মোবারক বিশ্বাস ঃ গত সোমবার বিকালে র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা শহরের একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পাবনা র্যাব ক্যাম্প জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে শহরের আব্দুল হামিদ অবস্থিত হাজী আকবর আলী সুপার মার্কেটে আনোয়ার ফার্মেসী ঔষধের দোকানে ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রয় করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার কে এম তানভীর আনোয়ার এর নির্দেশে এবং ডিএডি মোঃ তৌহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বিকাল ৪টার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেখান থেকে সদর উপজেলার কুমিল্লা গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রামানিক (৩০), কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার শিলাইদহ গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে মোঃ সামছুল আলম (৪২)। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এবং তারা ঔষধের দোকানে একটি কাগজের কার্টুনে ২২০০ পিস ভারতীয় আমদানী নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক সেনেগ্রা-১০০ ট্যাবলেট বের করে দেয়। উদ্ধারকৃত ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য দুই লাখ বিশ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ধৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত ট্যাবলেট সহ পাবনা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
কতিপয় ডাক্তারের হাতে জিম্মি সাধারণ রোগী পাবনা চাটমোহরে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে চলছে রমরমা বানিজ্য ॥ নেই ডিগ্রীধারী প্যাথলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা চাটমোহরে কতিপয় ডাক্তারের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ও রোগীরা। একই সাথে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্েরর দু’চারজন চিকিৎসক রোগীদের বিনা প্রয়োজনে হাজার হাজার টাকার পরীক্ষা নিরীক্ষা করাচ্ছেন। অনেকে টাকার অভাবে তাৎক্ষনিক ডাক্তার পরিবর্তন করে। চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। দ’একজন ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষার অজুহাতে এক্্র-রে ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো থেকে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নিচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের বসেই রোগীদের নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ডাক্তাররা হাসপাতাল সংলগ্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে পাঠাচ্ছেন। অথচ হাসপাতালেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে থাকে। হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে ডাক্তার কমিশন থাকে না। ফলে রোগীদের বাধ্যতামূলক বাইরে পাঠানো হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীদের কাছ থেকে ডায়াগনষ্টিকস সেন্টারগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। প্রতিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই ৩/৪ গুন বেশী টাকা গ্রহণ করা হয়। ডাক্তাররা ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমিশন পেয়ে থাকেন। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্েরর আশ পাশে যে সকল এক্্র-রে ও ডায়াগনষ্টিকস সেন্টার রয়েছে সেগুলোর কোনটিতেই ডিপে¬ামা, প্যাথলজিস্ট নেই। নেই এক্্র-রে টেকনিশিয়ান। এক্্র-রে লাইসেন্সও নেই। হাতুড়ে প্যাথলজিস্ট দ্বারা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্েরর ডাক্তার বায়েজিদ-উল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। চাটমোহরের স্থায়ী বাসিন্দা হবার সুবাদে তার প্রভাব ও দাপটের কাছে সকলেই অসহায়। তিনি প্রকাশ্যেই হাসপাতালের চেম্বারে বসে অফিস চলাকালীন সময়ে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য বাইরের ডায়াগনষ্টিকস সেন্টারে পাঠান। হাসপাতাল গেটের পাশেই খন্দকার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাথে তার রয়েছে অলিখিত চুক্তি। রোগীদের বিনা কারণে বাধ্যতামূলক ভাবে প্যাথলজি সেন্টারে পাঠান। এ ব্যাপারে সম্প্রতি ডিজি (হেলথ) বরাবর ভুক্তভোগী একজন রোগী অভিযোগ করায় ডাঃ বায়েজিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্ের ডাক্তারদের চরম স্বেচ্ছাচারিতা চলছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ডাঃ বায়েজিদের