মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ছোট মনোহরপুর গ্রামে সোমবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ট ঘর স¤পূর্ণ পুড়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্র জানায়, রাত সাড়ে দশটার দিকে ওই গ্রামের আব্দুল গাফফারের বাড়ির রান্নাঘরের চুলার আগুন থেকে আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রত ছড়িয়ে পড়লে আব্দুল গাফফার ও পার্শ্ববর্তী ফিরোজ হোসেনের বসতঘর সহ মোট ৮টি ঘর ও ঘরের মধ্যে রক্ষিত সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ ২টি পরিবারের দাবি, অগ্নিকান্ডে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ধান, আসবাবপত্র পুড়ে আনুমানিক পনের লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তিতে খবর পেয়ে পাবনা ফায়ার সার্ভিস এর সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম পাবনা জেলা শাখার পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা হিসেবে শাড়ি, লুঙ্গি, জামা-কাপড় ও কম্বল বিতরণ করা হয়ছে। সংগঠনের পাবনা শাখার সভাপতি আলহাজ নুর উদ্দিন আহমেদ বাবলু ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবারের হাতে ওই সহায়তা তুলে দেন। এসময় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
হুমকিতে পাবনা চাটমোহরসহ চলনবিলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অধ্যুষিত উত্তরের ৯০০ বিল খনন ও সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। পলি জমে ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে বিলের সীমানা। শুকিয়ে যাচ্ছে বিলের পানি। যেসব বিলে সারা বছর পানি থাকত, বছরের এক মাসও এখন সেখানে পানির নাম-গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায় না। এতে সেচ ও কৃষিকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নিশ্চিহ্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। একের পর এক বিল হারিয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী, পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা চলনবিলের অবস্থা অনেকটা ‘মরা গাঙের’ মতো। বিরল, কুরালিয়া, ঘুঘুবাঁধা, সোনাপাতিলা, দিঘি, বাড়া, দারিকুচি, পিপুরুল, লারোল, নিয়ালা, চাটমোহর চলনবিলের অন্তর্ভুক্ত এসব ছোটখাটো বিল ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। পাবনার ঘুঘুদহ বিল, গাঙভাঙ্গা বিল, বিল গাজনা, মালিখাঁর কোল বিল ও বিল চাতরা পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। সিকর বিল, কাজলকুড়া বিল, ধলকুড়া বিল, ইটকাটা বিল, বেহুলা বিল, গণ্ডার বিল, পাইকশার বিল, হারগিলার বিলসহ ৬০টি বিলের বুকে নানা রকম ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকেরা। রাজশাহীর বিল কুমারী পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। নওগাঁর জামিরতলা ও বিল কসবা এখন ধু ধু প্রান্তর। কুড়িগ্রামের ১৮২টি বিলের দীঘলাছড়ার বিল, বোছাগাড়ীর বিল, ইউসুফ খাঁর বিল, নাওখোয়া বিল, ঢুবাছরি বিল, কুশ্বার বিল, মেরমেরিয়ার বিল, মাইলডাঙ্গা বিল, মাটিয়ালেরছড়া বিল, চাছিয়ার বিল, হবিছড়ি বিল, পেদিখাওয়া বিল, কয়রার বিলসহ বেশির ভাগ বিলে ফসলের আবাদ হচ্ছে। অন্য বিলগুলোতে বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পানি থাকে না। দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট জেলার বিলগুলোর একই অবস্থা। বগুড়া থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গোবরচাপড়া, ধামাচাপা, সাতবিলা ও কাঁকড়ার বিল। অথচ এসব বিল খনন ও সংস্কারের ব্যাপারে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। চলনবিলের ১০৮৮ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বেঁচে আছে ৩৬৮ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৮৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সারা বছর পানি থাকে। পানি সরে গেলে বিলগুলো হয়ে পড়ে মৃতপ্রায়। এসব বিল থেকে কয়েকশ প্রজাতির জীববৈচিত্র্য ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে শত প্রজাতির মিঠাপানির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এক লাখ হেক্টর আবাদি জমির সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিকাজ হয়ে পড়েছে গভীর-অগভীর নলকূপনির্ভর। খনন ও সংস্কার উদ্যোগের অভাব, অপরিকল্পিত রণাবেণ, বাঁধ দিয়ে মাছচাষ ও বিল রায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেয়ায় উত্তরের এলাকা থেকে বিলের অস্তিত্ব এক এক করে মুছে