মোবারক বিশ্বাস ঃ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী ‘নিখোজ’ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রবিবার সারা দেশের ন্যায় ঈশ্বরদীতেও বিএনপির ডাকে সকাল-সন্ধা হরতাল স্বতঃস্পূর্ত ভাবে পালন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে ঈশ্বরদীতে সব চেয়ে কঠিন ও স্বতঃস্পূর্ত হরতাল পালন হয়েছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এদিকে হরতালের সমর্থনে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট মিছিল করে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। অপর দিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও হরতালের বিপক্ষে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সমাবেশ করে কঠোর অবস্থান নেয়। তবে সবচেয়ে সতর্কাবস্থায় ছিলো পুলিশ। ঈশ্বরদী শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ পাহাড়া দেখা যায়। জানা গেছে, হরতালের সমর্থনে দাশুড়িয়া গোলচত্বরে টায়ার জ্বালিয়ে বিএনপি সমর্থকরা হরতাল পালন করে। অপর দিকে ঈশ্বরদী রেলগেট ও গালর্স স্কুল মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিএনপির কর্মীরা গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিয়ে হরতাল পালন করে। সকাল সাড়ে ১১ টার সময় ছাত্রদলের উদ্যেগে শহরে একটি মিছিল বের করা হলে মূহুর্তের মধ্যে বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। এর কিছু সময় পরে পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এস এম ফলুর রহমান, সহ-সভাপতি সুমার খাঁন, স্বেচ্ছা সেবকদল নেতা মাহামুদ হাসান জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন নেতা রিক্সাষ্ট্যান্ডের সামনে হরতালের সমর্থনে অবস্থান নিলে ছাত্র ও যুবলীগের নেতারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে উক্ত নেতাদের মারপিট করে আহত করে। এ সময় তারা স্বেচ্ছা সেবকদল নেতা মাহামুদ হাসান জুয়েল এর দোকান ভাংচুর করে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে ঈশ্বরদী উপজেলা ব্যাপী আতংকের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। এদিকে ঈশ্বরদীতে হরতাল শতভাগ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আকবর হোসেন জানান, ঈশ্বরদীতে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন হয়েছে। তবে কিছু বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতি এখন শান্ত।
পাবনা ভাঙ্গুড়ায় বখাটে কর্তৃক স্কুল শিক্ষিকার উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনরা ভাঙ্গুড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় বখাটে কর্তৃক স্কুল শিক্ষিকা মাহমুদা পারভীন রানীর উপর হামলা চালিয়ে তাকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকার ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক,অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসি। শনিবার সকালে ঘন্টাব্যাপি মানবন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।অধ্যক্ষ শফিউর রহমান কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে মানবন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিবি স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান,ইউপি সদস্য আরজু খান,জাহিদুর রহমান বকুল,জিয়াউর রহমান জিয়া,ছাত্রী শারমীন আক্তার,কনক চাপা প্রমুখ ।তারা ন্যাক্কার জনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বখাটে যুবক সজিবুর রহমান সজিবকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত,গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার বেতুয়ানে অবস্থিত অধ্যক্ষ শফিউর রহমান কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা মাহমুদা পারভীন রানী স্কুলে যাবার পথে রোয়াবিল কার্লভাটের কাছে পৌঁছালে ওই বখাটে তার পথরোধ করে তাকে রাস্তা থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে লোহার রড় দিয়ে এলোপাথারি পেটাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে এলে ওই বখাটে যুবক পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। ভাঙ্গুড়া থানার এসআই আব্দুল মান্নান এ প্রতিনিধিকে জানান,ওই বখাটে গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে ।
পাবনা চাটমোহরে দু’গ্র“পের সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত ১৫
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চরসেগ্রামে একটি পুকুর ইজারাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু’গ্র“গের সংঘর্ষে মহিলাসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। গুরুত্বর আহত ৭ জনকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানান গেছে, চরসেনগ্রামে মোজাম কাছের গং একই গ্রামের তালেব, ইব্রাহীম গং একটি পুকুর ৩ বছরের জন্য ইজারা নেয়। চৈত্র ১৪১৮ মাসে এই ইজারা মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু মোজাম বাছের গং চুক্তিনামা টেম্পারিং রে আষাঢ় ১৪১৮ বাং করে। তারা মাস বৃদ্ধি করলেও সন বৃদ্ধি না করে ধরা পড়ে যায়। তালেব, ইব্রাহীম পুকুর নিজেদের আয়ত্ব নেয়। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে বিলচলন ইউপি মোঃ আবুল কালঅম আজাদ সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু মোজাম গং সালিশে হাজির হয়নি। এদিন উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মহিলাসহ ১৫ জন আহত হয়। গুরুত্বর আহত আবু তালেবের স্ত্রী ছাবিনা খাতুন (৩৫), তাইজুল ইসলঅম (২৮), নজরুল ইসলাম (২৩), আবুল কালাম (৩০), আঃ মালেক (৪৫), আঃ বারেক (৩০) ও আবু তালেব (৩৯) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
