মোবারক বিশ্বাসঃ- পাবনার সাঁথিয়া লম্পট শ্বশুর কতৃক নব বিবাহিতা পুত্রবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের গৌরীগ্রামে।
ধষির্তা রিক্তা খাতুনের দায়েরকৃত থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ১০/১১ মাস আগে উপজেলার গৌরীগ্রামের আলাউদ্দিন (৪৭)’র ছেলে সাগর (২৫)’র সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার লম্পট শ্বশুর নানা ভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এর আগেও শ্বশুর তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করেছে। লোক লজ্জার ভয়ে কিছু বলেনি। গত সোমবার বেলা ১১টায় বাড়িতে লোক জনের অনুপস্থিতিতে শ্বশুর তাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকলে ধর্ষীতার চিৎকারে তার স্বামীসহ বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। এ সময় শ্বশুর আলাউদ্দিন দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলে পুলিশ ধর্ষক শ্বশুর আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য,উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পাবনা সাঁথিয়ায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত
মোবারক বিশ্বাসঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল পাবনার সাঁথিয়ায় ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে পালন উপলক্ষে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হল রুমে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন ।আরও বক্তব্য দেন সাঁথিয়া আ’লীগের আহবায়ক আব্দুল¬াহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, যুগ্ম আহবায়ক রবিউল করিম হিরু, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরামুল হক সরকার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আতাহার আলী,অদ্যাপক আশরাফুল আলম মজনু, পৌর আ’লীগের সম্পাদক হেদায়েত আলী খান, আ’লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম মকুল, মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী খান, প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন প্রমুখ। বক্তাগন ঐতিহাসিক মুজিব নগরের গুরুত্ব তুলে ধরে পরবতী প্রজন্মের কাছে তা ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
পাবনা সাঁথিয়ায় রক্তমাখা মাইক্রোবাস উদ্ধার
মোবারক বিশ্বাসঃ গত সোমবার দিবাগত রাতে সাঁথিয়া থানা পুলিশ মাধপুর- বেড়া সড়কের তলট নামক স্থান থেকে গাড়ির ভিতরের সীটে ও জায়নামাজে রক্তমাখা একটি সিলভার কালার (হাইস) মাইক্রোবাস যাহার নং-ঢাকা জ ১৫-১৪০১ পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। পুলিশের ধারণা দুবৃত্তরা কাউকে গাড়ির ভিতরে হত্যা করে লাশ অজ্ঞাত স্থানে ফেলে দিয়ে উক্ত স্থানে গাড়ি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঢাকার ডেমড়া থেকে শওকত আলী নামক এক ব্যক্তি গতকাল মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানায় এসে উদ্ধারকৃত মাইক্রোবাসটি তার বলে সনাক্ত করেন। তিনি বলেন তার ড্রাইভার মোক্তার হোসেন (৩২) গ্রাম কদমপুর উপজেলা সিরাজদিখান জেলা মুন্সিগঞ্জ সোমবার বিকাল ৩টায় মাইক্রোবাস নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে তাকে আর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যাচ্ছে না।
পাবনা ঈশ্বরদীতে সূর্যাস্ত হাতছানি দেয় নগ্নতা আর অসভ্যতাকে প্রশাসন যেন তাদের কেনা গোলাম
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা ঈশ্বরদীর ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন এখন পতিতাদের আখরা। সন্ধ্যা নামার পর পরই এদের খোলামেলা চলাফেরায় বিব্রত হয় সাধারন মানুষ। এরা বিভিন্ন ধরনের অশালীনতা দিয়ে মানুষকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করে। যা সাধারন মানুষের রুচিবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। সুর্যাস্তের সাথে সাথেই ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন এবং এর আশপাশের এলাকায় খোলামেলা দেহ ব্যবসা শুরু হয়। অনিচ্ছা সত্বেও সাধারন যাত্রীদের চোখে পড়ে যায় এ দৃশ্য। অবশ্য ওভারব্রীজ এলাকায় পতিতার দালালদের হাট থাকে দিনের চব্বিশ ঘন্টা। যাত্রী সাধারনের বেশিরভাগই এই ওভারব্রীজ পাড় হয়ে ছুটতে হয় গন্তব্যে। আর এ সুযোগের জন্য পতিতার দালালদের হাট পরিচালিত হয় এখানেই। দিন রাত সবসময়ই তারা এখানে খদ্দের সংগ্রহের কাজ করে। সরেজমিনে দেখা যায়, তারা মানুষকে দেখলেই “ভাল মাল, কচি মাল” এধরনের আপত্তিকর স্লোগান দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। মাঝে মধ্যেই পতিতার দালাল ও খদ্দেরদের মধ্যকার দরকষাকষি চোখে পড়ার মতো যা পথচারীদের পথের কাঁটায় পরিণত হয়েছে। রেলওয়ে জংশনের আশপাশের এ রুগ্ন হোটেলগুলোর প্রধান ব্যবসা এখন এটাই। এছাড়াও স্টেশনের আশপাশের অনেক বাড়িতেও এ ধরনের কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে যার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন কলেজের মেয়েদের সুকৌশলে দেহ ব্যবসায় নামানো হচ্ছে। এ ব্যপারে ঈশ্বরদী জি আর পি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা শ্যামল ঘোষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যপারে কিছু জানিনা আর বিষয়টি আমার চোখেও পড়েনি তবে চোখে পড়লে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখিত বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পতিতাদের এমন উশৃংখল আচরণে যেখানে আমরা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছি। পুলিশ প্রশাসন সেখানে ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানে না বিষয়টা হাস্যকর। আমাদের তো মনে হয় টাকার কাছে প্রশাসন জিম্মি হয়ে পড়ায় তারা এই সব কর্মকান্ডের বৈধতা দিয়েছে।