পাবনা ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে গত পহেলা এপ্রিল রবিবার রাতে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় সভা শুরু হওয়ার পর একটি বিষধর সাপ দেয়ালে টঙ্গানো ঘড়ির উপড়ে নড়াচড়া করতে থাকে। এসময় প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ কিরণের চোখে পড়ে সাপটি। সে সময় কনফারেন্স রুমের উপস্থিত সকলে হতচকিত ও আতংকিত হয়ে উঠে। সাংবাদিক মাহাবুবুল হক দুদু এসে সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলে। উল্লে¬খ থাকে যে, সম্প্রতি প্রেসক্লাবের টয়লেটেও এমন একটি সাপ মারা হয়েছে। প্রেসক্লাবে এখন সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পাবনা ব্যুরো মোবারক বিশ্বাস এর পাঠানো আরো কয়েকটি খবর-
পাবনা ভাঙ্গুড়ায় বিদ্যুতের দাবীতে বিক্ষোভ ইউএনও কে স্মারক লিপি প্রদান
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন ভাঙ্গুড়া উপজেলার জনগণ সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে ভয়াবহ লোড শেডিং এর হাত হতে রক্ষা পাওয়ার দাবিতে সোমবার ভাঙ্গুড়া কলেজ হতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোপ মিছিল করে। পরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে নাগরিক কমিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করে। পরিষদ চত্বরে সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর মোজাহিদ স্বপন, দিলপাশার ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, জাফর ইকবাল হিরোক প্রমূখ। প্রতিদিন গড়ে উপজেলায় ৩/৪ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ না থাকায় কৃষকরা জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছেনা। ফলে ইরি ধান চাষ মারাক্তক ভাবে ব্যহত হচ্ছে। অত্যাধিক গরমের মধ্যে এইচ.এস.সি পরীক্ষা আরম্ভ হলেও বিদ্যুৎ বিভাগে অবহেলার কারনে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। অথচ পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৭/১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে বলে এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।
পাবনা চাটমোহরে ১ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের রাউৎকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদান চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। বিদ্যালয়টিতে আর কোনো শিক্ষক না থাকায় ৮ মাস ধরে একমাত্র শিক্ষক মনিরুজ্জামান একাই সহকারী ও প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যালয়টিতে একদিকে যেমন শিক্ষকের সঙ্কট, অন্যদিকে সঙ্কট ছাত্রছাত্রীর। একজন শিক্ষকের সঙ্গে বিদ্যালয়টি চলছে মাত্র প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে। ৪র্থ এবং ৫ম শ্রেণী কোনো ছাত্র-ছাত্রী নেই বিদ্যালয়ে। সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান একাই ৩টি ক্লাসে পাঠদান ও দাপ্তরিক যাবতীয় কাজ করার কারণে কুলিয়ে ওঠতে না পারায় মুখ থুবড়ে পড়ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। অপরদিকে, পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে চান না এলাকার অভিভাবকরা। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি বলে জানান একমাত্র শিক্ষক মনিরুজ্জামান। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষক অবসর নেওয়ার কারণে ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হয়। প্রধান শিক্ষক থাকাকালে বিদ্যালয়ে ৩ জন সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা কমরত ছিলেন। প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য হওয়ার ৩ মাসের ব্যবধানে বিদ্যালয় থেকে ২জন সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এরপর থেকে কমরত একমাত্র সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামন একাই বিদ্যালয়ের সব দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সহকারী শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) জানান, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে ৭, ২য় শ্রেণীতে ৭ এবং ৩য় শ্রেণীতে ৬ জন। গত প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ছিল শতভাগ। শিক্ষক না থাকায় চলতি বছরে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীতে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করেনি অভিভাবকরা। তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষক না থাকায় বেশির ভাগ দিন ২য় ও ৩য় শ্রেণীর কোনো ক্লাস হয় না। ১ম শ্রেণীর ক্লাস আর ছোট ছেলে-মেয়েদের সামলানো আমার একার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সময় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ থাকলে তাকে স্কুল ছুটি দিয়ে যেতে হয় সেখানে। বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানো হলেও আজও কোনো শিক্ষক এখানে দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বিষয়টি আমি একাধিকবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলেছি। কিন্তু কোন কাজ নয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যেসব স্কুলের ৩/৪ জন শিক্ষক রয়েছে সেখানে আরও শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অথচ যেখানে শিক্ষক নেই সেখানে কর্তৃপক্ষের নজর পড়ছে না। স্কুলের একমাত্র শিক্ষক মনিরুজ্জামানকে দৌড়ঝাঁপ করে ক্লাস নিতে হয়। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মতিউল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর একজন সহকারী শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে ওই সহকারী শিক্ষক এখনও বিদ্যালয়ে যোগ দেননি।
পাবনা চাটমোহরে স্বামী জীবিত থাকতেও বিধবা ভাতা !
