তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইয়র্কঃ- বর্তমান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী জনাব শাহজাহান খান এম.পি মাদারীপুরের কৃতি সন্তান। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। তার দেশপ্রেম, জনগনের প্রতি ভালবাসা ও মানুষের কল্যানের জন্য তাঁর অন্তরে লালিত স্বপ্নের প্রতিফলন প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে। গত সোমবার ২২শে জুলাই উডসাইডের শুলসান ট্যারেসে প্রবাসী মাদারীপুর জেলাবাসী গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের যুক্তরাষ্ট্র আগমন উপলক্ষে বিশাল গনসংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
মাদারীপুর জেলাবাসীর এই আয়োজনে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং সমাজের বহু গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং রমজানের ফজিলত ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন মাওলানা শামছুল আরেফিন। বহুদিন পর মাদারীপুর জেলাবাসীর তিনটি সংগঠনের স্বম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে নিউ ইয়র্কে অবস্হিত মাদারীপুর জেলার প্রায় সকলেই উপস্হিত হন পরিবার পরিজনদের নিয়ে। কিছুক্ষনের জন্য অনুষ্ঠান স্হলটি পরিণত হয়েছিলো মাদরীপুর জেলাবাসীর মিলনমেলায়।
গনসংবর্ধনা ও ইফতার পার্টির আয়োজনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নূরুজ্জামান সরদার ও মুজিবুর রহমান। মঞ্চে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্হায়ী মিশনের প্রতিনিধি মান্যবর ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল ইসলাম, আইরিন পারভীন, সোহরাব হোসেন, গোলাম কদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম মানিক, ডাঃ ওয়ালী খান, ড. এম এ বাতেন, কাজী বোরহান সিদ্দিকী, এ কে আজাদ হওলাদার, এ রহমান বাচ্চু, আব্দুল হাসীব, আবুল হোসেন, মোঃ কাইয়ুম, আনোয়ার হোসেন চুন্নু এবং মোঃ আলাউদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী মাদারীপুর জেলাবাসী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জালাল উদ্দিন জলিল।
প্রধান অতিথি নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান তাঁর বক্তব্যে বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নের দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন “আপনাদের ভালবাসা এবং দোয়ায় আমি পরপর পাচঁবার মাদারীপুর থেকে এম পি নির্বাচিত হয়েছি। আমি একজন সাধারণ শ্রমিক কর্মী থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি জন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অধিষ্ঠিত করেছেন। যার জন্য আমি তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমি চেষ্টা করেছি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে মাদারীপুর জেলাবাসীর শিক্ষিত যুবকদের চাকরি প্রদান করতে। আমি আমার মন্ত্রনালয়ে প্রায় দেড় হাজার যুবককে চাকুরীতে নিয়োগ দিয়েছি”। শাহজাহান খান আরো বলেন, মাদারীপুর প্রধান সমস্যা হচ্ছে নদী ভাঙন। তাই দ্বীপ জেলা ভোলার নদী ভাংগন থেকে রক্ষার জন্য কাজ করা হচ্ছে। আর বিএনপি জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন ভোলায় নদী ভাঙন রোধে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই গ্রামের মানুষ ভাল থাকেন। এ সময় তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পূর্ণব্যক্ত করেন। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আজ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠেছে। এরাই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায়। তাই এদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতা-কর্মীসহ জনগণকে সজাগ থাকার আহব্বান জনান। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নদী ভাঙন রোধ, রাস্তা-ঘাট, পুল-ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ, শিক্ষাসহ ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, গ্রাম গঞ্চের প্রতিটি ঘরে ঘরে আজ বিদ্যুৎতের বাতি জ্বলছে”।
“এ সরকারের আমলে স্বচ্ছ ও প্রভাবমুক্ত ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়েছে জনগণ। মানুষের অধীকার নিশ্চিত করতেই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন”।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন-“বর্তমান সরকারের আমলে যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। যেটা এতদিন পরে সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার কারনেই। ঘটেছে সরাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তশালী করতে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে প্রবাসী মাদারীপুর জেলাবাসীর পক্ষ থেকে সন্মন স্বরুপ স্ক্রেষ্ট প্রদান করেন সাবেক সভাপতি গোলাম কদ্দুস ও বর্তমান সভাপতি আবুল হোসেন। মাদারীপুর জেলাবাসীর অনেকেই মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠান শেষে ছিলো নৈশ্যভোজের আয়োজন।
Discussion about this post