যাচ্ছে। সম্প্রতি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার এক জরিপ প্রতিবেদনে জানা গেছে, উত্তরের এখন বিলের সংখ্যা প্রায় ১৫৬১টি। এর মধ্যে প্রায় ১৯০০ বিলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। পলি জমে বিলের মুখ ভরাট হয়ে যাওয়া এবং পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বছরের বেশির ভাগ সময় এসব বিল শুকনা থাকে। বছরের পর বছর বিলগুলোতে পলি জমছে। গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে। পরিণত হচ্ছে নিচু সমতল ভূমিতে। দীর্ঘদিন সংস্কার ও খননের উদ্যোগ না নেয়ায় বিলের পানির নির্দিষ্ট ধারাটিও হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যার সময় পানির সাথে আসা পলি জমছে বিলে। বন্যার পানি সরে গেলেও পলি থেকে যাচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে বিলের গভীরতা। একপর্যায়ে গোটা বিল এলাকাই পরিণত হচ্ছে ধু ধু প্রান্তরে। এ অঞ্চলের বেশ কিছু বিল মাছচাষের জন্য অপরিকল্পিতভাবে ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারাদারেরা যেখানে-সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে মাছচাষ করছে। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিলের পানিপ্রবাহ। একপর্যায়ে বিলের মূলধারাই শুকিয়ে যাচ্ছে। নদীগুলোর সাথে বিলের সংযোগস্থলেও দেয়া হচ্ছে কৃত্রিম বাঁধ। একে তো জমে থাকা পলি, এর ওপর বাঁধ নির্মাণে নদী-বিলের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সরকারের তরফ থেকে বিল রণাবেণে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় নদী থেকে বিচ্ছিন্ন বিলগুলো ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ বিলেই এখন সারা বছর চাষাবাদ হয়। এসব বিলে এখন ফসলের আবাদ হচ্ছে। অবশিষ্ট বিলগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। নিশ্চিহ্ন হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। একের পর এক বিল হারিয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। মৎস্য অধিদফতর ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি রিহেবিলিটেশন প্রজেক্টের পরিচালক মকলেসুর রহমান সুমন বলেন, বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বিলনির্ভর প্রায় এক লাখ হেক্টর আবাদি জমির সেচকাজ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিকাজ হয়ে পড়েছে গভীর-অগভীর নলকূপনির্ভর জীববৈচিত্র্য ও দেশী প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
পাবনা চাটমোহরে এক মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসন ১এর মেম্বার মোছাঃ বুলবুলি খাতুন ও তার স্বামী মোঃ চাঁদ আলী মাষ্টারের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঐ মহিলা মেম্বার এলাকার সোনাহার পাড়া গ্রামের কয়েকজন মহিলার ভিজিডি ও বয়স্ক ভাতার কার্ড এবং ৪০ দিনের কর্মসূচীতে কাজ দেবার কথা বলে নগদ টাকা গ্রহন করেছেন। এব্যাপারে মহিলা মেম্বার বুলবুলি খাতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সাথে আমার কোনদিন অভিযোগের বিষয়ে কথাই হয়নি। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কতিপয় ব্যক্তি নিজেরা আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ এনে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
চাটমোহরে গম সংগ্রহের উদ্বোধন কৃষকদের কার্ড ব্যবহার করে গম দিচ্ছেন ব্যবসায়ী মজুতদাররা প্রকৃত কৃষক বঞ্চিত
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহরে গত সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গম সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেন মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গিয়াস উদ্দিন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, গুনাইগাছা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মওলা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ আমিনুর রহমান, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস সরকার প্রমুখ। প্রথম দিনে বিভিন্ন এলাকার কৃষক কৃষি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে গম বিক্রি করেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মজুতদাররা কতিপয় কৃষকদের সাথে আঁতাত করে তাদের কৃষি কার্ড ব্যবহার করে খাদ্য গুদামে গম বিক্রি করছেন। নিদিষ্ট পরিমান তাপমাত্রা না থাকলেও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এসকল গুদামে ঢুকাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। চাটমোহরে চলতি মৌসুমে ৮৬৯ মেঃ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি গমের সরকারি মূল্য নির্ধারন ভিত্তিতে গম কেনার বিধান রয়েছে। কিন্তু চাটমোহরের কৃষকরা জানেন না যে সরকার গম কিনছেন। চাটমোহর রেলস্টেশনসহ মূলগ্রাম ইউনিয়নের কিছু গ্রামের কৃষকদের নামে এই গম দেয়া হচ্ছে। যদিও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এই অনিয়ম ও দূর্ণীতি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