একজন পতিতার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, নিউজ করে লাভ নাই, আপনার চেয়ে বড় বড় সবাইকে নিয়মিত মাল দিই। ওরাই উল্টো আপনাকে ধরবে।এমতাবস্থায় ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ এবং ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ীরা এই অশালীনতা এবং অশ্লীলতা থেকে মুক্তির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাবনা ঈশ্বরদীর মিরকামারীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু ও মাটি উত্তোলনঃ নির্বিকার প্রশাসন!
মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী গ্রামের একটি ব্যস্ততম রাস্তার পাশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার ফলে ছুতের গাড়ি বিশ্বরোড সংযোগ সড়ক মানুষ চলাচলের রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। এই রাস্তার পাশের ২২ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হয়ে বিরাট জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে আশপাশের ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট ও বসতবাড়ি। এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, ছলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন সরদারের ছেলে সুলতান সরদার চরমিরকামারী গোরস্থান সংলগ্ন এলাকা থেকে দীর্ঘদিন ধরে মাটির নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এছাড়া ওই জায়গা থেকে মিরকামারী গ্রামের লুৎফর ফকিরের ছেলে ননেজ ফকির অবাধে মাটির নিচ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। এলাকার কৃষকেরা জানান, অবাধে মাটি এবং বালু উত্তোলনের ফলে এলাকায় আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এলাকার প্রভাবশালী সুলতান সরদার ও ননেজ ফকির এই মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী হওয়ায় তারা প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। প্রশাসনকে জানালেও তারা গুরুত্ব দেন না। এরা দীর্ঘদিন থেকে অবাধে বালু উত্তোলন এবং মাটি কাটার ফলে রাস্তার দুই পাশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ করা হলে ছলিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বারবার তাদের নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা সেই নিষেধ উপেক্ষা করে জমির মালিকানার জোরে বালু ও মাটি উত্তোলন করে চলেছে, এটা আইনত অপরাধ। এজন্য ইতোপূবে সাবেক চেয়ারম্যানরাও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে অবগত করেছেন। তিনি জানান নিজের জমি মালিক হওয়ার পরেও কোন ব্যক্তি জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা করে সেই জমিতে মাটি ও বালু কাটতে কিংবা উত্তোলন করতে পারেনা। জমির মালিক সুলতান সরদার ও ননেজ ফকির এ বিষয়ে জানান, তার ১২ বিঘা জমির মধ্যে পাঁচ বিঘা পুকুর সেই পুকুর থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন এখান থেকে কম পক্ষে ৩০ গাড়ি বালু বিক্রি করা হয়। প্রতি গাড়ি বালু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তারা জানান, স্থানীয় প্রশাসন তাদের বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করছেন না। প্রশাসন বাধা দিলে তারা বালু ও মাটি কাটার বিষয়টি ভেবে দেখবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকেরা কোদাল দিয়ে ট্রাকে বালু বোঝাই করছেন। তারপর এখান থেকে বালু ট্রাক যোগে বিভিন্ন জায়গাতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাঁচা রাস্তা দিয়ে বালু বোঝাই ট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। বালু উত্তোলনের জায়গায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তের পাশে গাছ পালা হেলে পড়েছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনীন হোসেন বলেন, মাটির নিচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহকারী কমিশনার ভূমি সাইয়েদ এ,জেড মোর্শেদ আলী জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসার পরও নতুন করে বালু উত্তোলনের ঘটনা ঘটছে। তিনি জানান, অবিলম্বে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর হোসেন বলেন, তিনি ঈশ্বরদীতে নতুন এসেছেন। খোঁজ নিয়ে তিনি বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। ওসি জানান, নিজের জমি হলেও কেউ তার জমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করতে পারেন না। বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ বলে তিনি জানান।
Discussion about this post