স্বেচ্ছাচারিতায় রোগীরা চরম দূভোগে পড়ছে। চাটমোহর হাসপাতাল গেট সংলগ্ন খন্দকার ডায়াগনষ্টিক, পদ্মা ডায়াগনষ্টিক, পলাশ ডায়াগনষ্টিকসহ অন্যান্য ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডিগ্রীধারী কোন প্যাথলজি না থাকলেও স্থানীয় ডাক্তাররা প্রতিদিন ইচ্ছেমতো রোগী পাঠান এ সকল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। বিনিময়ে হাজার হাজার টাকা পকেটে আসে। চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্্েরর অধিকাংশ ডাক্তারাই স্থানীয় বাসিন্দা। এরা প্রাইভেট প্রাকটিস নিয়ে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন। ডায়াগনষ্টিকস সেন্টার মালিকরা প্রতিমাসে পাবনা সিভিল সার্জনকে মাসোহারা প্রদান করেন বলে অভিযোগ। ফলে এদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয় না। রোগ নির্ণয়ের নামে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো রমরমা বাণিজ্য করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এ সকল ডায়াগনষ্টিকস সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগীরা।
চাটমোহরে এসএসসি পরীক্ষায় ৫১জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে
মোবারক বিশ্বাস ঃ সোমবার প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় পাবনার চাটমোহরে ৫১জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে চাটমোহর আরসিএন এন্ড বিএসএন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪জন, সেন্ট রীটাস হাইস্কুল থেকে ১২জন, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০জন, বোয়াইলমারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৯জন, হান্ডিয়াল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪জন, ছাইকোলা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও সমাজ আশরাফ জিন্দানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩জন করে, মহেলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২জন এবং পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, শরৎগঞ্জ উচ্চ বিদ্যলয়, বাঙ্গালা উচ্চ বিদ্যালয় ও কাটেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে মথুরাপুর সেন্ট রীটাস্ হাইস্কুল থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। এই স্কুল থেকে ১৩০জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ১২জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও কেন্দ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে পাবনায় যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশে পুলিশের বাধা
মোবারক বিশ্বাস ঃ ইলিয়াস আলীর সন্ধান ও কেন্দ্রিয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার পাবনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পাবনা জেলা যুবদল।
সকালে বিএনপি কার্যালয় থেকে জেলা যুবদল সভাপতি শেখ তুহিন ও সাধারন সম্পাদক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জুর নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যাওয়ার সময় পাবনা টাউন হলের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে দলীয় পাবনা টাউন হলের মধ্যে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবদল সভাপতি শেখ তুহিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক, জেলা যুবদল সাধারন সম্পাদক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, আব্দুর রাজ্জাক আসলাম, তপন সাহা, মোবারক হোসেন বাবু, মতিউর রহমান হীরা, আব্দুল মান্নান চুক্কু, আরিফুর রহমান ডিটো, কামাল হোসেন প্রমুখ।
পাবনায় বৃদ্ধদের বিনোদনের জন্য ব্যতিক্রমি প্রবীণ কল্যাণ ক্লাব উদ্বোধন
মোবারক বিশ্বাস ঃ পরিবার থেকে অবহেলিত বৃদ্ধদের বিনোদনের জন্য পাবনায় ব্যতিক্রমি প্রবীণ কল্যাণ ক্লাব গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি পুরাতন টেলিগ্রাফ ভবনে পাবনার জেলা জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে এই ক্লাবের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে গিভেন্সি গ্র“পের চেয়ারম্যান এবং গাজীপুরের বয়স্ক পূর্ণবাসন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা খতিব আব্দুল জাহিদ মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা চেম্বারর সভাপতি আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক রেজাউল হোসেন বাদশা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারোফ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর (অব.) কে এস মাহমুদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, এই প্রবীণ ক্লাবে প্রতিদিন বয়স্করা পত্রিকা পড়া, খেলাধুলা থেকে শুরু করে চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারবে।