পাবনার চাটমোহরে স্বামী জীবিত থাকলেও ২ জন নারী বিধবা সেজে সরকারি বিধবা ভাতা তুলে নিচ্ছেন বলে অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের দারোগ আলীর স্ত্রী হাওয়া কাতুন (৪০) এবং হরিপুর ইউনিয়নের মস্তালীপুর গ্রামের মোজাহার আলীর স্ত্রী কোমেলা খাতুন (৪৫) প্রতারণার মাধ্যমে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। কোমেলা খাতুন হরিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের ভোটার হয়ে সেখান থেকে তিনি নিয়মিত বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রটি জানায়, হাওয়া খাতুনের বিধবা ভাতার বই নং- ১৬২২, পিতা মফিজ উদ্দিন, কোমেলা খাতুনের বই নং- ২০৯২, পিতা চেতন আলী। তারা ভুয়া বিধবা সেজে দীর্ঘদিন যাবত প্রতিমাসে ৩৫০ টাকা সরকারি বিধবা ভাতা তুলে আসছেন। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে। তবে তিনি কবে থেকে তারা এই ভাতা তুলছেন তা জানাতে পারেননি।
ফলো আপ……এখনো মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার জমি ফেরত দেয়নি কসাই তসলিম
পাবনা ঈশ্বরদী শহরের ইস্তা মসজিদ পাড়ার মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়াকে ফুসলিয়ে ফাঁকি দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তার ৪ কাঠা জমি বিনা টাকায় লুফে নিয়েছে মৃত মোন্তাজ দেওয়ানের ছেলে ঈশ্বরদী বাজারের কসাই তসলিম দেওয়ান। এধরনের জঘণ্য ঘটনায় ওই এলাকার মানুষ ফুসে উঠেছে। যে কোন মূহুতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।কসাই তসলিম দেওয়ান বিনা টাকায় মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে এমন কথা জানা জানি হলে এলাকাবাসি একত্রিত হয়ে একটি শালিশ বৈঠক বসায়। শালিশি বৈঠকে কসাই তসলিম উপস্থিত হয়ে জমি রেজিষ্ট্রি খরচের টাকা ফেরত নিয়ে পূণরায় মানষিক প্রতিবন্ধী পারুলকে জমি ফেরত দেয়ার অঙ্গিকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইস্তা এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, কসাই তসলিম কৌশল করে টাকা ছিটিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথে নিয়ে ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার জোর নেই, শক্তি নেই, অর্থকড়িও নেই। তাই অসহায় এই বৃদ্ধ মহিলা সুবিচার পাচ্ছেনা। যে মানুষটা এলাকায় চেয়ে চিন্তে খায়, অন্যের কাজ করে খায় তার জমিটা কিভাবে কসাই তসলিম বিনা টাকায় রেজিষ্ট্রি করে নিল এটা কারও বোধগম্য নয়। তসলিম একজন বিবেক বর্জিত মানুষ, তাই সে প্রতারণার মাধ্যমে মানষিক প্রতিবন্ধীর ৪ কাঠা জমি হাতিয়ে নিয়েছে। রেজাউল নামের একজন বলেন, সারা বছর দুর্বল ও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করে সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে আসছে। এখন একজন ছন্নছাড়া মানষিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাথা গোজার ঠাঁইটুকুও বিনা টাকায় বাগিয়ে নিয়েছে কসাই তসলিম। তার শাস্তি হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন। শালিশ বৈঠকের সদস্য মজিবর প্রামানিক বলেন, মাস খানেক আগে ইস্তা মসজিদ মোড়ে জমি নিয়ে উত্তেজনা হলে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ আমার বাড়িতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সালিশ বৈঠক বসায়। সেখানে উপস্থিত সকলের সামনে কসাই তসলিম রেজিষ্ট্রি থেকে শুরু করে যত টাকা খরচ হয়েছে তা ফেরত দিতে চাইলে তসলিম তা নিতে সম্মত জানায়। কিন্তু বর্তমানে তিনি কতিপয় অসাধু ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে আর টাকা নিতে আসছেনা এবং মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেগমের জমি রেজিষ্ট্রি করে দিচ্ছেনা। শালিশ বৈঠকের অন্যতম সদস্য মোঃ জাকির হোসেন বলেন, মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার জমি বিনা টাকায় ফাঁকি দিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে এমন সংবাদ এলাকাতে জানাজানি হলে এলাকাবাসি কসাই তসলিমের উপর মারমুখি হয়ে উঠে। আমরা উপস্থিত কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটি শালিশ বৈঠকে বসি এবং সেখানে কসাই তসলিম রেজিষ্ট্রির টাকা ফেরত নিয়ে পূণরায় মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়াকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে চেয়েছে। সেখানে এক মাসের সময় নির্ধারন করা হয়। এক মাসের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পারুল বেওয়ার ওয়ারিশগন টাকা জোগার করে বিচারকদের কাছে টাকা দেওয়ার জন্য ধর্ণা ধরলেও কসাই তসলিম ওই টাকা নিতে আসেনি। পত্রিকাতে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সে মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে। মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার ৪ কাঠা জমি প্রতারণার মাধ্যমে কসাই তসলিম হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর কসাই তসলিম নিজেকে বাঁচানো এবং ঘটনা আড়াল করার জন্য মিথ্যে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঈশ্বরদীর একজন গরুর মাংস বিক্রেতা জানান, তসলিম আমার দোকানে দীর্ঘ আট বছর কর্মচারী ছিল। সেই তসলিমই আমার সাথে এক সময় বেইমানী করেছিল। ওর নৈতিকতা খুবই খারাপ। তিনি বলেন, আমি শুনেছি মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছে। এটা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি, পারুল বেওয়া নিহাত গরীব মানুষ। তসলিমের এখন অনেক কিছু হয়েছে এটা সে ঠিক করেনি। মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার ওয়ারিশগণ কসাই তসলিমের রেজিষ্ট্রির টাকা যোগাড় করতে পারুল বেওয়ার মাথা গোজার ঠাঁই বসত ঘরটি ও গাছপালা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছে। পারুল বেওয়ার বাড়িতে গেলেই এর সঠিক প্রমান পাওয়া যাবে। মানষিক প্রতিবন্ধী পারুল বেওয়ার অর্থ কড়ি এবং ক্ষমতা বা শক্তি না থাকায় তিনি পত্রিকার মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উল্লেখ থাকে যে, ইতিপূর্বে ইস্তা চরের ওই পারের কফেজের ছোট ভাই গফুর পাগলের জমিও কসাই তসলিম রেজিষ্ট্রি করে নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। অবশেষে এলাকাবাসি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে কসাই তসলিম গফুর পাগলের জমি রেজিষ্টি করে নিতে পারেনি। ইস্তা গ্রামে সরেজমিন গেলেই এর সত্যতা পাওয়া যাবে।
সিন্ডিকেটের চোরেরা জিম্মি করেছে ঈশ্বরদীর উন্নয়ন এমএ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে–এমপি ডিলু
ঈশ্বরদী পৌর এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমএ গফুর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরণ গতকাল সোমবার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে। অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সাংসদ শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বসির আহমেদ বকুল, সুফিয়া খাতুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুন্নবী বিশ্বাস, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারন সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সিন্ডিকেটের চোরেরা জিম্মি করেছে ঈশ্বরদীর উন্নয়ন। সিন্ডিকেটের চোরেরা কোন প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পরিমাণে টাকা দেয় না। তারা জোর পূর্বক ডিও ছিনিয়ে নেয়। অল্প কিছু টাকা দিয়ে ডিও নিয়ে নেওয়ায় বাজারে এই চাউল, গম যাচ্ছেনা। বাজারে ডিও’র চাউল, গম বিক্রি হলে এদেশের সাধারন গরীব মানুষেরা উপকৃত হতো। সেই সাথে ডিও’র সঠিক পরিমাণের টাকা পেলে ঈশ্বরদীর সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধমীয় প্রতিষ্ঠানের আরও বেশি উন্নয়ন হতো। কিন্তু সেই সকল প্রতিষ্ঠানের ডিও ক্ষমতাশীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে জোর পূর্বক অল্প দামে কিনে নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ডিও কিনে নিয়ে হাত বদল করেই পাচ্ছে প্রতি টনে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বলছি সিন্ডিকেটের ওই সকল সদস্যদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করুন। ডিও’র চাউল বাজারে এলে দাম কমে যাবে এবং দরিদ্র মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাবে। শুধুমাত্র সিন্ডিকেটের কারণে ডিও’র চাউল, গম বাজারে আসছেনা। ঈশ্বরদীর প্রতিষ্ঠান গুলোর উন্নয়ন করতে হলে ডিও ক্রয়ের সিন্ডিকেটকে ধবংশ করতে হবে।
ইরি বোরো ক্ষেত ফেটে চৌচির ॥ ¯মরণকালের ভয়াবহ লোডশেডিং বিক্ষুব্ধ চাষীদের চাটমোহরস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও ॥ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৫
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (চাটমোহর) এর আওতাধীন উপজেলা সমূহে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। স্মরণকালের এই লোডশেডিংয়ের ফলে জমিতে সেচ দিতে না পারায় হাজার হাজার বিঘা ইরি বোরোর জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। পাবনা পবিস-১ এর আওতাধীন চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, পাবনা সদর (আংশিক) ও ঈশ্বরদী (আংশিক) উপজেলার প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমের ইরি বোরো চাষাবাদ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একইসাথে শত শত কলকারখানায় হুমকীর মুখে পড়েছে উৎপাদন প্রক্রিয়া। বোরো ক্ষেতে পানি সেচ দিতে না পারায় এবং বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ও সমিতির জেনারেল ম্যানেজারের অপসারনের দাবিতে গতকাল সোমবার সমিতির আওতাভুক্ত ফরিদপুর, উল্লাপাড়া ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার শত শত কৃষক প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে এসে সমিতির প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করে এতে উল্লাপাড়া উপজেলার সুজা গ্রামের আঃ মান্নান (৩৫), ফিরোজ আহম্মেদ (৪০), কালিয়াকৈর গ্রামের আছালত আলী (৪৫)সহ ৫জন কৃষক আহত হন। বোরোচাষীরা অভিযোগ করেন সমিতির আওতাভুক্ত উল্লাপাড়া, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিশাল বিলের হাজার হাজার একর জমির ধান পানি সেচের অভাবে শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য প্রতিদিন সব মিলিয়ে ৩/৪ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। বোরোচাষীরা যেকোন উপায়ে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা চান। এব্যাপারে পবিস-১ এর জিএম প্রকৌশলী আঃ মতিনের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Discussion about this post