মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনা ঈশ্বরদীর একটি প্রকল্পের একাউন্ট থেকে জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের সময় ব্যাংক কর্মকর্তাদের হাতে আটক হয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এক কর্মচারী। গতকাল বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী সোনালী ব্যাংক শাখায় এই ঘটনা ঘটে। ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার সাইদুর রহমান ওরফে কহিনুর (৪২) গত মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদীর সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী মোজাহার আলীর স্বাক্ষর জাল করে ৩৪ হাজার টাকার একটি চেক সোনালী ব্যাংকে দাখিল করে। ব্যাকের একাউন্টে ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় পরবর্তীতে ৩২ হাজার টাকার চেক প্রদানের জন্য সাইদুর রহমান ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাপ দেন। ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল জলিল জানান, তাদের কাছে বিষয়টি সন্দেহের সৃষ্টি হলে তিনি তাকে পরে আসতে বলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সাইদুর রহমান ওই চেক নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে জানান, বর্তমানে ওই একাউন্টে কোন লেনদেন হয়না। এঘটনায় উত্তেজিত হয়ে সাইদুর রহমান ব্যাংক কর্মচারীদের উপর চড়াও হয়। ব্যাংক কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ব্যাংকের চেকে সাইদুর রহমান ঈশ্বরদী উপজেলার সাবেক প্রকৌশলী মোজাহার আলীর স্বাক্ষর জাল করেছেন। পরে উপজেলা প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, সাইদুর রহমানকে উপজেলা প্রকৌশলী থেকে কোন চেক প্রদান করা হয়নি। বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে ঈশ্বরদী থানায় পাঠানো হয়। উপজেলা প্রকৌশলী রুমেল হায়দার জানান, আইএফএফডি নামে একটি প্রকল্পের একাউন্ট থেকে সাইদুর রহমান ওই টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছিল। তাকে গ্রেফতারের পর চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
পাবনা সাঁথিয়ায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে শিশুর করুন মৃত্যু
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনার সাঁথিয়ায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সাদিয়া আফরোজ (৭) নামের এক শিশুর করুন মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের ও বোয়াইলমারী কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক জয়নুল আবেদীন দুলালের মেয়ে এবং বেড়া আলহেরা স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। জানা যায়,গত ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদিয়া প্রতিবেশি আঃ খালেকের বাড়িতে বিদ্যুতের তারের সাথে বাঁশে আগুন ধরলে সাদিয়া কৌতুহল বশতঃ দেখতে যায়। বিদ্যুতের তার ছিড়ে ঝুলে থাকলে অন্ধকারে সাদিয়া তা দেখতে না পেয়ে তারের সাথে জড়িয়ে পড়লে ঘটনা স্থলেই সে মারা যায়। উল্লেখ্য,সাদিয়া কুষ্টিয়া ইউনিভারসিটির ইসলামীক ষ্টাডিজ এবং আল হাদিস বিভাগের প্রফেসর ডঃ জাকির হোসাইনের ভাতিজি।
পি এইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদেরদের স্মারকলিপি প্রদান
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ বেসরকারি কলেজ-মাদ্রাসার পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের সরাসরি এবং এম ফিল ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের ২ বছরের অভিজ্ঞতার শর্তে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বিধি করার দাবিতে গতকাল বুধবার পাবনায় “ডক্টরস এসোসিয়েশন অব নন-গভর্ণমেন্ট টিচার্স(ড্যাঙ্গট) জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধীদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। স্মারকলিপিতে আরও দাবি করা হয় সরকারি কলেজ সমূহে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের জন্য ১০% কোটায় অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি কলেজের মত বেসরকারি কলেজ-মাদ্রাসাতেও এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের পদ সৃষ্টির দাবি করেছেন তারা। দাবি সমূহের মধ্যে আরও রয়েছে উল্লেখিত ডিগ্রিধারীদের কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য করার। এছাড়াও তারা ওই স্মারকলিপিতে কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি পেশ করেন। পাবনা জেলা প্রশাসক মো: মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট ড্যাঙ্গট এর পাবনা জেলা কমিটির পক্ষে স্মারকলিপি প্রদান করেন ড. শাহনাজ পারভীন, মো: মনসুর আলম, মো:মারুফ বিল্লাহ, শহিদুল ইসলাম, মো:মিজানুর রহমান, শামসুর রহমান প্রমুখ।
পাবনা আটঘরিয়া ইছামতি নদী দখল করে চলছে বাড়ি ঘর বানানোর প্রতিযোগিতা ঃ প্রশাসন নীরব !