পাবনার ঈশ্বরদী বিদ্যুপৃষ্ট হয়ে ১ শ্রমিকের মৃত্যু : আহত-১
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করার সময় স্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল খালেক (৪০) নামের এক বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে রেজাউল করিম (৩৭) নামের অপর একজন শ্রমিক। মঙ্গলবার ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়া মোল¬াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালেক উপজেলার মীরকামারি গ্রামে বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ১১ হাজার ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করছিলেন শ্রমিক আব্দুল খালেক ও রেজাউল করিম (৩৭)। একপর্যায়ে ওই লাইনের বৈদ্যুতিক তার পাশের গাছে জড়িয়ে যায়। ওই দুই শ্রমিক গাছ থেকে তার ছাড়ানোর চেষ্টাকালে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই আব্দুল খালেকের মৃত্যু হয়। রেজাউলকে মুর্মূর্ষু অবস্থায় ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনায় বিএডিসি‘র উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে গোপন টেন্ডার ঘুষ বাণিজ্য ও সরকারী সম্পদ লুটপাটের বিস্তর অভিযোগ
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার টেবুনিয়া বিএডিসি (বীজ) খামারের উপ-পরিচালক মোঃ জামিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গোপনে টেন্ডার প্রদান, ঘুষ বাণিজ্য ও সরকারী সম্পদ লুটপাটের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশি¬ষ্ট সুত্র জানায়, টেবুনিয়া বিএডিসি খামারের উপ-পরিচালক মোঃ জামিলুর রহমান যোগদানের পর থেকেই শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিক সরদার রদবদল, স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির সংগে সক্ষতা তৈরী ও খামারের ভিতরের মূল রাস্তা পাকা ও সীমানা প্রাচীরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য ঠিকাদারের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ, বিভিন্ন সময়ে অবীজ শস্য হিসেবে ঘোষনা দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে বীজ শস্য ধান, গম, আলু, ভুট্টা, সূর্যমুখি ও মিষ্টি কুমড়া বিক্রয়ের অভিযোগ স্থানীয় মানুষের কাছে প্রমাণিত। এ ছাড়াও বিএডিসি খামারের লক্ষ্য টাকা মূল্যের মেহগনী, শিশু, বাবলা ও অন্যান্য গাছ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে ফার্মে বড়দীঘিতে অবৈধভাবে মাছ মারা হচ্ছে। খামারের ছোট বড় দিঘী ও পুকুর ১০ টি প্রভাবশালী ব্যক্তিকে গোপন লিজ/চুক্তি দিয়ে অবৈধভাবে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে এবং রাতের আঁধারে খামারের নিজস্ব আবাদকৃত বড় দীঘি ও সোনার দিঘি নামক দিঘীর মাছ বিনা টেন্ডারে বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে এবং ফলিয়ার বিল নামক বিল স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তিকে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে লীজ দিয়ে থাকে যা বিএডিসির কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অথচ এই সকল পুকুর ও বিল উন্মুক্তভাবে টেন্ডার আহবান করলে বর্তমান মূল্যের চেয়ে অন্ততঃ চার থেকে পাঁচ গুন মূল্য/ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে পুকুর বা বিল লীজ নেওয়ার অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন। এ ছাড়াও অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে খামারের সার, বিষ, অন্যান্য কীটনাশক ও গাড়ীর তেল গোপনে বিক্রয় করে থাকে যা ইতিমধ্যেই মানুষের চোখের সামনে পড়েছে এবং এ নিয়ে ব্যাপক হই হুলে¬াড় হলে সুবিধাপ্রাপ্ত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে এই বিষয় ধামাচাপা দেন। তা ছাড়াও জৈব সার নামক গোবর সার সামান্য কিছু খড়ের বিনিময়ে নিয়েও অনেক টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে প্রতি মৌসুমে ধানের খড় একর প্রতি ৩ /৪ হাজার টাকা বিক্রয় করলেও কাউকেই টাকার রশিদ না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও মাঝে মধ্যেই শ্রমিক অসন্তোষ এর মতো ঘটনাও রয়েছে। চাহিদার তুলনায় অনেক কম শ্রমিক দিয়ে ১০-১২ ঘন্টা করে কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, হেড অফিস থেকে চাহিদা মোতাবেক প্রাপ্ত শ্রমিকের কম/ অর্ধেক শ্রমিক দ্বারা কাজ করানো হচ্ছে এ নিয়ে কেউ কোন কথা বললে সেই শ্রমিককে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়তায় কাজ থেকে বেড় করে দেওয়া হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। কথিত আছে পাবনার পুলিশ সুপার, ওসি ও র্যাব এর অফিসার নাকি উনার বন্ধু। এ ছাড়াও উনি একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও উনার বেতনের প্রায় দ্বিগুন টাকায় রাজধানী ঢাকা শহরে ভরাকৃত বাসায় নিজ ফ্যামিলিসহ অত্যন্ত রাজকীয় ভাবে দিন জাপন করছেন। খামারের ২ জন রাত্রের পাহাড়াদার নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছেন যে, উপ-পরিচালক মাঝে মধ্যেই খামারের রেষ্ট হাউজে মদ সেবন করে মেয়ে মানুষ নিয়ে মনোরঞ্জন করেন। এ ছাড়াও জানা গেছে সন্ধ্যায় পাবনা শহরের এক স্থানে বসে মদ সেবন করেন। এ ছাড়াও এই অল্প সময়ে ঢাকা শহরে কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে প্রকাশ, জামিলুর রহমান একজন ডিডি হয়েও প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ঢাকায চলে যান এবং মঙ্গলবার এসে অফিস করেন। খামারে একজন কর্মকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে জানা গেছে যে, জামিলুর রহমান এর বিরুদ্ধে অফিসের সকল স্টাফদের মাঝে চাপা খোভ বিরাজ করছে। সর্বশেষ গত ১২/০৪/২০১২ ইং তারিখে খামারের ৪৪-৪৫ টন ধান অবীজ খাদ্যশস্য হিসাবে ঘোষনা দিয়ে গোপনে কিছু পত্রিকায় উলে¬খ্য যে, এমন পত্রিকা পাবনা সদরে চলে না বলে¬ই চলে সেই সকল পত্রিকায বিজ্ঞপ্তি করে যথারিতী গোপন টেন্ডারের প্রক্রিয়া চালায়। কিন্তু অফিসের দু’একজন কর্মকর্তার বদৌলতে বিষয়টি ২-১ জন মানুষ জানলে অফিসে গিয়ে সিডিউল ক্রয় করতে চায় কিন্তু প্রথমে তাহাকে সিডিউল দিতে অস্বীকৃতি জানালে টেন্ডারের বিষয়টি মানুষের মধ্যে জানা জানি হয়ে যায় এর এক পর্যায়ে ৪০ টি সিডিউল বিক্রয় হয়। শেষে ডিডি সাহেব উনার সিন্ডিকেটের লোক দ্বারা দের লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিকোসিয়েট করান এবং ধানের বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্য দিয়ে কাজ পাইয়ে দেবার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। প্রশ্ন থাকে যে, ৪০ টি সিডিউল বিক্রয় হলেও মাত্র ৪ টি সিডিউল ড্রপ করেছেন। এমতাবস্থায় যে কান সময় বড় ধরনের শ্রমিক ও জনবিস্ফোরন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসির মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে যে, সরকারের এই আর্থিক মন্দার মুহুর্তে সরকারী টাকা ও সম্পদ লুটপাটের হাত থেকে বাঁচানোর তাগিদে ও ধুরন্দর অফিসারের বিরুদ্ধে গোপনীয় ভাবে উলে¬খিত অভিযোগ গুলো তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং জনাব জামিলুর রহমানকে টেবুনিয়া বিএডিসি খামার থেকে অপসারণের জন্য দাবী জানিয়ে বিষয়টি সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় মানুষজন ও খামারের কিছু শ্রমিক। এ ব্যাপারে পাবনার বিএডিসি (বীজ) খামারের উপ-পরিচালক মোঃ জামিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু লোক সুবিধা না পেয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।
নয় মাস উপস্থিত না থেকেও বেতন উত্তোলন : পাবনার আটঘরিয়ার কদমডাঙ্গা মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার আটঘরিয়ার কদমডাঙ্গা এএন দাখিল মাদরাসার সুপারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত নয় মাস যাবত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকে সরকারী বেতন ভাতা ভোগ করাসহ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মাদরাসার শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকার অভিজ্ঞ মহলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। অভিযোগে জানা গেছে, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কদমডাঙ্গা এ, এন দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল মালেক ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আতাত করে প্রায় এক বৎসর আগে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ১০/১২ লক্ষ টাকা গোপনে হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়াও ওই মাদরাসার বিভিন্ন অর্থ আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকার অভিজ্ঞ সচেতন মহল জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ড শুরু হয়। সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে গত নয় মাস যাবৎ প্রতিষ্ঠানে না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছে ওই সুপার। গত মঙ্গলবার মাদ্রাসা সুপার আব্দুল মালেককে মাদরাসায় গিয়ে পাওয়া না গেলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাকে ছাত্র-ছাত্রী’র অভিভাবক এলাকার মানুষ মারধর করলে তাদের বিরুদ্ধে কোটে মামলা করেছি। তিন শিক্ষক নিয়োগ করে অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগটি কেটে দেন। এ ব্যাপারে মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী পলি খাতুন জানায়, গত এক বছর যাবৎ বিদ্যালয়ের সুপারের কারণে আমাদের নিয়মিত ক্লাস হয় না। আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটচ্ছি।
