদাবি জানিয়েছে। পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
পাবনায় মিয়ানমার থেকে চোরাপথে আসা কারেন্ট জাল পাচার হচ্ছে ভারতে
মোবারক বিশ্বাস- প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে চোরাপথে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এনে পাবনার বেড়া বাজারে মজুদ করছে। পরে সেখান থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি এই চক্রটি সীমান্ত পথে ভারতে কারেন্ট জাল পাচার করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই নিষিদ্ধ জালের রমরমা ব্যবসা চলছে বলে সংশি¬ষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, চোরাচালানীরা চোরাপথে মিয়ানমার থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল চট্রগ্রাম ও ঢাকায় নিয়ে আসে। সিন্ডিকেট সদস্যরা সেখান থেকে নৌ ও সড়ক পথে কোটি কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বেড়া বাজারে এনে পৌর সুপার মার্কেট ও নান্না সুপার মার্কেটের দোতলায় ও কলাপট্রি মার্কেটে মজুদ করা হয়। তিনটি মার্কেটে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের কয়েকটি গুদাম রয়েছে। এই গুদামগুলো দিনের বেলা খোলা হয়না। শুধুমাত্র রাতের বেলা জাল বের করা ও ঢুকানোর জন্য পাহাড়া বসিয়ে গুদাম খোলা হয়। এছাড়া প্রত্যেক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে কারেন্ট জাল রাখার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। বেড়া বাজার থেকে পাবনার সাঁথিয়া, ফরিদপুর, সুজানগর, আটঘড়িয়া, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ঈশ্বরদী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, উল¬াপাড়া, রায়গঞ্জ, তারাশসহ উত্তরের বিভিন্ন উপজেলায় কারেন্ট জাল সরবরাহ করা হয়। এমনকি এই চক্রটি সীমান্ত পথে কারেন্ট জাল ভারতে পাচার করছে। কারণ ভারতে কারেন্ট জাল উৎপাদন নিষিদ্ধ হওয়ায় সেখানে এই জালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, সড়ক পথে ট্রান্সপোর্টের গাড়ীতে ছোট ছোট কার্টুনে ভরে কারেন্ট জাল বেশি আনা হচ্ছে। কারন ট্রান্সপোর্টের গাড়ী পুলিশ খুব একটা তল¬াশী করে না। ফলে জাল ব্যবসায়ীরা নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্্রান্সপোর্টের গাড়ী বেছে নিয়েছে। এই অবৈধ ব্যবসা নিবিঘেœ চালানোর জন্য সিন্ডিকেট সদস্যদের একটি বিশেষ তহবিল রয়েছে। এই তহবিল থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও মাস্তানদের নিয়মিত মাসোহারা দেয়া হয়। এ জন্যই স্থানীয় প্রশাসন নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। ২০১০ সালে পাবনার তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আলী ইমাম নান্না সুপার মার্কেটের দোতালা ও কলাপট্রি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল আটক করে বেড়া উপজেলা চত্তরে নিয়ে পুড়িয়ে দেন। এসময় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে অর্থ জরিমানা করা হয়। এরপর নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আর কোন অভিযান পরিচালি হয়নি। সূত্র জানায়, জ্যৈষ্ঠ থেকে ভাদ্র এই চার মাস নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের রমরমা ব্যবসা চলে। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ মাস মাছের প্রজনন মওসুম। এই সময় মা মাছেরা ডিম ছাড়ে। কিন্তু মৎস্য বিভাগের একশ্রেনী অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে জেলেরা মৎস্য আইনের তোয়াক্কা না করে নদী, খাল ও বিল থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে নির্বিচারে টেংরা, কৈ, মাগুর, নয়না, বাজারি, খসল¬া, কালবাউস, লওলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি ডিম ওয়ালা মাছ ধরে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে। পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মিয়া খাল, বিল-নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে ডিম ওয়ালা মাছ ধরার কথা স্বীকার করে বলেন, জনবল সঙ্কটের কারণে অনেক সময় নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। আবার সময়মতো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতাও পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ইসলাম জানান, তিনি প্রশিক্ষনের জন্য ঢাকা অবস্থান করছেন। কারেন্ট জাল ব্যবসা সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। পাবনা জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান এর সাঙ্গে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কেেলজের অধ্যক্ষ ষ্ট্যান্ড রিলিজ
মোবারক বিশ্বাস ঃ কলেজে অনৈতিক কর্মকান্ড ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পাবনার এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাকে শাস্তিমূলক ভাবে নওগাঁ জেলার সাপাহার সরকারী কলেজে বদলী করা হয়েছে। কলেজ সূত্র জানায়, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ডিগ্রী পাশ কোর্সে নবীন বরন অনুষ্ঠান করা হয়। ১১৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মুরাদ ওই অনুষ্ঠানে ভারাটে এক নর্তকীর সাথে অশ্লীল নাচে অংশ নেন। খোলা মঞ্চে নর্তকীর সাথে শিক্ষকের এই নাচ দেখে হতবাক হয় শিক্ষার্থীরা। এতে সাধারন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকরে মধ্যে চরম ক্ষোভ আর অসোন্তাষ দেখা দেয়। বিষয়টি পাবনার স্থানীয় ও জাতীয় কয়েকটি পত্রপত্রিকায় প্রকাশের পর ফুসে ওঠে পাবনাবাসী। নর্তকীর সাথে শিক্ষক মুরাদের নাচের বিষয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যাবস্থা গ্রহন না করায় ও বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজ অধ্যক্ষ নাইদ মোহা: শামসুল হুদাকে শাস্তিমূলক ভাবে নওগা জেলার দূর্গম এলাকায় অবস্থিত সাপাহার কলেজে বদলী করা হয়। বদলীর ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ নাইদ মোহা: শামসুল হুদা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী চাকুরীজিবীদের সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে বদলী ঠেকানোর চেষ্টা করছি। তবে কি কারনে বদলী করা হয়েছে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেনি। আগামী ২২ মে পর্যন্ত সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ নাইদ মোহা: শামসুল হুদা, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী চাকুরীজিবীদের সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। তবে বদলী ঠেকানোর চেষ্টা করছি। তবে কি কারনে বদলী করা হয়েছে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেনি। আগামী ২২ মে পর্যন্ত সময় সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিজে রিলিজ না নিলে আপনা আপনিই অবমুক্ত হওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে দেখা যাক কি হয়। পাবনা সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ বজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের কলেজে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: সালামত উল্লাহকে স্থলাবিষিক্ত করা হয়েছে। শাস্তিমূলক বদলী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত বড় কলেজ কলেজ থেকে উপজেলা পর্যায়ের একটি কলেজে বদলীর বিষয়টি আর কিভাবে খোলামেলা বলব।
Discussion about this post