ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে ধরা খেয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। পরে সালিশের মাধ্যমে বিয়ে বাড়ি থেকে ছাড়া পায় পুলিশ সদস্য ও তার পিতা। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় ৬ লাখ টাকা কাবিনে পুলিশ সদস্যা প্রথম স্ত্রীর সাথেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তার। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আলোচিত দুই পুলিশ সদস্য হলেন ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল আতিকুর রহমান ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নারী নির্যাতন সেলের কনস্টেবল রুমা আক্তার। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামের শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমানের পুত্র ও ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল আতিকুর রহমানের সাথে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কার্তিকখোলা গ্রামের সুলতান আহমেদের কন্যা, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নারী নির্যাতন সেলের কনস্টেবল রুমা আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছিল। ইতিমধ্যেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এদিকে রুমার সাথে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে কনস্টেবল আতিকুর রহমানের পরিবার তাদের নিজ ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের এক মেয়ের সাথে তার বিয়ে ঠিক করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারী তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের দিন বরযাত্রীরা কনে বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। বর যাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া চলার সময় বিয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির হন প্রথম স্ত্রী রুমা আক্তার। সাথে সাথেই বদলে যায় বিয়ে বাড়ির চিত্র। বরযাত্রীরা বিয়ের মজলিশ থেকে কেটে পড়েন। কনে পক্ষ বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে বর ও তার পিতাকে আটক করে গ্রামের জনপ্রতিনিধি ও সালিশকারকদের খবর দেয়।
পরে এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন খানের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের অভিভাবক ও সালিশকারকদের এক সালিশে ঘটনার জন্য বরপক্ষ ক্ষমা চেয়ে কনে বাড়ি থেকে ছাড়া পায়। এদিকে রাতের বেলা প্রথম স্ত্রী রুমা আক্তারকে সদর থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে উভয় পরিবারের উপস্থিতিতে ৬ লাখ টাকা কাবিনে সদর থানায় আতিকুর রহমান ও রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ে পর সদর থানার পুলিশের মধ্যে মিস্টি বিতরন করা হয়।
রুমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ২০০৮ সালে আতিকুর রহমানের সাথে তার প্রেম হয়। পরে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। আতিকুর রহমান একাধিকবার তাদের বাড়িতে বেড়াতেও যায়। কিন্তু আতিকুর রহমান তার সাথে প্রতারনা করে গত ৬ ফেব্রুয়ারী তার এলাকার একটি মেয়েকে বিয়ে করতে যায়। বিয়ের দিন সকালে আতিকুর রহমান � আজ আমার বিয়ে রুমা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও� এই ধরনের একটি ম্যাসেস তার মোবাইল ফোনে পাঠালে সে ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িযায় এসে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়।
এ ব্যাপারে সদর থানার এস.আই দেলোয়ার হোসেন বলেন, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সালিশকারকরা তাদের মধ্যে বিয়ের রায় দেন। আমরা এ ঘটনায় সদর থানায় একটি ডিজি করে তাদের মধ্যে বিয়ে দিয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনের হাতে তুলে দেই।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুর রব বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্য রুমা ও আতিকুর রহমানের বিয়ে হয়েছে। বিয়েতে কাবিন ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
Discussion about this post