পাবনা সাঁথিয়ায় বিএনপি নেতাসহ ৩ জন গ্রেফতার
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার সাঁথিয়ায় থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা ও জামায়াত সমর্থকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো সাঁথিয়া পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও হেঙ্গুয়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে শামসুজ্জামান নান্নু (৩৫), বিএনপি সমর্থক শালঘর গ্রামের আলহাজ্ব জুরান ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন (৫০) ও জামায়াত সমর্থক সাতবিলা গ্রামের মৃত আজিজুল শেখের ছেলে দুলাল হোসেন (২৮)। জানা যায়, বিএনপি’র ডাকা হরতালকে সামনে রেখে অরাজকতা ও নাশকতা মুলক কর্মকান্ড ঘটানোর আশংকায় গত শনিবার মধ্যরাতে সন্দেহ জনকভাবে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক সরকার জানান। গতকাল রবিবার গ্রেফতার কৃতদেরকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করেছে।
পাবনা সাঁথিয়ায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ আহত -৭
মোবারক বিশ্বাস ঃ গতকাল রবিবার পাবনার সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামে পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলাসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ওই গ্রামের বাছেদ মুন্সির ছেলে আঃ বাতেন (৪৭) ও আঃ মজিদ (৩০)কে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহত বিলকিস (৩৫),রাশিদা (৩০), রুবিয়া (৪০), আয়শা (৩০)কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের বাছেদ মুন্সির ছেলে আঃ সালাম তার স্থায়ী বন্দোবস্ত নেওয়া পুকুরে চাষ করা মাছ ধরতে গেলে একই গ্রামের রহিম গং এর জাকির, মোক্তার ,বকুল, রহম ও দিলবার দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দার তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পাবনা ভাঙ্গুড়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রাইভার উল্লাপাড়ায় বদলী হয়েও কাজে যোগদান করেনি
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রবিউল ইসলাম উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হয়েও এখনও কাজে যোগদান করেনি। জানা যায় ড্রাইভারের বাড়ি ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিকট সরদারপাড়া গ্রামে। তিনি বিগত ১০ বছর ধরে দাপটের সাথে প্রভাবপ্রতিপত্তি খাটিয়ে ভাঙ্গুড়ায় চাকরী করেছেন। এছাড়া তিনি ভাঙ্গুড়া কলকতি গ্রামের ব্র্যাক দুধ সমিতি সভাপতি হিসাবে সকাল ও সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে সমিতির দুধ দেওয়ার ব্যবসায়ে ব্যস্ত থাকেন। এলাকা বাসির অভিযোগ, কোন জরুরী রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা’র হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট আছে বলে ড্রাইভার রবিউল ইসলাম রোগীকে নিয়ে ভাঙ্গুড়ার বড়াল ক্লিনিক অথবা শরৎনগর বাজার হেল্থ কেয়ারে ভর্তি করে মোটা অংকের কমিশন ভোগ করেন। পরপর কয়েক জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড্রাইভার কে বদলীর চেষ্টা করেও সরকার দলীয় নেতাদের চাপে ব্যর্থ হয়েছেন। এবার উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ এপ্রিল বদলীর আদেশ পান ড্রাইভার রবিউল ইসলাম। ভাঙ্গুড়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডাঃ সাহাদত হোসেন রবিবার জানান, তাকে ১৯ এপ্রিল রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে তবে যোগদান করেছে কিনা জানেন না। ভাঙ্গুড়া ব্র্যাক চিলিং সেন্টারের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান কলকতির একটি সমিতির সাথে দুধ ব্যবসায় তিনি জড়িত এবং প্রায় সেন্টারে আসেন। মাঝে মাঝে তিনি সমিতির পক্ষ থেকে দুধের হিসাব নেন। তবে সভাপতি কিনা এ বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির এক সদস্য জানান, তিনি সমিতির সভাপতি হিসাবে ব্যবসার সাথে জড়িত। উল্লাপাড়ায় যোগদান না করে সরকারি দলের ছত্র ছায়ায় এবারও তিনি বদলী বাতিল করার জন্য ব্যস্ত রয়েছেন বলে হাসপাতালে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী জানান।
স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা পাবনা চাটমোহর রেলবাজারে চলছে যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ, অবৈধ লটারী আর জমজমাট জুয়া