পাবনা ঈশ্বরদীতে প্রাণ ও প্রাণ বৈচিত্র বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মোবারক ্িবশ্বাস ঃ প্রাণ ও প্রাণবৈচিত্র রক্ষায় করনীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার মূলাডুলি ইউনিয়নের হাজারী পাড়া গ্রামে উবিনীগ কার্যালয়ের আরশিনগর বিদ্যাঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মূলাডুলি ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা। বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন খাঁনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক জনদৃষ্টি পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সেলিম আহমেদ, প্রথম সকাল’র সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কমল কুমার পাল, মৎস্যজীবি চম্পা বেগম, কৃষক মুক্তার হোসেন কলেজ ছাত্রী তাসলিমা খাতুন প্রমূখ। বক্তারা বলেন, নতুন নতুন কীটনাষক ¯েপ্র করেও পোকা দমন সম্ভব হচ্ছেনা। কীটনাষক ¯েপ্র যদি পোকা মারা যাবে তাহলে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দীর্ঘ ৪১ বছর ধরেই কৃষকেরা জমিতে কীটনাষক ¯েপ্র করে আসছে। পোকা মাকড় মারা গেলে এতো পোকা কোথা থেকে আসে। কীটনাষক ¯েপ্র করার কারণে অনেক উপকারী পোকা মারা যায়। মিশ্র ফসল উৎপাদন করলে পোকা মাকড় অনেকাংশে কমে যাবে বলে বক্তারা জানান। রাসায়নিক সার ও অতিরিক্ত কীটনাষক ¯েপ্রর কারণে ডোবা নালার মাছের ডিম নষ্ট হওয়ায় দেশি মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। উপসী বা দেশীয় বীজ বপনে এবং জৈব সার প্রয়োগে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়। দেশীয় ধান, শাক, সবজি, ডাল চাষাবাদে উৎসাহিত ও হাইব্রীড বীজ বর্জন এবং কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধের জন্য আহ্বান করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বীজ বিস্তার ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মাহামুদা খাতুন মালা। কর্মশালায় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
পাবনায় বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন মৃধা আটকের গুজব : র্যাব পুলিশের অস্বীকার
মোবারক বিশ্বাস ঃ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার গয়েশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন মৃধাকে তার বাড়ী থেকে আটক করা হয়েছে বলে দাবী করেছে তার পরিবার। তবে র্যাব ও পুলিশ আটকের সত্যতা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার বিএনপি নেতা-কর্মিসহ শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। ইব্রাহিম মৃধার ছেলে রাজা মৃধা জানান, বিকেল ৫টার দিকে দু‘টি সাদা মাইক্রোবাসে করে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাবা পাবনা সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও গয়েশপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম হোসেন মৃধাকে তার বাড়ী থেকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এ সময় শত শত মানুষ ইব্রাহিম মৃধাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের একটি সুত্র জানায়, ইব্রাহিম মৃধার বিরুদ্ধে চরমপন্থিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ আছে। তা ছাড়া চরমপন্থিদের সঙ্গে তার কানেকশন রয়েছে। এ ব্যাপারে র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার কে এম তানভীর আনোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আটকের সত্যতা অস্বীকার করে জানায়, ঐ এলাকায় তারা গিয়েছিল তবে কাউকে আটক করেনি। এ ব্যাপারে পাবনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
পাবনায় ৩য়দিনের মত হরতাল পালন আটক ১০ হরতালের পক্ষে মিছিল মিটিং পিকেটিং হয়নি
