এইচ এম হুমায়ুন কবির: ধুমপান ও বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের বিরুদ্ধে এডিঃ এসপি মামুন এবং ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) আবুল হাসান মৃধার ব্যাতিক্রমধর্মী প্রচারণা-
২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট শনিবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ঘটে যাওয়া একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবরে দেশ জুড়ে নেমে এসছিলো শোকের কালোছায়া ! সেদিন দেশ হারিয়েছিলো জাতির দু’টি বিবেক । সমাজের দু’টি প্রদীপ ! সেদিন আমাদের প্রিয় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও বেসরকারী টেলিভিশন এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরকে বহনকারী মাইক্রোবাসে একটি যাত্রীবাহি বাস এসে সংঘর্ষ ঘটিয়ে নিবিয়ে দেয় তাদের জীবন প্রদীপ ! আমরা আজো তাদের শোক কটিয়ে উঠতে পারিনি ! আর কখনো পারবোওনা ! তাদের এই শূন্যতা কোন দিন পুর্ণ হবেনা । এটি কখনো হবার নয় ! ঐ দুর্ঘনাই শেষ নয় ! ঐ দিনের কান্নায় যেন গাড়ি চালকদের পেট ভরেনি ! তাদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এর কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা ! তাই বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশের রত্ন চৌকশ পুলিশ অফিসার এডিশনাল এসপি আবু আহাম্মদ আল মামুন এবং ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল)আবুল হাসান মৃধাকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামছুন্নাহার হলের সামনে রাখা মিশুক মুনির ও তারেক মাসুদের সেই মাইক্রোবাসের ধ্বংসাবশেষের কাছে দাঁড়িয়ে ৫টাকা দিয়ে দুটি সিগেরেট কিনে তা দিয়ে ক্রস চিহ্ন ও জীবনকে যেন না পোড়ানো হয় তার সংকেত বুঝাতে সিগেরেটে আগুন ধরিয়ে ধুমপান মুক্ত দুই বন্ধু ধুম পান ও বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের বিরুদ্ধে এক ক্যাম্পেইনের সূচনা করেন ।
এ সময় জনাব আবুল হাসান মৃধা বলেন, ধুমপান মানে বিষ পান, একজন ধুমপায়ী ধীরে ধীরে কতো দ্রুত যে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে তা বুঝা কঠিন তাই এ মরন নেশাকে সমাজ থেকে চির তরে বিদায় জানাতে একক চেষ্টা কখনোই সফল হবে না এর জন্য চাই সামাজিক,সরকারি ও বেসরকারি ভাবে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা এবং ব্যাক্তির ইচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যদি সঠিক ভাবে এর ক্ষতিকর দিক গুলো জনসম্মুখে তোলে ধরা যায় তাহলে এক দিন সমাজ সমাজ থেকে ধুমপান নামক অদৃশ্য এই মৃত্যু ফাঁদকে জাদুঘরে পাঠানো সম্ভব।
Discussion about this post