এক আইনজীবীর টুইট থেকে একটি আরবী দৈনিক পত্রিকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এক বাংলাদেশী ডাক্তার কে ভুয়া চিকিৎসক বলে উল্লেখ করেছে। রিপোর্টে অবশ্য ঐ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেনি। স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নাকি ঝড় বয়ে যাচ্ছে এমন বাংলাদেশের একটি প্রসিদ্ধ প্রত্রিকায় সংবাদও প্রচার করে গত ১৭ জুলাই ২০১৭ সোমবার। কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী আছেন তাদের কেউ সেই ঝড় দেখেছে কিনা তা আমি একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে আমার জানা নেই। বিদেশে বিভিন্ন মিডিয়া গুলো সব সময় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র বিষয় গুলি বড় করে প্রকাশ করে, অন্য দেশের হলে এশিয়ান আর বাংলাদেশী হলে “বাংলাদেশী” লেখতে মোটেও ভূল করেন না। যেখানে বন্ধু বেশে শত্রুর কমতি নেই সেখানে আমাদের দেশেও কিছু মিডিয়া বিদেশে প্রবাসীদের কোন সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সত্যতা যাচাই করা কি প্রয়োজন মনে করেন না। আজ স্থানীয় পত্রিকায় কুয়েত এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে ঐ রিপোর্ট মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয় প্রসাশন যখন ঐ আইনজীবীকে ডেকেছিলো জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন, তদন্ত চলছে।
আমি বাংলাদেশের একজন নগন্য নাগরিক কিন্তু সচেতন হিসেবে এর নিন্দা জানাই। আমি বাংলাদেশী হিসেবে আমার মানহানি হয়েছে মনে করি, যদিও আমি একজন সংবাদ কর্মী তার পরও আমার দেশ ও দেশের মানুষ নিয়ে কোন প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার হবে আমি মেনে নিতে পারিনা।
কিছুদিন পূর্বেও আরেকটি স্থানীয় পত্রিকায় হাওয়াল্লী অঞ্চল থেকে একজন ভুয়া বাংলাদেশী ডাক্তার আটকের সংবাদ প্রচার হয়। ঐ রিপোর্টেও কারো নাম উল্লেখ করেনি। সেই সংবাদের আর কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী বাহিনী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ সকল বিষয়ে এতটাই দক্ষ যা আমাদের বন্ধু বেশে শত্রুদের আতংক। তারা বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে ধ্বংস করতে সর্বদা তৎপর।
কুয়েত সহ বিদেশে বাংলাদেশের সকল দূতাবাস ও হাইকমিশন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোদ থাকবে বাংলাদেশী নামে যে কোন নেতিবাচক সংবাদের সত্যতা যাচাই করতে। মিথ্যা হলে এর প্রতিবাদ জানাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে। আর বিদেশে দুই একজন অপরাধীর জন্য সমগ্র জাতির মান ক্ষুন্ন হয় তাদের চিহ্নীত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে।
লেখকঃ
প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক মঈন উদ্দিন সরকার সুমন