মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা বেড়া উপজেলার পৌর এলাকায় বিলশালিখা গ্রামের নদী থেকে অজ্ঞাত পরিচয় (৫০) এর বস্তা বন্দি গলিত লাশ উদ্ধার করেছে বেড়া থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে বিল শালিখা গ্রামের সুইচগেট সংলগ্ন মইন উদ্দিনের বাড়িরে পুর্বদিকে বাধের রাস্তার পার্শ্বে বস্তাবন্দি হাত পাঁ বাধা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করে বেড়া থানায় নিয়ে আসেন। বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, সন্ত্রাসীরা ৫/৭দিন পুর্বে নিহতকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে সেখানে ফেলে রাখতে পারে। নিহতের পরনে লুঙ্গি ও জামা ছিল। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। শেষ খবর লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বেড়া থানায়একটি মামলা হয়েছে।
দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লেও পাবনা মানসিক হাসপাতালে দাম কমেছে ৫০% এর অধিক
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা মানসিক হাসপাতালে টেন্ডার নিয়ে চলছে ঘাপলা ও অনিয়মের মহোৎসব। বিশেষ সুবিধা নিয়ে একজনকে কাজ পাইয়ে দেওয়ায় ঠিকাদারদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। ঠিকাদারদের মধ্যে সম্ভব্য মূল্য তালিকা দেওয়ার বিধান থাকলেও তা গোপন রেখে সরকার দলীয় এক নেতার সঙ্গে একটি গোষ্ঠির যোগ সাজশে মূল্য তালিকা সরবরাহ করে বিশেষ সুবিধা নেওয়ায় উত্তেজনা চলছে হাসপাতালসহ ঠিকাদারদের মধ্যে। বর্তমান সময়ে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি দ্রব্যের দাম বাড়লেও অবিশ্বাস্য হলেও সত্য পাবনা মানসিক হাসপাতালের টেন্ডারে বাজার দর কমেছে। ভাগ বাটোয়ারা ও লুটপাটের ক্ষেত্রে বাজার দর এমন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ‘ঘ’ গ্র“পে ষ্টেশনারী মালামাল ও বিবিধ দ্রব্যদির সরবরাহের ঠিকাদার যে মূল্যে হাসপাতালে সরবরাহ করেছে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে দ্রব্যদির সরবরাহের ক্ষেত্রে দাম কমেছে কোন কোন ক্ষেত্রে ৫০% এর অধিক হারে। ২০১১-১২ অর্থ বছরে ডেস্ক ক্যালেন্ডার ষ্টান্ড (প্লাষ্টিক সাপোর্ট সহ) উন্নতমানের দাম ছিল ৪২০ টাকা। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে তার দাম ধরা হয়েছে ৭০ টাকা। দামের পার্থক্য ৩৫০ টাকা। ৮৩% দাম কমেছে। গত বছরে হাসপাতালের মূল্য তালিকায় টু পিন ছকেট ৫ এ্যামপিয়ার উন্নতমানের দাম ৪২০ টাকা ছিল, আর এই বছর ধরা হয়েছে ২৪০ টাকা । ২৩ ওয়াট সম্পন্ন বাল্ব গত বছর ছিল ৪০০ টাকা এই বছর মূল্য তালিকায় ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। গত বছর টিস্যু পেপার ছিল প্রতি প্যাকেট ২২০ টাকা এই বছর মূল্য তালিকায় ধরা হয়েছে ৬০ টাকা । উকুন নাষক সাবান নিট ওজন ৭৫ গ্রাম তার মূল্য ছিল প্রতি ডজন ১হাজার টাকা, এই বছর ধরা হয়েছে ৩৩৬ টাকা(যা আছে কাগজ কলমে) । ২০১২-১৩ অর্থ বছরে মানসিক হাসপাতালের এ-৪ সাইজের কাগজের মূল ৩০৭ টাকা ধরা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার বর্তমান নিট মূল্য এক রিম ৪০০ টাকা, গত বছর দাম ছিল ৫০০ টাকা। লিগ্যাল সাইজ কাগজ এই বছর দাম ধরা হয়েছে প্রতি রিম ৪৭৫ টাকা, বর্তমানে বাজারে তার নিট মূল্য ৫০০ টাকা। গত বছর যার দাম ছিল হাসপাতালের মূল্য তালিকায় ৬০০ টাকা। অনেক ঠিকাদার অভিযোগ করেন ৪% ভ্যাট এবং ৪% ইনকাম ট্যাক্স্র দিয়ে যে মূল্য আসে তাতে কারো পক্ষে দ্রব্যদি সরবরাহ করা সম্ভব নয়। ঠিকাদার আর কর্তৃপক্ষ মালামাল সরবরাহ না করেই শুধু বিল সরবরাহ করে টাকার ভাগবাটোয়ারা করেন। অনেকে অভিযোগ করেন এখানে মূল্য তালিকা প্রধান বিষয় না। যেনতেন ভাবে কাজ পেলেই পরে সব ঠিকঠাক হয়ে যায়। তারা আরও জানান, সরকারের নির্দেশ পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঠিকাদার তালিকাভূক্ত করে, এই সকল তালিকাভুক্ত ঠিকাদারদের টেন্ডার কজে অংশ গ্রহণ করানো। মানসিক হাসপাতাল এই সকল নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে শুধু মাত্র সুযোগ গ্রহণ করার জন্য অত্যন্ত সুচতুর ভাবে তালিকাভুক্ত না করে এই কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। পাবনা মানসিক হাসপাতালের অনিয়ম দূনীতি ইতিপুর্বে ছিল এখন আছে। যা নিয়ে মামলা মোকদ্দমা এখন পর্যন্ত বিচারাধিন। যথাযর্থ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে পাবনার সচেতন মহলের আশাবাদি। এ ব্যাপারে মানসিক হাসপাতাল কতৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
Discussion about this post