ছাত্র অভিভাবক আবদুল্লাহ জানায়, সুপার আব্দুল মালেক প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই ব্যাপক দূর্নীতি করে আসছে। আমরা আমাদের সন্তানদের পড়ালেখা নিয়ে ব্যাপক সঙ্কায় আছি। উক্ত দূর্নীতিবাজ সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন ও অপসারনের দাবি জানাই। মাদরাসা’র ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষক দূর্ণীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে আমিসহ মোট ৫ জন সদস্য পদত্যাগ করেছি। আমরা ওই দূর্ণীতিবাজ সুপারের শাস্তি দাবী করি।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কন্দর্পনারায়ন রায় বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক দোষী সাবস্থ হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
পাবিপ্রবি’তে বিশ্বকবি’র ১৫১-তম জম্মবার্ষিকী উদযাপন
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ক্লাবের উদ্যোগে মঙ্গলবার ব্যাপক উৎসব মুখর পরিবেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫১তম জম্ম-বার্ষিকী উদযাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী ভবনে সাংস্কৃতিক ক্লাবের আহবায়ক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক তানভীর হায়দার।
জম্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মোজাফফর হোসেন। আরো বক্তব্য দেন ড. আব্দুল আলীম। শেষে কবির গান, নাটক ও কবিতা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শিল্পী সমাজী আর নেই
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম এমপি মরহুম মোজাম্মেল হক সমাজীর সন্তান বিশিষ্ট সমাজ সেবক, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি চাটমোহরের সভাপতি, চাটমোহর থানা জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক হাসনায়েন মোমিন হক শিল্পী সমাজী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…….. রাজিউন)। গতকাল সোমবার ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী, এক কন্য, ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাংখী রেখে গেছেন। আজ চাটমোহরে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। শিল্পী সমাজীর মৃত্যুতে পাবনা-৩ আসনের এমপি মোঃ মকবুল হোসেন, চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম সামসুদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, পৌর মেয়র হাসাদুল ইসলাম হীরা, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আঃ মান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন সাখো, সহ সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ মালেক, যুগ্ম সম্পাদক মীর্জা রেজাউল করিম দুলাল, পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক গাজী এসএম মোজাহারুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি এ এম জাকারিয়া, সাধারন সম্পাদক আরজ খাঁন, জাপা (এ) সভাপতি এ্যাড. আঃ ছাত্তার, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল, সহ সভাপতি এমএস বাবলু, সম্পাদক রকিবুর রহমান টুকুন, সাংবাদিক টিপু সুলতান কাঞ্চন, সঞ্জিত সাহা কিংশুক, সালাহ উদ্দিন খাঁন সোহেল, শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মোঃ ইশারত আলী, মোঃ আকতার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, ডাঃ অঞ্জন ভট্টাচার্য্য, এসএম মিজানুর রহমান, গণছায়ার এসএম পাশা, সাপ্তাহিক সবুজ আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল আজিজ আরজু, বিপ্লব আচার্য্য, জাসদের এমএ বারী, সুজাউদ্দিন বিশ্বাস, আওয়ামীলীগের মোঃ নাজিম উদ্দিন, ইছাহক আলী মানিক, ছাত্রলীগের সাইদুল ইসলাম পলাশ, যুবলীগের সাজেদুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ শরীফ মাহমুদ সঞ্জু, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
Discussion about this post