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনায় বিএনপির ডাকে তৃতীয় দিনের হরতাল ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে শহরে রিক্সা ও হালকা যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও বাস-ট্রাক চলাচল করেনি। অধিকাংশ দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পাবনার পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, হরতালে নাশকতার আশংকায় পাবনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ জন বিএনপি ও জামায়াত নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। হরতালের বিপক্ষে বেলা ১২ টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। তবে হরতালের সমর্থনে শহরে বিএনপি কোন মিছিল মিটিং বা পিকেটিং করেনি। অফিস আদালত খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার ছিল নগন্য। ব্যাংক বীমা খোলা থাকলেও লেনেদেনের হার ছিলো খুব অল্প। হরতাল থাকায় আদালত খোলা থাকলেও উপজেলার বাইরে থেকে বিচার প্রার্থীরা খুব কম সংখ্যক উপস্থিত ছিলো। দুরপাল্লার কোন যানবাহন জেলা সদর থেকে ছেড়ে যাইনি। তবে আওয়ামীলীগ হরতালের বিপক্ষে মিছিল করাই সাধারন জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠতা দেখা গেছে। শহরের আব্দুল হামিদ রোডে এক পথচারীকে বলতে শোনা গেছে হরতাল ডেকে বিএনপি ঘরে বিশ্রাম করে, আর হরতালের বিপক্ষে মিছিল করে আওয়ামীলীগ জনগনের মধ্যে ভিতি সৃষ্টি করে।
পাবনা ভাঙ্গুড়ায় ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২ যুবকের করুণ মৃত্যু
মোবারক বিশ্বাস ঃ গত মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে শ্যামল মারতী (৩২) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকসহ আরো ১জন অজ্ঞাত যুবকের করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্যামল দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার হাতীমারা গ্রামের শ্রী জেটা মারতীর পুত্র। সে ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক (রাজমিস্ত্রী) হিসেবে কাজ করত বলে জানা গেছে। অপর অজ্ঞাত(২৮) যুবকের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসি জানায়, আজ বেলা পৌনে ৩ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের সময় ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের ভাঙ্গুরা উপজেলার কৈডাঙ্গা রেলব্রিজের খাঁচার ধাক্কা খেয়ে ২ যুবক ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যায়। নিহত দুই যুবকের মাথায় প্রচন্ড আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন। খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ জিআরপি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
দুই দিনের প্রচন্ড তাপ প্রবাহে অতিষ্ঠ জন জীবন এ বছর দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে
মোবারক বিশ্বাস ঃ প্রচন্ড তাপ প্রবাহে ঈশ্বরদীর জন জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত দুই দিন ধরে এ বছর ঈশ্বরদীতে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস । ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক ওয়াদুদ হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা বাড়ছে। গত রবিবার ঈশ্বরদীতে সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার ও গত সোমবার এই তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। যা ছিল এ বছরে সারা দেশের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচন্ড তাপদাহে ঈশ্বরদীতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সূর্যের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে গরম হাওয়া বইতে শুরু করে। বাতাসের তাপমাত্রা এতো গরম যে, মনে হয় শরীরে আগুনের ছোঁয়া লাগছে। প্রচন্ড তাপদাহের কারণে মানুষ দুপুরে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। দুপুরে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেক কম দেখা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে প্রচন্ড গরমের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির হার ও কমেছে বলে শিক্ষকরা জানান। ঢাকা আবহাওয়া অফিসে কর্মরত আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ ফারহাদীবা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপদাহ বা তাপ প্রবাহ চলছে। এছাড়া বাতাসে আদ্রতা রয়েছে দুপুরে ৫০ থেকে ৫৫ ভাগ। এর ফলে তাপমাত্রা বেশি অনুভুত হচ্ছে। তিনি জানান, সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, দুপুরে সূর্যের আলো খারা ভাবে থাকায় এবং আকাশ পরিষ্কার থাকায় ঈশ্বরদীসহ উত্তরাঞ্চলে গরম বেড়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলতে পারে। এ অবস্থায় তাপমাত্রা স্থিতিশীল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, বাতাসে আদ্রতা কমে যাওয়ার কারণেও গরম বেশি অনুভুত হচ্ছে।
Discussion about this post