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ এক সময়ের প্রমত্তা ইছামতি নদী এখন প্রায় মৃত। দখলদাররা পাবনার আটঘরিয়ার লক্ষীপুরে ইউনিয়নের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী জোরপুর্বক দখল করে বাড়ি ঘর বানাচ্ছে। প্রশাসন অদৃশ্য কারনে নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে এলাকাবাসির অভিযোগ। গতকাল বুধবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, জেলার আটঘরিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা লক্ষীপুর ইউনিয়নে কিছু সংখ্যক ব্যক্তি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইছামতি নদী ভরাট করে বাড়ি ঘর বানাচ্ছে। লক্ষীপুর গ্রামের মোহা সরদারের ছেলে আব্দুল মালেক গ্রামের মধ্যপাড়া বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী আমজাদ সাহেব এর বাড়ির সামনে প্রায় ১০/১২ কাঠা নদী মাটি ফেলে ভরাট করে বাড়ি বানাচ্ছে। লক্ষীপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বর রুবিয়া খাতুন জানান, তিনি প্রথম দিনই মালেকের অবৈধভাবে নদী ভরাট করতে দেখে ইউপি সদস্য হিসেবে বাঁধা দেন। কিন্তু তিনি তার কথা না মেনে স্থানীয় কিছু মাতুব্বরের পরামর্শে ভরাট চালিয়ে যাচ্ছেন। নদী ভরাট নিয়ে কথা বলতেই লক্ষীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন, আব্দুস সামাদ, সিদ্দিক হোসেন, আব্দুল আলিম, তোফাজ্জল সরদার, ওসমান গনি, হাবিবর শেখ, আবুল কাশেম জানান, সামনেই আতাইকুলা বাজার বেষ্টিত এই ইছামতিতেই পানি থৈ থৈ করছে। অথচ দখলদারদের মাটি ভরাট বানিজ্যের কারণে এ এলাকার ইছামতি নদী প্রায় মৃত। ব্যঙ্গ করে বলেন, শুধু দাফন বাঁকি আছে। লক্ষীপুর গ্রামের এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঐ গ্রামেরই মোসলেম সরদার নামের এক মাতুব্বরের যোগ সাজোশে মালেক গং-রা নদী ভরাটে মেতে উঠেছেন। চোখের সামনে অবৈধ ভরাট বানিজ্য দেখলেও কেউ ঐ মাতুব্বরের ভয়ে মুখ খুলছে না। কেউ দখলবাজ মালেককে নদী ভরাট থেকে বিরত থাকতে বললে সে বলে তোদের কথায় নয়, যদি মোসলেম সরদার বলে তবেই মালেকের মাটি ফেলার কাজ বন্ধ হবে। গ্রামবাসিদের দাবী মাত্র কয়েকশ’ গজ দূরেই রয়েছে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প। প্রশাসনের সামনেই এসব ব্যক্তিরা সরকারী জায়গা দখল করছে অথচ প্রশাসনের নীরবতা এখন এলাকাবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারা আরো জানান, মালেকের মত অনেকেই এখন স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়িঘর বানাচ্ছে। লক্ষীপুর গ্রামের অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন অতিসত্বর এসব দখলবাজদের প্রতিহত না করলে এ সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষীপুর থেকে শিবপুর হয়ে একদন্ত বাজার পর্যন্ত অনেক স্থানেই ইছামতি নদীর মাঝে পানির বদলে দেখা যাবে শুধু ঘর বাড়ি। দখলবাজ আব্দুল মালেকের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের ভয়েই কথা বলতে রাজি না হয়ে আত্ম গোপন করেন। এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল হাসান সরকারকে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে মতমত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এলাকাবাসির প্রাণের দাবি স্থানীয় আটঘরিয়া উপজেলা প্রশাসন, আতাইকুলা পুলিশ প্রশাসন অতিসত্বর এসব দখলবাজদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে ইছামতি নদী পুনরুদ্ধার করবে।
পাবনায় মশার কয়েলের আগুনে ২টি গরু পুড়ে মারা গেছে
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনা সদর উপজেলায় মশার কয়েলের আগুনে একটি ঘর ও ২ টি গরু পুড়ে মারা গেছে। জানা গেছে, গতকাল সকাল ৬টারদিকে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের মনিবপুর গ্রামের মৃত সেকেন প্রামানিকের ছেলে লোকমান প্রামানিকের বাড়ীতে এই অগ্নিকান্ড ঘটে। রোকমান প্রামানিক তার গোয়াল ঘরে রাত্রে মশার কয়েল জালিয়ে গরুর পাশে রাখে। শেষ রাতের কোন এক সময়ে মশার কয়ের থেকে গোয়াল ঘরে আগুণ লাগে।আগুনের তাপ টের পেয়ে বাড়ীর লোকজন চেচামেচি শুরু করলে এলাকার লোকজন এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি গরুর মধ্যে ২টি গরু পুরে মারা যায় এবং গোয়াল ঘরটি পুরে ছাই হয়ে যায়। বাড়ীর লোকজন জানান,এ অগ্নিকান্ডে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পাবনায় বিএনপি নেতার-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সুজানগর উপজেলা বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ পাবনা সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ শেখের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে সুজানগর উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নাজিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থান ঘুরে বাজারে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজম আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্যদেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজারী জাকির হোসেন চুন্নু, সহ সভাপতি আব্দুল হালিম সাজ্জাদ, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান জালাল, দপ্তর সম্পাদক গোলাম মোর্তজা, যুব বিয়ষক সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোল্লাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এটি একটি রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলা উল্লেখ করে এ ধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সেই সাথে অবিলম্বে সুজানগর উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সুজানগর উপজেলা বিএনপি কঠোর কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য যে, ৩০/০৮/২০০৩ইং সালে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের চোকদারপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মেম্বরের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে গত ০২/০৪/১২ইং তারিখে পাবনা সদর থানায় আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে আব্দুর রউফ সেখ, মওলানা আব্দুস সোবাহান, চরতারাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বর্তমান চেয়ারম্যান রহমত আলী সেখ, সুজানগর উপজেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ সর্বমোট ৩১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৬, তাং-০২/০৪/২০১২ইং।
পাবনা ভাঙ্গুড়ায় পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ধান চাষে সাফল্য পাচ্ছে কৃষক
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ কীটনাশক ব্যবহার করলে ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকার সাথে সাথে উপকারী পোকাও মারা যায় । এতে জমির উপকারের চেয়ে ক্ষতির দিকটাই বেশি। তাই কীটনাশক ছাড়া শুধুমাত্র পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার হাত থেকে ধান ক্ষেতকে রক্ষা করা যায় । পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গত কয়েক বছর কিছু জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করে পারচিং পদ্ধতিতে ধানের আবাদে সাফল্য পাওয়ার পর এ বছর এলাকার কৃষকরো এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বলে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়। তারা জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করে পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেছেন। এ পদ্ধতি ব্যবহারে যেমন জমির ক্ষতি হয় না তেমনি অতিরিক্ত খরচ থেকেও বাঁচা যায় । তাই দিন দিন এ উপজেলায় পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার এলাকার কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির কুমার সরকার জানান, পারচিং পদ্ধতি হলো ধানের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করে বাঁশের কঞ্চি বা গাছের ডালপালা জমিতে পুঁতে পাখি বসানোর ব্যবস্থা করা । যাতে পাখি বসে ধান গাছের উপর থাকা ক্ষতিকারক মাজরা পোকার মথ দেখে পাখি তা খেয়ে ফেলে;এতে ক্ষেতের মধ্যে মাজরা পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। ফলে ফসলের ক্ষেতটি ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পায় এবং উপকারী পোকা সহজেই বংশ বিস্তার করতে পারে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে । আর আবাদকৃত জমির শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে পারচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা মারা হচ্ছে । এতে করে জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৪শ’টাকা খরচ কম হচ্ছে । উপজেলার জালেশ্বর ব্লকের কৃষক তোরাপ আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, তিনি জমিতে কীটনাশক ব্যবহার না করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে পারচিং পদ্ধতিতে ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করছেন এতে সফলতা পাচ্ছেন। নৌবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক হাজী আঃ খালেক তিনিও কীটনাশক ছাড়াই এ পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবেশ চক্রবর্ত্তী জানান, উপজেলায় কীটনাশক ব্যবহার না করে পারচিং পদ্ধতিতে ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে এতে কৃষক সাফল্য পেতে শুরু করেছে ।
নিরবেই কেটে গেল পাবনা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা শেখ শহিদুল্লাহ বাচ্চুর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী
মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যুরোঃ নিরবেই কেটে গেল এক সময়ের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, পর পর দুই বার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত পৌরসভা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল¬াহ বাচ্চুর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে ছিল না কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি। পরিবারের পক্ষ থেকে সকালে কবর জেয়ারত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৪ এপ্রিল পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া কৃষি খামারের নিজ গাড়ীর মধ্যে আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। দীর্ঘ ১৫ বছরেও এই হত্যা মামলার বিচার হয়নি।
Discussion about this post