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনার চাটমোহর রেলবাজারে যাত্রার নামে অশ্লীল নাচ, অবৈধ লটারী, জমজমাট আর অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতারা একযোগ হয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চাটমোহর রেলবাজার হাট চত্বরে মাসব্যাপী যাত্রার আয়োজন করেছে। হাটের ইজারাদার তৈয়ব আলী ও হাট কমিটি, ব্যবসায়ী আঃ সালাম সরকার, রেলবাজার বনিক সমিতির সভাপতি মহরম মল্লিক, আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সোবাহান, লিটন বিশ্বাস, রজব মেম্বারের নেতৃত্বে চলছে এই যাত্রাপালা। যাত্রার নামে রাতভর চলছে নর্তকীদের উলঙ্গ নাচ। একই সাথে চলছে অবৈধ লটারী। প্রতিদিন লটারীর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে সাধারন মানুষের কাছে থেকে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০/২৫ টি ভ্যান, রিক্সাযোগে লটারীর টিকেট বিক্রি করা হয় গ্রাম শহর পাড়া মহল্লায়। রাত ১০টায় প্রতিদিন লটারীর ড্র অনুষ্ঠিত হয়। লটারী কোম্পানী যাত্রা ও হাট কমিটিকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করা ছাড়াও প্রতিদিন পুলিশ সুপারের অফিস, ডিএসবি ওয়াচার চাটমোহর থানা পুলিশকে মোটা টাকা দিয়ে অবৈধ লটারী চালানো হচ্ছে। যাত্রার অশ্লীল নাচে বৃঁদ হয়ে যুব সমাজ ও উঠতি রয়সী তরুনরা জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কাজে। যাত্রা ও অবৈধ লটারীর পাশাপাশি বসানো হয় জুয়ার আসর। রজব আলী মেম্বারের নেতৃত্বে এই জুয়া চালানো হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। চাটমোহর রেলবাজার (অমৃতকুন্ডা) হাটটি এবার নিকো’র মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় তৈয়ব ও কুদ্দুস গং। তারা বিভিন্ন স্থানে মোটা টাকা দিয়ে এই অপকর্ম জায়েজ করেছে বলে জানা গেছে। চাটমোহর রেলস্টেশন এলাকাসহ অমৃতকুন্ডা, রতনপুর, শাহাপুর, মহেষপুর, বেজপাড়া, মাসগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামসহ যাত্রা, লটারী ও জুয়ার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বেড়েছে অসামাজিক কর্মকান্ড। যাত্রা ও অবৈধ লটারী নিয়ে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। এতে শস্তিপ্রিয় চাটমোহরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনথি ঘটতে পারে। চাটমোহরের সচেতন মহল, মূলগ্রাম ইউনিয়নের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা এই নগ্নযাত্রা, অবৈধ লটারী ও জুয়া বন্ধে পাবনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের চেয়াম্যান সর্বপরি মাননীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাবনা ঈশ্বরদীতে পুলিশের উপস্থিতিতে নির্মানাধীন মসজিদ ভাংচুর : সংঘর্ষে আহত ২১
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা ঈশ্বরদীতে পুলিশের উপস্থিতিতে একটি নির্মানাধীন মসজিদ ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ২১ গ্রামবাসী। গতকাল রোববার ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্মানাধীন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান মসজিদটি পাকাকরণের কাজ চলা অবস্থায় বিতর্কিত কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান ময়েজের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি শসস্ত্র দল এসে মসজিদের নির্মান কাজে বাধার সৃষ্টি করে। এসময় ঈশ্বরদী থানার পুলিশের উপস্থিতিতেই ময়েজ, তার ভাই তোফাজ্জল ও মজনু মসজিদের নির্মানাধীন একটি দেওয়াল ভেঙে দেয়। এখবর শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে তাদের বাধা প্রদান করলে পুলিশের উপস্থিতিতেই ময়েজের লোকজন প্রতিবাদকারী গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এতে ২১ জন গ্রামবাসী আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ঈশ্বরদী উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ও অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসকদের নিকট চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে গ্রামবাসী মোস্তফা (৪৫), আব্দুল মালেক (৪২), তজিবর (৬০), তৈয়ব আলী (৬৭), আকরাম বিশ্বাস (৬৫), ফজু ফকির (৬০), মুনছের ফকির (৭২), ছাত্তার প্রাং (৬৮), আয়নুল হক (৩০), আব্দুল হাই (৩২), ও ময়েজের ভাই আবু বক্কার, আবু সাঈদ, তোফাজ্জল, মজনু ও মোরছালিনসহ উভয় পক্ষের ২১ জন। এসব ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসী লাঠি-সোটা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আহত ও অন্যান্য গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানান ময়েজের সন্ত্রাসী বাহিনী একটি দির্ঘদিনের পুরনো মসজিদ পরিচালনার কর্তৃত্ব নিতে আসে, তারা বাধা দিলে পুলিশের উপস্থিতিতেই গ্রামবাসীর ওপর লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায় তারা। কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ এ বিষয়ে বলেন মাদ্রাসার জমিতে মসজিদ নির্মান করতে নিষেধ করায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমার পক্ষের ৫ জন আহত হয়। কর্তব্যরত ঈশ্বরদী থানার সহ-উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এ এসআই) আশরাফ হোসেন এ বিষয়ে বলেন গ্রামবাসীর উভয় পক্ষের লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমন ও উত্তেজিত অবস্থা দেখে পুলিশ সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন প্রানের ভয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে সরে এসেছিলাম। তবে পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দুটি পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আকবর আলী বলেন এঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post