মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ পাবনার বেড়া উপজেলায় বিষাক্ত মদ পান করে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩ জন অসুস্থ হয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, সকাল ৯টায় বেড়া উপজেলার পেঁচাখোলা যমুনানদীর চরে যাত্রা শেষে মঞ্চের আসবাব খুলতে যায় ৯ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে ৫ জন মঞ্চের পাশে বস্তার মধ্যে বোতলজাত পানীয় পেয়ে সম্মিলিত ভাবে পান করে। এর কিছুক্ষণ পরই সকলেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে বেড়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে ২ জন মারা যায়। এরা হলেন পেঁচাখোলা গ্রামের আব্দুল হান্নান ৩০ ও আব্দুল মান্নান (৩৫)। অপর ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গুরুতর এই ৩ জন শ্রমিক হলো- পেঁচাখোলা গ্রামের মোকাররম হোসেন (২৮), বাবুল আক্তার বাবু (৩০) এবং হাটুরিয়া-নাকালিয়া গ্রামের উজ্জল (৩৫)। বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে, সম্ভবত ৫ জনই দূষিত মদ পান করেছে। এ ব্যাপারে এএসপি বেড়া সার্কেল কে,এম আবু নাসের জানান, বিষাক্ত মদ পানে তারা মারা গেছে। মৃত ২জনকে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে বেড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পায়েশ খিচুরী !
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ পাবনা ঈশ্বরদীতে বেশ কিছু দিন থেকে দেখা যাচ্ছে পায়েশ-খিচুরীর ছড়াছড়ি। জলবসন্ত, কলেরা এবং অন্যান্য রোগ থেকে পরিত্রান পেতে আল্ল¬ার নামে বিভিন্ন পাড়া-মহল্ল¬ায় বাড়ি বাড়ি থেকে চাউল টাকা চেয়ে চিনতে এনে পায়েশ-খিচুরী রান্না করে তা এলাকার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মাঝে বিতরণ করে থাকেন। সাধারন মানুষের ধারণা এতে বালা মুছিবত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
পাবনা ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের বাসা বিক্রি করে পাবলিক!
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ পাবনা ঈশ্বরদী শহরের নিউকলোনী ও এমএস কলোনী তিন তলায় রেলওয়ের বাসা (রুম) বিক্রির হিরিক পড়েছে। রেলওয়ের কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সরকার নিউকলোনী ও এমএস কলোনী তিন তলা নির্মান করেছে। বর্তমানে এসব কোয়াটারে রেলওয়ের কর্মচারীর চাইতে সাধারন পাবলিকই বেশি বসবাস করে। সুত্রটি জানায়, রেলওয়ের কোয়াটারে বসবাসকারী ব্যক্তিরা অন্যত্র চলে গেলে এই এলাকার একটি সিন্ডিকেট চক্র ক্লাবের নাম করে প্রথমে রুমটা নিজেদের দখলে নেয়। এরপর সুযোগ বুঝে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় রেলওয়ের বাসাটা অন্যের কাছে বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারন ক্রেতরাও বাসা ভাড়ার পরিবর্তে নগদ টাকা দিয়ে রেলওয়ের ওই সকল বাসার দখল কিনে নিয়ে বসবাস করে আসছে। এসকল বাসায় রেলওয়ের পানি এবং বিদ্যুৎ বিনা পয়সাতে ব্যবহার করছে। অবৈধ ভাবে রেলওয়ের বাসা-বাড়িতে বসবাসকারী ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা টাকায় ব্যবহার করলেও রেলওয়ের কর্মকর্তাদের এতে মাথা ব্যাথা নেই। একটি গোপন সুত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এসকল বাসায় বসবাসকারীদের থেকে বিদ্যুৎ বাবদ মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমানের টাকা নিয়ে থাকেন। এবিষয়ে সংশ্লি¬ষ্ট রেলওয়ের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সু-নজর দেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
পাবনা নগরবাড়িতে সার রি-প্যাকিং বস্তা প্রতি ৩ কেজি কম দেওয়ার অভিযোগ
মোবারক বিশ্বাস নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ পাবনার নগরবাড়ি নৌ-বন্দরে মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার প্যাকিং করা হচ্ছে। এ সময় ব্যাগ প্রতি দুই থেকে তিন কেজি করে সার ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে। এ ভাবে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন কৃষক। বিএডিসির ঠিকাদার পটল ট্রেডার্স ও বাঘাবাড়ি ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে সার কম দেওয়ার এই অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের চাহিদা পুরনের জন্য সরকার বিএডিসি‘র মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) রাশিয়া থেকে সার আমদানি করছে। আমদানিকৃত সার খোলা অবস্থায় জাহাজে চট্রগ্রাম বন্দরে আসে। আমদানিকৃত উক্ত সার স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করণের জন্য বিএডিসি পটল ট্রেডার্স কে ঠিকেদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। চট্রগ্রাম বন্দর থেকে নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পটল ট্রেডার্স উক্ত সার জাহাজে করে নগরবাড়ি নৌ বন্দরে এনে রি্য-প্যাকিং করছে। মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পটল ট্রেডার্স বাঘাবাড়ি ট্রেডার্সকে প্যাকিং এর জন্য সাব ঠিকাদার নিয়োগ করে। বিএডিসির ব্যাগে সার প্যাকিং করার সময় ৫০ কেজির প্রতি ব্যাগে দুই থেকে তিন কেজি সার ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিনে নগরবাড়ি নৌ বন্দরে প্যাকিং করার স্থানে গিয়ে ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় দেখা যায় ওজন যন্ত্রের সাথে ৩ কেজি ওজনের একটি পাথর বেঁধে ব্যাগে ভরা সার ওজন দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকেরা সাংবাদিকে উপস্থিতি বুঝতে পেরে ওজন যন্ত্রের সাথে বেঁধে রাখা পাথরটি সরিয়ে ফেলে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শ্রমিকরা জানান, আমাদের কিছুই করার নেই, আমরা ঠিকাদার আলতাব সাহেবের নির্দেশে এই কাজ করছি। চলতি বছরেএ পর্যন্ত ২০ টি জাহাজ থেকে সার খালাস করে গুদাম জাত করা হয়েছে। নগরবাড়ি নৌ বন্দরে আরো ৫ টি জাহাজ সার খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক সার ডিলার জানান, প্রতি ব্যাগে ২ থেকে ৩ কেজি করে সার ওজনে কম দিয়ে ঠিকাদার শুধু মাত্র চলতি বছরেই সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। অপর দিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন কৃষক। কৃষককে ৫০ কেজির টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে ৪৭ কেজি সার। এতে করে কৃষক প্রতি ব্যাগে প্রতারিত হচ্ছে ৬০ টাকা। প্যাকিং এর জন্য নিয়োগকৃত সাব ঠিকাদার বাঘাবাড়ি ট্রেডার্সের মালিক আলতাব হোসেন ব্যাগ প্রতি দুই থেকে তিন কেজি সার ওজনে কম দেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সার লোড আনলোড করতে এক দেড় কেজি ডেমারেজ হতে পারে। তবে ৩ কেজি কম দেওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। পটল ট্রেডার্সসের ম্যানেজার সোরহাব হোসেন বলেন, আমরা প্যাকিং এর জন্য বাঘাবাড়ি ট্রেডার্সকে সাব ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছি। ওজনে কম দেওয়া বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
Discussion about this post