তৈয়বুর রহমান টনি নিউইর্য়কঃ
প্রবাসে বাংলাদেশী ক্যাব চালকদের একটা ভাল সুনাম রয়েছে বিদেশী যাত্রীদের কাছে। তাদের সততার জন্য অনেক বিদেশী যাত্রীদের কাছে বাংলাদেশী ক্যাব ড্রাইভারদের একটা গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। সেই সুনামের পাশাপাশি হত্যা চেষ্টার অপরাধে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ক্যাব চালক ও মেডিকেল ছাত্র মোহাম্মদ আজমের ৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। যেটা সত্যিই দূর্ভাগ্যজনক বাংলাদেশীদের জন্য। ২৯ বছর বয়সী এই বাংলাদেশী যুবকের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের রাস্তায় ক্যাবের জন্য অপেক্ষায় থাকা ২ যাত্রীকে গাড়িতে না তুলে তাদের ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ম্যানহাটনের সুপ্রিম কোর্টে শুক্রবার এই রায় দেওয়া হয়। এসময় আজম বার বার বিচারকের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু বিচারক তার সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে তার বিরুদ্ধে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। মেডিকেল কলেজে ডিগ্রি নেওয়ার পাশাপাশি ক্যাব চালাতেন মোহাম্মদ আজম।
জানা যায়, ঘটনার রাতে মিডটাউন থেকে দুই যাত্রী আজমের ট্যাক্সিতে ব্রঙ্কস যেতে চাইলে আজম তাদের না নিয়ে চলে যেতে চান। এ সময় ট্যাক্সির ধাক্কায় দুই যাত্রীই আহত হন। এদের মধ্যে অ্যান্থনী লরেটো নামে এক যাত্রী ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের ওপর পড়লে তার মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তার মাথার খুলি ভেঙ্গে যায় যা তাকে প্রায় মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়। আদালতে ভাঙ্গা গলায় আজম যখন ক্ষমার আবেদন করছিলেন তখন বিচারক তাতে কান দেননি। বিচারক ড্যানিয়েল ফিটজগেরাল্ড এসময় বলেন, তোমার গাড়ির আঘাতে অ্যান্থনির মৃত্যুও হতে পারতো। আজমের পক্ষের আইনজীবী গ্যারি সানডেন অবশ্য এসময় আদালতের কাছে আজমের পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং একজন মেডিকেল ছাত্র হিসেবে এই অপরাধে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। তবে সরকারি প্রসিকিউটর গ্রেগরি স্যানগারমানো এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ৫৪ স্ট্রিটের ওপর লরেটোকে আঘাত করে তাকে সেখানে ফেলেই চলে যান আজম। মেডিকেল কলেজের ছাত্র হিসেবে আজমই তাকে চিকিৎসা সেবা দিতে পারতেন।
Discussion about this post